ঢাকা ০৭:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিমান বাহিনীর অভ্যন্তরে ‘র’নেটওয়ার্ক ফাঁস শীর্ষক প্রতিবেদনে বিভ্রান্তিকর তথ্য সম্পর্কে প্রতিবাদ লিপি Logo পটুয়াখালী জেলা বিজেপির আহবায়ক শাওন ও সদস্য সচিব রুমী Logo জকসু নির্বাচনসহ ২ দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি Logo নওগাঁয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষ মেলা শুরু Logo বছরের সাত মাস পানি বন্ধী বিদ্যালয় তিন যুগ ধরে নৌকায় যাতায়াত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর Logo ঝিনাইগাতীতে সামান্য বৃষ্টিতেই প্রধান রাস্তায় হাঁটুপানি, দুর্ভোগে পথচারীরা Logo ভান্ডারিয়ায় খাল থেকে যুবকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার,পায়ে বাঁধা ছিল ইট Logo রক্তস্নাত মাগুরার ৪ আগস্ট: যেদিন কলমে রক্ত জমেছিল, চোখে জমেছিল মৃত্যুর আলপনা Logo জয়পুরহাটে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূতি উপলক্ষে প্রতিবন্ধী মেলা Logo প্রতিবছর নদী ভাঙ্গনে কমছে জমি, গৃহহীন হচ্ছেন হাজারো পরিবার

ঢাকা- আরিচা মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ৩০১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

২০১৮ সালের পরিপত্র পূনর্বহাল ও সরকারি চাকুরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে বাংলা ব্লকড এর অংশ হিসাবে টানা পঞ্চম দিনের মতো ঢাকা- আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের( জাবি) শিক্ষার্থীরা। সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একযোগে মহাসড়কগুলো অচল করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গান-কবিতায় বিদ্যমান কোটাপ্রথায় বৈষম্যের বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকাল ৩ টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে জড়ো হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচী শুরু করেন তারা।

আন্দোলনকারীরা জানান, একই সাথে নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেব সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি চলবে। চার দফা দাবিতে টানা আন্দোলনের পর বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির পর সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে সকল প্রকার কোটা বাতিল করে আইন পাশের এক দফা দাবিতে মাঠে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।

অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে উভয় পাশে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়। যাত্রীদের যানবাহন থেকে নেমে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, আমাদের এ আন্দোলনে সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা সমর্থন জানিয়েছেন। বৈষম্যমূলক এ কোটা প্রথার অবসান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলমান থাকবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না। আজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত আমাদের এ অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা প্রথা হচ্ছে মূলত পিছিয়ে পড়া বা অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য। যেখানে ৫৬ শতাংশ কোটার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধা প্রজন্মের জন্য ৩০ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য সেখানে মাত্র ১ শতাংশ। আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত গোটা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঢাকা- আরিচা মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের

আপডেট সময় :

 

২০১৮ সালের পরিপত্র পূনর্বহাল ও সরকারি চাকুরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে বাংলা ব্লকড এর অংশ হিসাবে টানা পঞ্চম দিনের মতো ঢাকা- আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের( জাবি) শিক্ষার্থীরা। সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একযোগে মহাসড়কগুলো অচল করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গান-কবিতায় বিদ্যমান কোটাপ্রথায় বৈষম্যের বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকাল ৩ টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে জড়ো হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচী শুরু করেন তারা।

আন্দোলনকারীরা জানান, একই সাথে নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেব সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি চলবে। চার দফা দাবিতে টানা আন্দোলনের পর বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির পর সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে সকল প্রকার কোটা বাতিল করে আইন পাশের এক দফা দাবিতে মাঠে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।

অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে উভয় পাশে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়। যাত্রীদের যানবাহন থেকে নেমে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, আমাদের এ আন্দোলনে সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা সমর্থন জানিয়েছেন। বৈষম্যমূলক এ কোটা প্রথার অবসান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলমান থাকবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না। আজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত আমাদের এ অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা প্রথা হচ্ছে মূলত পিছিয়ে পড়া বা অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য। যেখানে ৫৬ শতাংশ কোটার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধা প্রজন্মের জন্য ৩০ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য সেখানে মাত্র ১ শতাংশ। আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত গোটা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবো।