ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মহেশখালীতে কোস্টগার্ডের অভিযানে দেশীয় অস্ত্র গুলিসহ দুই ডাকাত আটক  Logo সুন্দরবনে কোস্টগার্ড দেখে পালিয়ে গেল দস্যুরা, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার Logo গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে নরসিংদীতে বিক্ষোভ মিছিল Logo নরসিংদীতে ৯৬ কেজি গাঁজা বিক্রির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে ওসিসহ ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে Logo জয়পুরহাটে সরকারের সঙ্গে চুক্তি না করায় ৬১ চালকলে নিবন্ধন বাতিল Logo তিতাসে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সাফল্য কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল Logo ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে নাটোরে সর্বদলীয় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল Logo ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে পাথরঘাটায় বিক্ষোভ মিছিল Logo সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীর জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে প্রেরন Logo ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে উত্তাল মুক্তাগাছা: সর্বস্তরের জনতার বিক্ষোভ

জয়পুরহাটে সরকারের সঙ্গে চুক্তি না করায় ৬১ চালকলে নিবন্ধন বাতিল

মোঃ জহুরুল ইসলাম, জয়পুরহাট প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৩২:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫ ৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

জয়পুরহাটের ৬১ চালকল চলতি আমন মৌসুমে চাল সরবরাহে সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে নাই। এ কারণে তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন চলতি মৌসুমে সরকারি দরের চেয়ে বাজারদর ছিল বেশি। লোকসানের আশঙ্কায় অনেক চালকল মালিক চুক্তিবদ্ধ হননি। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে এমন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া ঠিক হয় নাই।

জয়পুরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রয়ারি আমন মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহের সময় শেষ হয়েছে। গত বছরের ১৭ নভেম্বর শুরু হয়েছিল এ অভিযান। এ মৌসুমে ১৩ হাজার ৭৮৬ টন চাল ও ৪ হাজার ৮৩৯ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। চাল সংগ্রহ অভিযান শতভাগ সফল হয়। তবে ধান এসেছে ৩৫০ টন। জেলায় মোট ৩৬০টি নিবন্ধিত চালকলের মধ্যে ২১টি অটো চালকল রয়েছে। বাকি সব হাসকিং চালকল। সরকার আমন মৌসুমে তাদের কাছ থেকে সংগ্রহের জন্য ৩৩ টাকা কেজিতে ধান, ৪৭ টাকা কেজিতে চাল কেনার দর নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু এই দরের চেয়ে বাজারে ধান-চালের দাম বেশি ছিল। যে কারণে কৃষক শুরু থেকেই খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনাগ্রহী ছিলেন। নিবন্ধন রক্ষায় চালকলের মালিকরা নিশ্চিতলোকসান জেনেও গুদামে চাল সরবরাহ করেছেন। আমন মৌসুমের শুরু থেকে বাজারে ধান-চালের দাম বেশি থাকায় ৬১টি চালকল মালিক লোকসানের ভয়ে সরকারের সঙ্গে চাল সরবরাহেরচুক্তি করেননি। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক গত ১২ জানুয়ারির মধ্যে চাল সরবরাহে চুক্তির জন্য সময় বেঁধে দিয়ে এসব চালকল মালিককে ১লা জানুয়ারি নোটিশ দেন। এর পরও তারা সাড়া দেননি।

চালকল ব্যবসায়ী আবু সাঈদ ফকির বলেন, ‘সরকারের বেঁধে দেওয়া দরের চেয়ে মৌসুমের শুরু থেকেই বাজারে ধান-চালের দাম অনেক বেশি। আমরা কিনতে না পারলে সরকারকে সরবরাহ করব কোথায় থেকে? এ বছর দিতে পারিনি, আগামীতে দেব। তাই বলে কি আমাদের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে? ‘তাই নয় আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার চাটখুর গ্রামের কৃষক আফজাল বলেন, ‘গুদামে ধান দিতে গেলে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। এবার সরকারি গুদামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম অনেক বেশি। তাই সব ধান বাজারেই বিক্রি করেছি।

