ঢাকা ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বান্দরবানে জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন Logo জয়পুরহাটে ঝুঁকিপূর্ণ গাছের ডালপালা ছাঁটাই স্থগিত করেছে নেসকো Logo গাইবান্ধা সদর আসনে মাঠ-ময়দানে নির্বাচনী প্রস্তুতিতে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর Logo কোম্পানীগঞ্জে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত Logo টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী মাহত আমিন গ্রেপ্তার Logo জনগণই বিএনপির শক্তি-বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম Logo আগুনে পুড়ে সর্বস্ব হারানো জুয়েল মিয়ার পাশে কুড়িগ্রাম জেলা চর উন্নয়ন কমিটি Logo জুড়ীতে বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা Logo স্বতন্ত্র নার্সিং প্রশাসন রক্ষার দাবিতে কুড়িগ্রামে নার্সদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়ে তুলতে সংগ্রাম চলবেই

ইসলামী আন্দোলনের নেতা আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ

দূর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে লাঠি নিয়ে সংসদে যেতে চান

রামগতি(লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা লুটপাট ও দুর্নীতি। এই দুর্নীতি বন্ধের আইন সংশোধনের জন্য আমি লাঠি নিয়ে সংসদে যেতে চাই। কথাগুলো বললেন লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ও কমলনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ। তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে আমি আমার জন্য জিহাদ হিসেবে গ্রহণ করেছি। ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ চরমার্টিন ইউনিয়ন শাখার সভাপতি কারী শোয়াইব সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী যুব আন্দোলন লক্ষ্মীপুর জেলা সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা ইসমাইল সিরাজী, কমলনগর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আরিফ বিল্লাহ সহ নেতৃবৃন্দ। মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আরও বলেন, মানুষকে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন দুইটা কাজ দিয়ে। একটা হলো সৎ কাজের আদেশ অন্যটা হলো অসৎ কাজের নিষেধ করার জন্য। আমি বই পড়ে রাজনীতি করিনা। আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আমি রাজনীতি করছি। আমি দুইবার ইউপি চেয়ারম্যান ছিলাম। একবার উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছে।তিনি বলেন,বাজেট বরাদ্দ হয় উপজেলা থেকে। আসে ইউনিয়ন পরিষদে। আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ঘুষ দুর্নীতি বন্ধের চেষ্টা করেছিলাম। পরে দেখলাম দুর্নীতির আখড়া উপজেলা পরিষদে। তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান হতে হবে। আলহামদুলিল্লাহ আমি উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছি। তিনি বলেন বিগত ৫৪ বছর এই দেশটা ব্রিটিশের করা আইনে চলছে। আমাদের দেশে বড় বড় উন্নয়নগুলো টেন্ডারে হয়। যে দল ক্ষমতায় যায়-সেই দলের লোক ছাড়া অন্যরা টেন্ডার পায়না। যেখানে লাগবে এক কোটি টাকা বরাদ্দ, দিবে ১০ কোটি টাকা। আমি প্রমাণ ছাড়া কোন কথা বলবোনা। বিগত সরকারের রাস্ট্রপতি বলেছিল যে, আমরা ১০০ টাকা পাঠালে গ্রামে যায় ১০ টাকা। আর ৯০ টাকা লুটপাট হয়। তাই এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি- ঘুষ দুর্নীতি প্রতিহত করতে লাঠি নিয়ে সংসদে যাবো ইনশাআল্লাহ। দেশে ন্যায়-ভিত্তিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় তরুণদের ইসলামী আন্দোলনের পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এবং ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার একমাত্র পথ বলে তিনি উল্লেখ করেন।মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের টানা দুইবারের চেয়ারম্যান সর্বশেষ উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইসলামী আন্দোলনের নেতা আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ

দূর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে লাঠি নিয়ে সংসদে যেতে চান

আপডেট সময় :

বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা লুটপাট ও দুর্নীতি। এই দুর্নীতি বন্ধের আইন সংশোধনের জন্য আমি লাঠি নিয়ে সংসদে যেতে চাই। কথাগুলো বললেন লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ও কমলনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ। তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে আমি আমার জন্য জিহাদ হিসেবে গ্রহণ করেছি। ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ চরমার্টিন ইউনিয়ন শাখার সভাপতি কারী শোয়াইব সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী যুব আন্দোলন লক্ষ্মীপুর জেলা সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা ইসমাইল সিরাজী, কমলনগর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আরিফ বিল্লাহ সহ নেতৃবৃন্দ। মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আরও বলেন, মানুষকে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন দুইটা কাজ দিয়ে। একটা হলো সৎ কাজের আদেশ অন্যটা হলো অসৎ কাজের নিষেধ করার জন্য। আমি বই পড়ে রাজনীতি করিনা। আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আমি রাজনীতি করছি। আমি দুইবার ইউপি চেয়ারম্যান ছিলাম। একবার উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছে।তিনি বলেন,বাজেট বরাদ্দ হয় উপজেলা থেকে। আসে ইউনিয়ন পরিষদে। আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ঘুষ দুর্নীতি বন্ধের চেষ্টা করেছিলাম। পরে দেখলাম দুর্নীতির আখড়া উপজেলা পরিষদে। তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান হতে হবে। আলহামদুলিল্লাহ আমি উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছি। তিনি বলেন বিগত ৫৪ বছর এই দেশটা ব্রিটিশের করা আইনে চলছে। আমাদের দেশে বড় বড় উন্নয়নগুলো টেন্ডারে হয়। যে দল ক্ষমতায় যায়-সেই দলের লোক ছাড়া অন্যরা টেন্ডার পায়না। যেখানে লাগবে এক কোটি টাকা বরাদ্দ, দিবে ১০ কোটি টাকা। আমি প্রমাণ ছাড়া কোন কথা বলবোনা। বিগত সরকারের রাস্ট্রপতি বলেছিল যে, আমরা ১০০ টাকা পাঠালে গ্রামে যায় ১০ টাকা। আর ৯০ টাকা লুটপাট হয়। তাই এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি- ঘুষ দুর্নীতি প্রতিহত করতে লাঠি নিয়ে সংসদে যাবো ইনশাআল্লাহ। দেশে ন্যায়-ভিত্তিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় তরুণদের ইসলামী আন্দোলনের পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এবং ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার একমাত্র পথ বলে তিনি উল্লেখ করেন।মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের টানা দুইবারের চেয়ারম্যান সর্বশেষ উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন।