ঢাকা ১২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নাটোরে বিয়ে করতে এসে পুলিশ হেফাজতে ২ কিশোরী

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ৪৭২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফেসবুকে প্রথম পরিচয়। এরপর গত সাত মাস ধরে চলে সেই প্রেম। তবে এই প্রেমের সম্পর্ক কোনো নারী পুরুষের মধ্যে নয়। বরং একডালা মডেল হাইস্কুলের এক ছাত্রীর সঙ্গে সিলেটের এক মাদ্রাসার এক দশম শ্রেণির ছাত্রীর। প্রেমের সূত্র ধরে সিলেটের ওই মাদ্রাসাছাত্রী স্কুল ছাত্রীর নাটোরের এক ঢালা স্কুল ছাত্রীর বাসায় চলে আসে। বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ দুই ছাত্রীকে তাদের হেফাজতে নেয়। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছেশুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।

স্কুল ছাত্রীর মামা আকরাম বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে আমার ভাগ্নীর সঙ্গে একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এমনটা আমি আগে থেকেই জানতাম। বিষয়টি নিয়ে আমরা পারিবারিকভাবে তাকে কয়েকবার সতর্কও করেছি। কিন্তু আজ আমার ভাগ্নির কাছে একটি মেয়ে চলে এসেছে। তারা দুইজন বলছে, তারা বিয়ে করবে! এটা কি মেনে নেওয়া যায়। পরে পুলিশ এসে সিলেট থেকে আসা ওই মেয়েকে থানায় নিয়ে গেছে। আর আমার ভাগ্নীকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে‌।সিলেট থেকে আসা মাদ্রাসা ছাত্রী জানান, ৭ মাস আগে তাদের ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। পরে তারা সমকামী বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। স্কুল ছাত্রী তাকে বিয়ে করার কথা বললে সে তাকে বিয়ে করতে আসে।

নাটোর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, শুক্রবার বিকেলে তারা একে অপরকে বিয়ে করতে চাইলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃস্টি হয়। স্থানীয়রা সন্ধ্যায় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে আসে। অপ্রাপ্ত বয়স হওয়ায় তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় দেওয়া হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। আফরোজা ইয়াসমিন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নাটোরে বিয়ে করতে এসে পুলিশ হেফাজতে ২ কিশোরী

আপডেট সময় :

ফেসবুকে প্রথম পরিচয়। এরপর গত সাত মাস ধরে চলে সেই প্রেম। তবে এই প্রেমের সম্পর্ক কোনো নারী পুরুষের মধ্যে নয়। বরং একডালা মডেল হাইস্কুলের এক ছাত্রীর সঙ্গে সিলেটের এক মাদ্রাসার এক দশম শ্রেণির ছাত্রীর। প্রেমের সূত্র ধরে সিলেটের ওই মাদ্রাসাছাত্রী স্কুল ছাত্রীর নাটোরের এক ঢালা স্কুল ছাত্রীর বাসায় চলে আসে। বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ দুই ছাত্রীকে তাদের হেফাজতে নেয়। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছেশুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।

স্কুল ছাত্রীর মামা আকরাম বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে আমার ভাগ্নীর সঙ্গে একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এমনটা আমি আগে থেকেই জানতাম। বিষয়টি নিয়ে আমরা পারিবারিকভাবে তাকে কয়েকবার সতর্কও করেছি। কিন্তু আজ আমার ভাগ্নির কাছে একটি মেয়ে চলে এসেছে। তারা দুইজন বলছে, তারা বিয়ে করবে! এটা কি মেনে নেওয়া যায়। পরে পুলিশ এসে সিলেট থেকে আসা ওই মেয়েকে থানায় নিয়ে গেছে। আর আমার ভাগ্নীকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে‌।সিলেট থেকে আসা মাদ্রাসা ছাত্রী জানান, ৭ মাস আগে তাদের ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। পরে তারা সমকামী বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। স্কুল ছাত্রী তাকে বিয়ে করার কথা বললে সে তাকে বিয়ে করতে আসে।

নাটোর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, শুক্রবার বিকেলে তারা একে অপরকে বিয়ে করতে চাইলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃস্টি হয়। স্থানীয়রা সন্ধ্যায় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে আসে। অপ্রাপ্ত বয়স হওয়ায় তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় দেওয়া হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। আফরোজা ইয়াসমিন