ঢাকা ১১:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, অনলাইনে মিলবে ১১টা থেকে Logo রাজনীতিতে পরিত্যক্ত মানুষগুলোর আওয়াজই বড় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী Logo মধুপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী Logo ফের রক্তঝরলো রোহিঙ্গা শিবিরে! Logo দুর্বৃত্তের গুলিতে নড়াইলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শিকদার মোস্তফা কামালের মৃত্যু Logo প্রগতিশীল রাজনীতিক হায়দার আকবর খান রনো প্রয়াত Logo উপজেলা নির্বাচনে ৩৫ থেকে ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে : রিজভী Logo জিম্বাবুয়েকে হারালো বাংলাদেশ Logo পাঠ্যপুস্তক থেকে কৃষি শিক্ষা বাদ দিয়ে ঢোল তবলা দেয়া হয়েছে : শায়খে চরমোনাই Logo আমাদের চালিকাশক্তি অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক পয়লা বৈশাখ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নাটোরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে একজনের ৬০ বছর, তিনজনের যাবজ্জীবন

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৩:২০:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৬৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে মো. আতিক হাসান নামের এক যুবককে (৩২) পৃথক দুইটি ধারায় ৬০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৪০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেছেন আদালত। এই মামলায় আরও তিন আসামি মো. সুমন (৩৩), মো. টিপু সুলতান (৪৩) ও আবু জাফরকে (৩৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আনিসুর রহমান।

দণ্ডপ্রাপ্ত আতিক হাসান গুরুদাসপুরের নারায়ণপুর এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। আর সুমন আলী ও টিপু সুলতান একই এলাকার আশরাফ হোসেন মাস্টারের ছেলে এবং আবু জাফর সাত্তার আলীর ছেলে। মামলার বরাতে পিপি আনিসুর রহমান বলেন, প্রধান আসামি আতিক হাসান প্রেমের প্রস্তাব দিলে কলেজছাত্রী তা প্রত্যাখ্যান করায় আসামিরা একসঙ্গে ভুক্তভোগীকে রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত করতো। ২০১৪ সালের ১০ আগস্ট সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় আতিক, সুমন, টিপু ও জাফর ওই কলেজছাত্রীকে জোর করে সাদা মাইক্রোবাসে তুলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হয়ে কলেজছাত্রীর চাচা বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় চারজনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলার ১০ দিন পর ভুক্তভোগীকে দিয়ে জোর করে এফিডেভিট করানোর জন্য আসামিরা তাকে গোপনে নাটোর আদালত এলাকায় নিয়ে আসার খবর পেলে পুলিশের সহযোগিতায় কলেজছাত্রীর পরিবার ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে।

পিপি আরও বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সাহা ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বিচারক অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে মো. আতিক হাসানকে নারী ও শিশু নির্যাতনের পৃথক দুইটি ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন, যে সাজা একটির পর একটি কার্যকর হবে। এই মামলায় আরও তিন আসামি মো. সুমন, মো. টিপু সুলতান এবং আবু জাফরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন জরিমানার টাকা ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী পাবেন বলে জানান এই আইনজীবী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নাটোরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে একজনের ৬০ বছর, তিনজনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় : ০৩:২০:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে মো. আতিক হাসান নামের এক যুবককে (৩২) পৃথক দুইটি ধারায় ৬০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৪০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেছেন আদালত। এই মামলায় আরও তিন আসামি মো. সুমন (৩৩), মো. টিপু সুলতান (৪৩) ও আবু জাফরকে (৩৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আনিসুর রহমান।

দণ্ডপ্রাপ্ত আতিক হাসান গুরুদাসপুরের নারায়ণপুর এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। আর সুমন আলী ও টিপু সুলতান একই এলাকার আশরাফ হোসেন মাস্টারের ছেলে এবং আবু জাফর সাত্তার আলীর ছেলে। মামলার বরাতে পিপি আনিসুর রহমান বলেন, প্রধান আসামি আতিক হাসান প্রেমের প্রস্তাব দিলে কলেজছাত্রী তা প্রত্যাখ্যান করায় আসামিরা একসঙ্গে ভুক্তভোগীকে রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত করতো। ২০১৪ সালের ১০ আগস্ট সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় আতিক, সুমন, টিপু ও জাফর ওই কলেজছাত্রীকে জোর করে সাদা মাইক্রোবাসে তুলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হয়ে কলেজছাত্রীর চাচা বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় চারজনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলার ১০ দিন পর ভুক্তভোগীকে দিয়ে জোর করে এফিডেভিট করানোর জন্য আসামিরা তাকে গোপনে নাটোর আদালত এলাকায় নিয়ে আসার খবর পেলে পুলিশের সহযোগিতায় কলেজছাত্রীর পরিবার ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে।

পিপি আরও বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সাহা ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বিচারক অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে মো. আতিক হাসানকে নারী ও শিশু নির্যাতনের পৃথক দুইটি ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন, যে সাজা একটির পর একটি কার্যকর হবে। এই মামলায় আরও তিন আসামি মো. সুমন, মো. টিপু সুলতান এবং আবু জাফরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন জরিমানার টাকা ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী পাবেন বলে জানান এই আইনজীবী।