ঢাকা ০৮:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আধুনিক কেবিন ব্লক ও দৃষ্টিনন্দন পানির ফোয়ারা উদ্বোধন Logo ঝিনাইদহে ১০ ও ১৬ মাসে হিফজ সম্পন্ন, দুই শিক্ষার্থী ওমরাহ হজে পাঠাবে মাদ্রাসা Logo গাইবান্ধা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক ডা. ময়নুল হাসান সাদিক Logo কক্সবাজার-৩ আসনে বিএনপির আস্থা লুৎফুর রহমান কাজল Logo উখিয়ায় শিশু ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা Logo মহেশপুরে মোটরসাইকেল ও আলমসাধুর সংঘর্ষে কলেজ ছাত্র নিহত Logo কেশবপুরে বিএনপির প্রার্থী তালিকায় রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ Logo যশোরে তরিকুল ইসলাম স্মরণে সাংবাদিক ইউনিয়নের দোয়া মাহফিল Logo সাদুল্লাপুরে হলুদক্ষেতে বৃদ্ধাকে ধর্ষণ ঘটনায় যুবক গ্রেফতার

ঝিনাইদহে ১০ ও ১৬ মাসে হিফজ সম্পন্ন, দুই শিক্ষার্থী ওমরাহ হজে পাঠাবে মাদ্রাসা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৫১ বার পড়া হয়েছে

Oplus_16908288

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাত্র ১০ ও ১৬ মাসে পবিত্র কোরআন হিফজ সম্পন্ন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ঝিনাইদহ আল-কলম হিফয মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থী। তাদের এই অসাধারণ অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ পুরস্কার হিসেবে ওমরাহ হজে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। হিফজ সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীরা হলেন মিয়া মোহাম্মদ মোস্তফা (১১) ও তানভীর মাহমুদ ইফাদ (১১)। মিয়া মোহাম্মদ মোস্তফা ঝিনাইদহের আল-কলম হিফয মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তিনি ২০২৪ সালের মে মাসে হিফজ শুরু করেন এবং অসুস্থতা জনিত কারণে চার মাস বিরতি থাকা সত্ত্বেও মাত্র ১০ মাস ১৮ দিনে পুরো কোরআন মুখস্থ সম্পন্ন করেন। তাঁর বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের উপশহর পাড়ায়। পিতা মিয়া মোহাম্মদ হাসান জাকির একজন ব্যবসায়ী। অন্য শিক্ষার্থী তানভীর মাহমুদ ইফাদ একই মাদ্রাসার ছাত্র। তিনি ১৬ মাসে কোরআন হিফজ সম্পন্ন করে সাফল্যের সাথে তা শেষ করেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লক্ষীকোল গ্রামের পিতা কে. এম. তিতুর ছেলে তিনি।
এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদাণ ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল, ইসলামী ফাউন্ডেশনে উপ-পরিচালক রেজাউল করিম, আল-কলম ফাউন্ডেমনের চেয়ারম্যান শায়খ মুহাম্মদ সাইদুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে পুরো কোরআন হিফজ করা অত্যন্ত কঠিন ও বিরল অর্জন। এই দুই শিক্ষার্থীর অধ্যবসায় ও মনোযোগ অন্য শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
মাদ্রাসার পরিচালক শায়খ মুহাম্মদ সাইদুর রহমানবলেন, “তাদের এই অসাধারণ কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ মাদ্রাসার পক্ষ থেকে ওমরাহ হজে পাঠানো হবেÑযাতে তারা আল্লাহর ঘরে গিয়ে শুকরিয়া আদায় করতে পারে।” এই অর্জনে শিক্ষার্থীদের পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের জোয়ার বয়ে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঝিনাইদহে ১০ ও ১৬ মাসে হিফজ সম্পন্ন, দুই শিক্ষার্থী ওমরাহ হজে পাঠাবে মাদ্রাসা

আপডেট সময় :

মাত্র ১০ ও ১৬ মাসে পবিত্র কোরআন হিফজ সম্পন্ন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ঝিনাইদহ আল-কলম হিফয মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থী। তাদের এই অসাধারণ অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ পুরস্কার হিসেবে ওমরাহ হজে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। হিফজ সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীরা হলেন মিয়া মোহাম্মদ মোস্তফা (১১) ও তানভীর মাহমুদ ইফাদ (১১)। মিয়া মোহাম্মদ মোস্তফা ঝিনাইদহের আল-কলম হিফয মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তিনি ২০২৪ সালের মে মাসে হিফজ শুরু করেন এবং অসুস্থতা জনিত কারণে চার মাস বিরতি থাকা সত্ত্বেও মাত্র ১০ মাস ১৮ দিনে পুরো কোরআন মুখস্থ সম্পন্ন করেন। তাঁর বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের উপশহর পাড়ায়। পিতা মিয়া মোহাম্মদ হাসান জাকির একজন ব্যবসায়ী। অন্য শিক্ষার্থী তানভীর মাহমুদ ইফাদ একই মাদ্রাসার ছাত্র। তিনি ১৬ মাসে কোরআন হিফজ সম্পন্ন করে সাফল্যের সাথে তা শেষ করেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লক্ষীকোল গ্রামের পিতা কে. এম. তিতুর ছেলে তিনি।
এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদাণ ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল, ইসলামী ফাউন্ডেশনে উপ-পরিচালক রেজাউল করিম, আল-কলম ফাউন্ডেমনের চেয়ারম্যান শায়খ মুহাম্মদ সাইদুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে পুরো কোরআন হিফজ করা অত্যন্ত কঠিন ও বিরল অর্জন। এই দুই শিক্ষার্থীর অধ্যবসায় ও মনোযোগ অন্য শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
মাদ্রাসার পরিচালক শায়খ মুহাম্মদ সাইদুর রহমানবলেন, “তাদের এই অসাধারণ কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ মাদ্রাসার পক্ষ থেকে ওমরাহ হজে পাঠানো হবেÑযাতে তারা আল্লাহর ঘরে গিয়ে শুকরিয়া আদায় করতে পারে।” এই অর্জনে শিক্ষার্থীদের পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের জোয়ার বয়ে গেছে।