নবীনগরে শহীদ সুজয় স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণে আর্থিক সহযোগিতা করলেন নজরুল ইসলাম নজু

- আপডেট সময় : ০১:৪০:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫ ২৫ বার পড়া হয়েছে
গেলো বছরের জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনে ঢাকার আশুলিয়ায় নিহত পরিবারের একমাত্র ছেলের স্মৃতিকে পুরো জাতির সামনে তুলে ধরতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামে নির্মাণ করা হয় শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ। উপজেলার বিটঘর সিএনজি স্টেশনে এই স্তব্ধটি নির্মাণে ও সেই পরিবারটির পাশে আর্থিক ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের কৃতিসন্তান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দানবীর নজরুল ইসলাম নজু।
শনিবার ৫ই এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে শহিদ সুজয় স্মৃতি স্তম্ভ উদ্বোধন ও স্মৃতি শিক্ষা বৃত্তি প্রদান আলোচনা সভায় প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত থেকে এমন মহৎ কাজে সহযোগিতা করে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করেন তিনি। বিটঘর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শহীদ স্মৃতি বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব চৌধুরীর সভাপতিত্বে শহীদ সুজয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গাজীপুর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সানোয়ারা সুলতানা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম নজু,ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান,প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন শান্তি,গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট মেহেদী হাসান,জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠন আতাউল্লাহ,অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম তপু, সাধারণ সম্পাদক কাজী রেজাউর রহমান তানভীর,উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি আমিরুল ইসলাম,ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি মমিনুল হক ভূঁইয়া,আন্দোলনে আহত মোঃ জামাল মিয়া,সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান সুজন,শাহজাহান মাষ্টার সহ আরো অনেকেই।
বক্তারা জুলাই আগস্টের স্পিড হৃদয়ে ধারণ করে সামনের বাংলাদেশ বিনির্মাণে দলমত নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন শহীদ সুজয় স্মৃতি রক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং উক্ত এলাকার বেশ কয়েকজন মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়। পরে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ সিএনজি স্টেশনে গিয়ে শহীদ সুজয় স্মৃতি স্তম্ভ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে খুলে দেওয়া হয়।