ঢাকা ০২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

নারীদের স্বাবলম্বী করতে জীবনতরী টেকনিক্যাল ট্রেনিং একাডেমীতে এসআইসিআইপি প্রকল্পের উদ্বোধন

রাজশাহী ব্যুরো
  • আপডেট সময় : ৩৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে রাজশাহীর জীবনতরী টেকনিক্যাল ট্রেনিং একাডেমীতে “স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পিটিটিভনেস এন্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম (এসআইসিআইপি)” প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীর মোল্লাপাড়ায় অবস্থিত ‘জীবনতরী টেকনিক্যাল ট্রেনিং একাডেমী’ এর হল রুমে এই প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করা হয়। এসময় প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক মারুফ হোসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরএমপির কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুল বারি। এছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের অর্থ সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম মুকুল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আজিজুল বারি বলেন, “নারীর দক্ষতা বাড়লে শুধু পরিবারের জন্য নয়, পুরো সমাজের অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য। আজকের এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নারীদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে বড় ভূমিকা রাখবে। দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে নারীরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে, উদ্যোক্তা হতে পারবে, আবার চাইলে চাকরির ক্ষেত্রেও অবদান রাখতে পারবে। আমি বিশ্বাস করি, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীরা সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন।” বক্তব্যের মাঝে উপস্থিত শতাধিক নারীদের উদ্বুদ্ধ করেন এবং নারীদের থেকে জানতে চান, “আজকের পর থেকে নারীরা আর পিছিয়ে থাকবে না, অসহায় থাকবে না, সবাই একমত তো? বিশেষ অতিথির এমন উৎসাহে সবাই খুশি হয়। পরে সকলকে জন্য শুভকামনা জানিয়ে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।
এরপর সাংবাদিকের মাধ্যমে দেশের সকল নারীদের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক মারুফ হোসান বলেন, সরকারের সহযোগিতায় আমরা চাই প্রতিটি নারী দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠুক। এই প্রকল্প শুধু প্রশিক্ষণ নয়, এটি একটি সুযোগ। যেখানে নারীরা উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারে এবং কর্মসংস্থানের মাধ্যমে পরিবার ও দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। আমি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীদেরও আহ্বান জানাই, তারা যেন এগিয়ে আসেন এবং নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নতুন জীবনের পথচলা শুরু করেন।
বক্তব্যে তিনি আরও জানান, এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে শুধুমাত্র বাংলাদেশী নারীরাই অংশ নিতে পারবেন। অংশগ্রহণকারীদের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। ৩ মাস মেয়াদী এ প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীরা উদ্যোক্তা হিসেবে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে বা চাকরির মাধ্যমে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবেন। এছাড়াও দরিদ্র, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নারীদের স্বাবলম্বী করতে জীবনতরী টেকনিক্যাল ট্রেনিং একাডেমীতে এসআইসিআইপি প্রকল্পের উদ্বোধন

আপডেট সময় :

দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে রাজশাহীর জীবনতরী টেকনিক্যাল ট্রেনিং একাডেমীতে “স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পিটিটিভনেস এন্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম (এসআইসিআইপি)” প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীর মোল্লাপাড়ায় অবস্থিত ‘জীবনতরী টেকনিক্যাল ট্রেনিং একাডেমী’ এর হল রুমে এই প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করা হয়। এসময় প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক মারুফ হোসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরএমপির কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুল বারি। এছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের অর্থ সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম মুকুল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আজিজুল বারি বলেন, “নারীর দক্ষতা বাড়লে শুধু পরিবারের জন্য নয়, পুরো সমাজের অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য। আজকের এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নারীদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে বড় ভূমিকা রাখবে। দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে নারীরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে, উদ্যোক্তা হতে পারবে, আবার চাইলে চাকরির ক্ষেত্রেও অবদান রাখতে পারবে। আমি বিশ্বাস করি, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীরা সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন।” বক্তব্যের মাঝে উপস্থিত শতাধিক নারীদের উদ্বুদ্ধ করেন এবং নারীদের থেকে জানতে চান, “আজকের পর থেকে নারীরা আর পিছিয়ে থাকবে না, অসহায় থাকবে না, সবাই একমত তো? বিশেষ অতিথির এমন উৎসাহে সবাই খুশি হয়। পরে সকলকে জন্য শুভকামনা জানিয়ে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।
এরপর সাংবাদিকের মাধ্যমে দেশের সকল নারীদের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক মারুফ হোসান বলেন, সরকারের সহযোগিতায় আমরা চাই প্রতিটি নারী দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠুক। এই প্রকল্প শুধু প্রশিক্ষণ নয়, এটি একটি সুযোগ। যেখানে নারীরা উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারে এবং কর্মসংস্থানের মাধ্যমে পরিবার ও দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। আমি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীদেরও আহ্বান জানাই, তারা যেন এগিয়ে আসেন এবং নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নতুন জীবনের পথচলা শুরু করেন।
বক্তব্যে তিনি আরও জানান, এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে শুধুমাত্র বাংলাদেশী নারীরাই অংশ নিতে পারবেন। অংশগ্রহণকারীদের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। ৩ মাস মেয়াদী এ প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীরা উদ্যোক্তা হিসেবে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে বা চাকরির মাধ্যমে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবেন। এছাড়াও দরিদ্র, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।