টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সিএনজিসহ দুই চোরাকারবারি আটক

- আপডেট সময় : ১৪৯ বার পড়া হয়েছে
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) আজ এক সফল মাদকবিরোধী অভিযানে দশ দশ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে এবং এর সাথে জড়িত দুই মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র K-9 ইউনিটের দক্ষ ডগ ‘মেঘলা’ এই বিপুল পরিমাণ মাদক শনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
টেকনাফ ২ বিজিবি এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আশিকুর রহমান পিএসসি জানান,গত৩০ আগস্ট বিকাল আড়াই ঘটিকায় টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর দমদমিয়া চেকপোস্টে কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যরা কুতুপালং হতে টেকনাফগামী একটি রেজিঃ বিহীন ‘সিএনজি’ (চেসিজ নং MBX0004CFMF116855 এবং ইঞ্জিন নং অস্পষ্ট) তল্লাশীর জন্য থামায়। সিএনসিজি’টি থামানোর পর, বিজিবি K-9 ইউনিটের দক্ষ সদস্য ডগ ‘মেঘলা’ (বিজিডি-১০৮৯, নারকোটিক্স, মহিলা) তল্লাশি শুরু করলে তাৎক্ষণিকভাবে সিএনজি’র পিছনের সিটের বাম পাশে বসা বস্তাসহ একজন ইয়াবা কারবারী উখিয়ার ১৫ নং জামতলি এফডিএমএন ক্যাম্পের এ/৩ ব্লগের বাসিন্দা মৃত হারুনের পুত্র মোহাম্মদ রফিক (২৯) ও সিএনজি, চালক পার্বত্য বান্দরবান জেলার আলী কদম উপজেলার মান্নান মেম্বার পাড়া এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর আবুল কাশেম (২৬) ক্রমাগত সংকেত দিতে থাকে। একই মুহূর্তে ঐ আসনের আরোহীর সন্দেহজনক আচরণ কর্তব্যরত বিজিবি সৈনিকদের নজরে আসে। পরবর্তীতে সৈনিকরা তাকে এবং বস্তাটি তল্লাশি করে বস্তার ভেতরে রাজমিস্ত্রীর কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদির নিচে লুকানো বিশেষভাবে মোড়কজাতকৃত অবস্থায় দশ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করে। উক্ত সময়ে অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য পরিবহনে ব্যবহৃত সিএনজি’র চালক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে বিজিবি টহল দল কর্তৃক তাকে আটক করে। বর্তমানে, আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরপূর্বক জব্দকৃত আলামতসহ টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি আরো জানান, এই অভিযানটি মাদক পাচারকারীদের প্রতি একটি স্পষ্ট বার্তা বহন করে যে, কোনো অপতৎপরতাই বিজিবি’র নজর এড়াতে পারবে না এবং দেশকে মাদকমুক্ত রাখতে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।