ঢাকা ১২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo `জুলাই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজের অঙ্গীকার’ Logo ডামুড্যায় গরীব ও অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ Logo বিশ্বনাথে আলোকিত সুর সাংস্কৃতিক ফোরাম অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা Logo বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে মামলা Logo সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগের দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন Logo ঝিনাইদহে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo ভালো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল ভূমিকা রাখছে Logo বন্ধু একাদশ হাকিমপুরকে হারিয়ে মুন্সিপাড়া ওয়ারিয়ার্স দিনাজপুর চ্যাম্পিয়ান Logo জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর Logo ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা

ঢেউয়ে তোড়ে তীরে উঠে গেল চারটি জাহাজ

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১৪০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামে নিম্নচাপের প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়া ও সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চারটি নৌযান তীরে উঠে গেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উপকূলে এসব নৌযান আটকে যায়। চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমার আওতাধীন আনোয়ারা উপকূলে দুটি নৌযান আটকা পড়েছে। নৌযান দুটি হলো মারমেইড-৩ ও নাভিমার-৩। এর মধ্যে মারমেইড-৩ হলো বার্জ, নাভিমার-৩ টাগবোটের সাহায্যে এটি আনা-নেওয়া করা হয়। এদিকে, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা উপকূলে এদিন রাতে একইভাবে ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে দুটি জাহাজ আটকা পড়েছে। জাহাজ দুটি হলো এমভি আল-হেরেম ও বিএলপিজি সোফিয়া।
জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের নির্মাণকাজের জন্য মারমেইড-৩ বার্জে করে ভারত থেকে বড় পাথর নিয়ে আসা হয়েছিল। এ সময় নাভিমার-৩ টাগবোটে জ্বালানি সরবরাহ করলেও কোনো বিল দেয়নি টাগবোটটির মালিকপক্ষ। আবার নৌযান দুটির স্থানীয় প্রতিনিধি ভিশন শিপিং কোম্পানিও কোনো বিল পায়নি। এ নিয়ে অন্তত পাঁচটি মামলা হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় নৌযান দুটি চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় নোঙর করা অবস্থায় পড়ে ছিল।
ভিশন শিপিং কোম্পানির একজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জাহাজটির মালিকপক্ষ কোনো সাড়া দিচ্ছে না। কোনো বিল না পেলেও প্রতিনিয়ত নৌযান দুটিতে চারজন ওয়াচম্যান বা পাহারাদার সরবরাহ করে যাচ্ছি আমরা।জাহাজের এক পাহারাদার মিসকাতুর রহমান জানান, সাগরে প্রচণ্ড ঢেউয়ের মুখে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নৌযান দুটি উপকূলে আটকা পড়ে। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অক্টোবরে এলপিজি গ্যাস স্থানান্তরের সময় বিএলপিজি সোফিয়া জাহাজটি বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঢেউয়ে তোড়ে তীরে উঠে গেল চারটি জাহাজ

আপডেট সময় :

চট্টগ্রামে নিম্নচাপের প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়া ও সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চারটি নৌযান তীরে উঠে গেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উপকূলে এসব নৌযান আটকে যায়। চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমার আওতাধীন আনোয়ারা উপকূলে দুটি নৌযান আটকা পড়েছে। নৌযান দুটি হলো মারমেইড-৩ ও নাভিমার-৩। এর মধ্যে মারমেইড-৩ হলো বার্জ, নাভিমার-৩ টাগবোটের সাহায্যে এটি আনা-নেওয়া করা হয়। এদিকে, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা উপকূলে এদিন রাতে একইভাবে ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে দুটি জাহাজ আটকা পড়েছে। জাহাজ দুটি হলো এমভি আল-হেরেম ও বিএলপিজি সোফিয়া।
জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের নির্মাণকাজের জন্য মারমেইড-৩ বার্জে করে ভারত থেকে বড় পাথর নিয়ে আসা হয়েছিল। এ সময় নাভিমার-৩ টাগবোটে জ্বালানি সরবরাহ করলেও কোনো বিল দেয়নি টাগবোটটির মালিকপক্ষ। আবার নৌযান দুটির স্থানীয় প্রতিনিধি ভিশন শিপিং কোম্পানিও কোনো বিল পায়নি। এ নিয়ে অন্তত পাঁচটি মামলা হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় নৌযান দুটি চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় নোঙর করা অবস্থায় পড়ে ছিল।
ভিশন শিপিং কোম্পানির একজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জাহাজটির মালিকপক্ষ কোনো সাড়া দিচ্ছে না। কোনো বিল না পেলেও প্রতিনিয়ত নৌযান দুটিতে চারজন ওয়াচম্যান বা পাহারাদার সরবরাহ করে যাচ্ছি আমরা।জাহাজের এক পাহারাদার মিসকাতুর রহমান জানান, সাগরে প্রচণ্ড ঢেউয়ের মুখে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নৌযান দুটি উপকূলে আটকা পড়ে। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অক্টোবরে এলপিজি গ্যাস স্থানান্তরের সময় বিএলপিজি সোফিয়া জাহাজটি বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।