জয়পুরহাটে সফল পোল্ট্রি উদ্যোক্তা টুকু-কর্মসংস্থান শতাধিক
- আপডেট সময় : ২৭ বার পড়া হয়েছে
জেলার আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জের একজন সফল পোল্ট্রি খামারি উদ্যোক্তা ইসমাঈল হোসেন টুকু। ২০০০ সালে ৩টি সেডে মাত্র ৫ হাজার সোনালি মুরগির বাচ্চা নিয়ে খামারের যাত্রা শুরু করেন তিনি। এরপর থেকে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার ৩ তলা ও ছয়তলা বিশিষ্ট ৮টি খামার আছে। যেখানে এখন উৎপাদন হচ্ছে ১ লাখেরও বেশি মুরগি।
সফল এ খামারি ইসমাইল হোসেন টুকু বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই সোনালি মুরগি দিয়ে খামারের যাত্রা শুরু করি। এখনো সোনালি মুরগিতেই আছি। ৮টি খামারে সব মিলিয়ে ১২০ জন শ্রমিক কর্মচারী কাজ করছেন। খামারে এখন সোনালি মুরগির বাচ্চা আছে প্রায় ৩০ হাজার, পুলেট ২০ এবং লেয়ার ডিমের বাচ্চা ৫০ হাজার। এছাড়াও রয়েছে এসএসবি পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি কমপ্লেক্স, রাফিদ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, রিফাদ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।’
একই উপজেলার রুকিন্দিপুর গ্রামের খামারি আইয়ুব আলী বলেন, ‘আমি অন্য ব্যবসা করতাম। টুকু ভাইয়ের কাছ থেকে ৫০০ পিস সোনালি মুরগির বাচ্চা নিয়ে খামার শুরু করি। এখন আমার ৩টি খামার আছে। সেখানে ১৫-২০ হাজার মুরগি পালন করি। আমার খামার এগিয়ে নিতে টুকু ভাই অনেক সহযোগিতা করেছেন। এখন আমিও একজন সফল খামারি। আমার খামারে এখন ৮ জন শ্রমিক-কর্মচারী নিয়মিত কাজ করছেন।’
জেলার সদর উপজেলার শাহাপুর গ্রামের খামারি নুরনবী বলেন, ‘আমি এক সময় বেকার ছিলাম। টুকু ভাইয়ের কাছ থেকে বাচ্চা বাকিতে নিয়ে শুরু করি খামার। মুরগি বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করতাম। এভাবেই খামারের সংখ্যা বাড়াই। আমিও টুকু ভাইয়ের খামার দেখেই উদ্বুদ্ধ হয়েছি আল্লাহর রহমতে এখন আমিও একজন সফল খামারিতে পরিণত হয়েছি।’
টুকুর খামারের কর্মচারী রাজু আহমেদ ও গোলাম মোর্শেদ বলেন, ‘আমরা ভাইয়ের খামারে ৮ বছর ধরে কাজ করছি। এখান থেকে যা পাই, তাই দিয়েই সংসার ভালোই চলছে।’
আক্কেলপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘জয়পুরহাট তথা আক্কেলপুর উপজেলার মধ্যে ইসমাইল হোসেন টুকু একজন সফল খামারি। তার দেখাদেখি এবং তার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই মুরগি পালন করে এখন সফল খামারি হয়েছেন। তার খামারসহ অন্যান্য খামারগুলোও আমরা নিয়মিত তদারকি করছি। সব সময় তাদের সার্বিক পরামর্শ দিয়ে পাশে আছি এবং আশা করছি ভবিষ্যতেও আমাদের এ প্রচেষ্টা অব্যহত।

