জয়পুরহাট জেলা হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল বারীর মতে, লোকসান জেনেও সবাই ব্যবসা করতে চাইবে না। ৬১টি চালকলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে।

জয়পুরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. কামাল হোসেন বলেন, আমন মৌসুমে ৬১ জন চালকলের মালিক চাল সরবরাহের জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেন নাই। মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী এসব চালকলের নিবন্ধন, বিদ্যুৎ সংযোগ ও খাদ্যশস্যের নিবন্ধন গত ২১ মার্চ বাতিল করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জয়পুরহাটে সরকারের সঙ্গে চুক্তি না করায় ৬১ চালকলে নিবন্ধন বাতিল

আপডেট সময় : ০৪:৩২:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

 

জয়পুরহাটের ৬১ চালকল চলতি আমন মৌসুমে চাল সরবরাহে সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে নাই। এ কারণে তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন চলতি মৌসুমে সরকারি দরের চেয়ে বাজারদর ছিল বেশি। লোকসানের আশঙ্কায় অনেক চালকল মালিক চুক্তিবদ্ধ হননি। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে এমন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া ঠিক হয় নাই।

জয়পুরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রয়ারি আমন মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহের সময় শেষ হয়েছে। গত বছরের ১৭ নভেম্বর শুরু হয়েছিল এ অভিযান। এ মৌসুমে ১৩ হাজার ৭৮৬ টন চাল ও ৪ হাজার ৮৩৯ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। চাল সংগ্রহ অভিযান শতভাগ সফল হয়। তবে ধান এসেছে ৩৫০ টন। জেলায় মোট ৩৬০টি নিবন্ধিত চালকলের মধ্যে ২১টি অটো চালকল রয়েছে। বাকি সব হাসকিং চালকল। সরকার আমন মৌসুমে তাদের কাছ থেকে সংগ্রহের জন্য ৩৩ টাকা কেজিতে ধান, ৪৭ টাকা কেজিতে চাল কেনার দর নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু এই দরের চেয়ে বাজারে ধান-চালের দাম বেশি ছিল। যে কারণে কৃষক শুরু থেকেই খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনাগ্রহী ছিলেন। নিবন্ধন রক্ষায় চালকলের মালিকরা নিশ্চিতলোকসান জেনেও গুদামে চাল সরবরাহ করেছেন। আমন মৌসুমের শুরু থেকে বাজারে ধান-চালের দাম বেশি থাকায় ৬১টি চালকল মালিক লোকসানের ভয়ে সরকারের সঙ্গে চাল সরবরাহেরচুক্তি করেননি। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক গত ১২ জানুয়ারির মধ্যে চাল সরবরাহে চুক্তির জন্য সময় বেঁধে দিয়ে এসব চালকল মালিককে ১লা জানুয়ারি নোটিশ দেন। এর পরও তারা সাড়া দেননি।

চালকল ব্যবসায়ী আবু সাঈদ ফকির বলেন, ‘সরকারের বেঁধে দেওয়া দরের চেয়ে মৌসুমের শুরু থেকেই বাজারে ধান-চালের দাম অনেক বেশি। আমরা কিনতে না পারলে সরকারকে সরবরাহ করব কোথায় থেকে? এ বছর দিতে পারিনি, আগামীতে দেব। তাই বলে কি আমাদের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে? ‘তাই নয় আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার চাটখুর গ্রামের কৃষক আফজাল বলেন, ‘গুদামে ধান দিতে গেলে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। এবার সরকারি গুদামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম অনেক বেশি। তাই সব ধান বাজারেই বিক্রি করেছি।

জয়পুরহাট জেলা হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল বারীর মতে, লোকসান জেনেও সবাই ব্যবসা করতে চাইবে না। ৬১টি চালকলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে।

জয়পুরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. কামাল হোসেন বলেন, আমন মৌসুমে ৬১ জন চালকলের মালিক চাল সরবরাহের জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেন নাই। মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী এসব চালকলের নিবন্ধন, বিদ্যুৎ সংযোগ ও খাদ্যশস্যের নিবন্ধন গত ২১ মার্চ বাতিল করা হয়েছে।