ঢাকা ১০:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মোংলাকে শতভাগ রপ্তানিমুখী বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা Logo ফুলপুর পৌরসভার নাগরিক ভাবনা শীর্ষক মতবিনিময় সভা Logo ইসলামপুরে বিভাগীয় কমিশনারের মতবিনিময় সভা Logo ভেদরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান Logo ভালুকায় ৫ শতাধিক মানুষে চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ Logo মধুখালীতে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত Logo ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেয়ার প্রতিবাদে পঞ্চগড়ে জাগপার বিক্ষোভ Logo নিয়ামতপুরে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা Logo কেশবপুরে সামাজিক বনায়নের উদ্দেশ্যে ব্র্যাকের গাছ বিতরণ Logo যায়যায়দিনের প্রকাশক সাঈদ হোসেন চৌধুরীর মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল

জামায়াতের ইফতারে বিএনপির অংশ গ্রহণ

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ৩৯৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান জাতিকে মুক্তির জন্য আরেকবার বুক সটান করে দাঁড়ানোর জানিয়ে বলেছেন, বিনা সংগ্রামে মুক্তি আসে না। যারা ক্ষমতায় আছেন, আমরা তাদের শত্রু নই। আমাদের ওপর আঘাত এলে তার প্রতিরোধ করার দায়িত্ব আমার আছে। কেউ পায়ে পারা দিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করতে এলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, আট বছর সবাই মিলে এক সঙ্গে ইফতার মাহফিলের সুযোগ পাওয়া যায়নি। আজকের ইফতার আয়োজন নিয়েও প্রতিকূলতা ছিল।

সর্বশেষ ২০১৫ সালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে জামায়াতের ইফতারে অংশ নিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পরের বছরে জামায়াতের ইফতার পুলিশি বিধিনিষেধে বাতিল হয়।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল জামায়াতে ইসলামীর ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এর আগে গত ২৮ মার্চ রাজনীতিবিদদের সম্মানে বিএনপির ইফতারে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম অংশ নিন।

অবশ্য গত বছরের ইফতারে জামায়াতকে আমন্ত্রণ জানায়নি বিএনপি। বিএনপি সূত্রের খবর, বিএনপির ইফতারে জামায়াতে ইসলামীকে আমন্ত্রণ জানানোর ব্যাপারে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের দুই নেতার আপত্তি ছিল ।

কিন্তু দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তে জামায়াতে ইসলামীকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং শনিবার জামায়াতের ইফতারে বিএনপির অংশ নেওয়ার বিষয়টিও তার সিদ্ধান্তে হয়েছে।

যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত এলডিপির প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নূর, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, বিএলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিকল্পধারা বাংলাদেশ’র অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারি ও  পেশাজীবী নেতারা।

ইফতারে আগে দেশের বর্তমান অবস্থা ও সরকারের দমন পীড়নের বিষয়টি তুলে ধরে এর বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জামায়াতের ইফতারে বিএনপির অংশ গ্রহণ

আপডেট সময় :

 

জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান জাতিকে মুক্তির জন্য আরেকবার বুক সটান করে দাঁড়ানোর জানিয়ে বলেছেন, বিনা সংগ্রামে মুক্তি আসে না। যারা ক্ষমতায় আছেন, আমরা তাদের শত্রু নই। আমাদের ওপর আঘাত এলে তার প্রতিরোধ করার দায়িত্ব আমার আছে। কেউ পায়ে পারা দিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করতে এলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, আট বছর সবাই মিলে এক সঙ্গে ইফতার মাহফিলের সুযোগ পাওয়া যায়নি। আজকের ইফতার আয়োজন নিয়েও প্রতিকূলতা ছিল।

সর্বশেষ ২০১৫ সালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে জামায়াতের ইফতারে অংশ নিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পরের বছরে জামায়াতের ইফতার পুলিশি বিধিনিষেধে বাতিল হয়।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল জামায়াতে ইসলামীর ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এর আগে গত ২৮ মার্চ রাজনীতিবিদদের সম্মানে বিএনপির ইফতারে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম অংশ নিন।

অবশ্য গত বছরের ইফতারে জামায়াতকে আমন্ত্রণ জানায়নি বিএনপি। বিএনপি সূত্রের খবর, বিএনপির ইফতারে জামায়াতে ইসলামীকে আমন্ত্রণ জানানোর ব্যাপারে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের দুই নেতার আপত্তি ছিল ।

কিন্তু দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তে জামায়াতে ইসলামীকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং শনিবার জামায়াতের ইফতারে বিএনপির অংশ নেওয়ার বিষয়টিও তার সিদ্ধান্তে হয়েছে।

যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত এলডিপির প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নূর, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, বিএলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিকল্পধারা বাংলাদেশ’র অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারি ও  পেশাজীবী নেতারা।

ইফতারে আগে দেশের বর্তমান অবস্থা ও সরকারের দমন পীড়নের বিষয়টি তুলে ধরে এর বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।