নওগাঁয় ২ বাংলাদেশিকে হত্যার পর মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ
- আপডেট সময় : ১২:১৫:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪ ২০৫ বার পড়া হয়েছে
সীমান্তে ২ বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যার পর তাদের মরদেহ নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। লালমনিরহাটের আদিতমারীর দুর্গাপুর ও নওগাঁর পোরশায় এ ঘটনা।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে আদিতমারীর দূর্গাপুর বিওপি সীমান্তের ৯২৩ নাম্বার পিলারের কাছে ভারতের ৭৫ গজ অভ্যন্তরে ও মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে পোরশা সীমান্তের-পিআর ৩১/১০ নং পিলারের কাছে ভারতীয় সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে লিটন (১৯) ও আলামিন (২৮)। লিটন আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী এলাকার মোকছেদুল রহমানের ছেলে ও আলামিন পোরশার বিঞ্চুপুর এলাকার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে।
কোচবিহার জেলার সিতাই থানার কৈমারী ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক লিটন নিহত হয়। নিহতের মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ। এ ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফ পর্যায়ে কোনো প্রকার পতাকা বৈঠক এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি।
অপর দিকে আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য নবিকুল ইসলাম জানান, সোমবার রাত থেকেই সীমান্তে বিজিবিসহ অপেক্ষা করছি মরদেহ ফেরতের জন্য। কিন্তু ভারতীয় বিএসএফ এখনো নিহতের মরদেহ ফেরত দেয়নি।
সোমবার সঙ্গীদের নিয়ে গরু আনতে যান আলামিন। গরু নিয়ে ফেরার পথে পোরশা সীমান্তের-পিআর ৩১-১০ পিলারের কাছে দাল্লা সীমান্তের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আলামিন। নিহতের মরদেহ নিয়ে যান বিএসএফ সদস্যরা।
নওগাঁ-১৬ বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিন করে বিলেন, সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে একজন মারা গেছেন। এ ব্যাপারে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হবে।
গত ১৭ মার্চ দুপুরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সিকরিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে পারভেজ হোসেন সাদ্দাম নামে এক কিশোর নিহত হয়। আহত হয় আরও একজন।