ঢাকা ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

ঢামেক বন্ধ ঘোষণা

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:৪৯:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অর্নিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো দেশের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ। পাশাপাশি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীকে আবাসিক হল ছাড়ার কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হচ্ছে। শুধুমাত্র জরুরী সেবা ও শিক্ষা এবং পরীক্ষার মত স্পর্শকাতর বিষয়গুলো এই নির্দেশনার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা হল ছেড়ে যেতে প্রস্তুতিও নিচ্ছে। কেউ আবার হল ছেড়ে অনত্র চলে গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও সংশ্লিষ্ট ডা. ফজলে রাব্বী হল, ডা. আলীম চৌধুরী হল ও সোবাহানবাগ ঢাকা ডেন্টাল কলেজ আবাসিক হল এবং ক্যাম্পাসে পুলিশ র‌্যাবসহ যৌথবাহিনী সতর্ক পাহারায় রয়েছে। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে আশপাশ এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে গতকাল দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। ছাত্র-ছাত্রীদের আজ রোববার দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পেশাগত ও এমবিবিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী এবং বিদেশি শিক্ষার্থীরা এই নির্দেশনার আওতামুক্ত থাকবে। গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ (গতকাল) অনুষ্ঠিত ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজের চলমান অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে আগামীকাল (আজ) থেকে কলেজের এমবিবিএস ছাত্র-ছাত্রীদের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো। ছাত্র-ছাত্রীদের আগামীকাল (আজ) দুপুর ১২টার মধ্যে হোস্টেল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হলো।
অপরদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) আবাসিক ভবন ও একাডেমিক স্থাপনার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা নিরসনে দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
তারা জানান, সাত মাস আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা ভবনে এখনও তারা জীবন ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন, আর কর্তৃপক্ষ উদাসীন। পাঁচ দফা দাবি আদায়ে চলমান এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি দিয়েছেন এবং বিকল্প ব্যবস্থা না নিলে আরও কঠোর কর্মসূচিরও ঘোষণা দেন। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত কলেজ ক্যাম্পাসের মিলন চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীদের একাংশ।
হাতে হ্যান্ডমাইক ও ব্যানার নিয়ে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ শুরু করলেও পরবর্তীতে তারা কলেজ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশে মিছিল করেন এবং প্রহসন মানি না, মানবো না, দাবি আমাদের- মানতেই হবে স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি ছাত্রাবাসসহ একাধিক ভবন দীর্ঘদিন ধরে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে সাত মাস আগে ডা. ফজলে রাব্বি ছাত্রাবাসকে সরকারিভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ভবনের ছাদ ও দেয়াল থেকে প্রতিনিয়ত পলেস্তারা খসে পড়ছে, অনেক জায়গায় রড বেরিয়ে এসেছে। এতে যে কোনো সময় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ভবন ধসে কেউ নিহত হলে তার দায় কে নেবে?
তারা বলেন, এই ভবনগুলোতে বসবাসের অভিজ্ঞতা মানেই প্রতিদিন একটা অদৃশ্য মৃত্যু-ভয়ের সঙ্গে বসবাস করা। রানা প্লাজা বা জগন্নাথ হল ট্র্যাজেডির মতো ভয়াবহ ঘটনা এড়াতে এখনই দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, তারা একদিনের ক্ষোভে নয়, ধারাবাহিক উদ্বেগ ও সচেতনতার ভিত্তিতে এই আন্দোলনে নেমেছেন। এর আগেও বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ করা হয়েছে। কে-৮২ ব্যাচ তাদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম বয়কট করেছে, বিভিন্ন ব্যাচ ক্লাস ও ওয়ার্ড বর্জন করেছে এবং এমনকি প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগানোর মতো চূড়ান্ত প্রতিবাদও হয়েছে। এক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলেন, আমরা চিকিৎসা শেখার জায়গায় এসেছি, ভবন ধসে মরার জন্য না। অথচ প্রশাসন নির্লিপ্ত। কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নেই।
শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপিতে উত্থাপিত পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, নতুন ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস নির্মাণের জন্য দ্রুত বাজেট পাস। আবাসন ব্যবস্থা নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। নতুন একাডেমিক ভবনের জন্য আলাদা বাজেট পাস করা। আবাসন ও একাডেমিক ভবনের বাজেট পৃথকভাবে অনুমোদন ও দ্রুত দৃশ্যমান বাস্তবায়ন। সব প্রকল্প ও কার্যক্রমের অগ্রগতি শিক্ষার্থীদের সামনে স্বচ্ছভাবে উপস্থাপনের জন্য শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিয়োগ।
এর আগে শিক্ষার্থীদের পক্ষে এইকটি স্মারকলিপিটি কলেজ প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তৌহিদুল আবেদীন তানভীর (কে-৭৮ ব্যাচ), সাদিয়া ইসলাম মৌলি (কে-৭৮), আবদুল্লাহ আল নোমান (কে-৭৯), আলফাজ হোসাইন শিহাব (কে-৭৯), ও সিয়াম মোর্শেদসহ (কে-৮০) আরও অনেকে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আবাসিক ও একাডেমিক ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান ও মিলন চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঢামেক বন্ধ ঘোষণা

আপডেট সময় : ১১:৪৯:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অর্নিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো দেশের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ। পাশাপাশি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীকে আবাসিক হল ছাড়ার কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হচ্ছে। শুধুমাত্র জরুরী সেবা ও শিক্ষা এবং পরীক্ষার মত স্পর্শকাতর বিষয়গুলো এই নির্দেশনার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা হল ছেড়ে যেতে প্রস্তুতিও নিচ্ছে। কেউ আবার হল ছেড়ে অনত্র চলে গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও সংশ্লিষ্ট ডা. ফজলে রাব্বী হল, ডা. আলীম চৌধুরী হল ও সোবাহানবাগ ঢাকা ডেন্টাল কলেজ আবাসিক হল এবং ক্যাম্পাসে পুলিশ র‌্যাবসহ যৌথবাহিনী সতর্ক পাহারায় রয়েছে। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে আশপাশ এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে গতকাল দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। ছাত্র-ছাত্রীদের আজ রোববার দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পেশাগত ও এমবিবিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী এবং বিদেশি শিক্ষার্থীরা এই নির্দেশনার আওতামুক্ত থাকবে। গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ (গতকাল) অনুষ্ঠিত ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজের চলমান অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে আগামীকাল (আজ) থেকে কলেজের এমবিবিএস ছাত্র-ছাত্রীদের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো। ছাত্র-ছাত্রীদের আগামীকাল (আজ) দুপুর ১২টার মধ্যে হোস্টেল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হলো।
অপরদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) আবাসিক ভবন ও একাডেমিক স্থাপনার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা নিরসনে দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
তারা জানান, সাত মাস আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা ভবনে এখনও তারা জীবন ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন, আর কর্তৃপক্ষ উদাসীন। পাঁচ দফা দাবি আদায়ে চলমান এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি দিয়েছেন এবং বিকল্প ব্যবস্থা না নিলে আরও কঠোর কর্মসূচিরও ঘোষণা দেন। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত কলেজ ক্যাম্পাসের মিলন চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীদের একাংশ।
হাতে হ্যান্ডমাইক ও ব্যানার নিয়ে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ শুরু করলেও পরবর্তীতে তারা কলেজ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশে মিছিল করেন এবং প্রহসন মানি না, মানবো না, দাবি আমাদের- মানতেই হবে স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি ছাত্রাবাসসহ একাধিক ভবন দীর্ঘদিন ধরে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে সাত মাস আগে ডা. ফজলে রাব্বি ছাত্রাবাসকে সরকারিভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ভবনের ছাদ ও দেয়াল থেকে প্রতিনিয়ত পলেস্তারা খসে পড়ছে, অনেক জায়গায় রড বেরিয়ে এসেছে। এতে যে কোনো সময় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ভবন ধসে কেউ নিহত হলে তার দায় কে নেবে?
তারা বলেন, এই ভবনগুলোতে বসবাসের অভিজ্ঞতা মানেই প্রতিদিন একটা অদৃশ্য মৃত্যু-ভয়ের সঙ্গে বসবাস করা। রানা প্লাজা বা জগন্নাথ হল ট্র্যাজেডির মতো ভয়াবহ ঘটনা এড়াতে এখনই দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, তারা একদিনের ক্ষোভে নয়, ধারাবাহিক উদ্বেগ ও সচেতনতার ভিত্তিতে এই আন্দোলনে নেমেছেন। এর আগেও বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ করা হয়েছে। কে-৮২ ব্যাচ তাদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম বয়কট করেছে, বিভিন্ন ব্যাচ ক্লাস ও ওয়ার্ড বর্জন করেছে এবং এমনকি প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগানোর মতো চূড়ান্ত প্রতিবাদও হয়েছে। এক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলেন, আমরা চিকিৎসা শেখার জায়গায় এসেছি, ভবন ধসে মরার জন্য না। অথচ প্রশাসন নির্লিপ্ত। কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নেই।
শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপিতে উত্থাপিত পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, নতুন ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস নির্মাণের জন্য দ্রুত বাজেট পাস। আবাসন ব্যবস্থা নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। নতুন একাডেমিক ভবনের জন্য আলাদা বাজেট পাস করা। আবাসন ও একাডেমিক ভবনের বাজেট পৃথকভাবে অনুমোদন ও দ্রুত দৃশ্যমান বাস্তবায়ন। সব প্রকল্প ও কার্যক্রমের অগ্রগতি শিক্ষার্থীদের সামনে স্বচ্ছভাবে উপস্থাপনের জন্য শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিয়োগ।
এর আগে শিক্ষার্থীদের পক্ষে এইকটি স্মারকলিপিটি কলেজ প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তৌহিদুল আবেদীন তানভীর (কে-৭৮ ব্যাচ), সাদিয়া ইসলাম মৌলি (কে-৭৮), আবদুল্লাহ আল নোমান (কে-৭৯), আলফাজ হোসাইন শিহাব (কে-৭৯), ও সিয়াম মোর্শেদসহ (কে-৮০) আরও অনেকে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আবাসিক ও একাডেমিক ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান ও মিলন চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।