নাস্তানাবুদ রাজধানীবাসী

- আপডেট সময় : ৫০০ বার পড়া হয়েছে
সকাল থেকে তীব্র গরম আর যানজটে নাস্তানাবুদ রাজধানীবাসী। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় মাসুদ অ্যাপারেলস গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন। এতে বনানীসহ আশেপাশের এলাকায় তীব্র যানজট দেখা যায়। এছাড়াও গুলশান, মহাখালীসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট ছড়িয়ে পড়ে। একই সময়ে রাজধানীর টেকনিক্যাল মোড়ে সড়ক অবরোধে নামে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সের শিক্ষার্থীরা। স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে সকাল ১১টা থেকে তারা সড়কে বসে থাকায় গাবতলী থেকে আগত পথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে তীব্র যানজটে অবরুদ্ধ যানবাহন।
রাজধানীজুড়ে সৃষ্ট এই সংকটে সাধারণ মানুষ পড়েছেন সবচেয়ে বড় বিপাকে। অফিসগামীদের অনেকেই যানজটে আটকে সময়মতো কাজে পৌঁছাতে পারেননি। রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সও ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা পড়েছে। অনেকে নিকটবর্তী গন্তব্যে হেঁটে যেতে বাধ্য হয়েছেন, কিন্তু দূরপাল্লার যাত্রীদের ভোগান্তি আরও অসহনীয় হয়ে উঠেছে। বনানী থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান, শ্রমিকরা আউটগোয়িং লেনে অবস্থান নেওয়ায় উত্তরামুখী যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। গুলশান ট্রাফিক বিভাগ থেকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
যানজটে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা বলেন, ঢাকা শহরে যানজট নিত্য বিষয়। তার ওপর সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনের ফলে যানজট আরও বেড়েছে। তাছাড়া এই যানজটের মধ্যে দাঁড়িয়ে রোদের তীব্র তাপ পোহাতে হচ্ছে। একেবারে অস্থির লাগছে। কী করবো ভেবে উপায় পাচ্ছিনা। কিছু থেকে কিছু হলেই সড়ক অবরোধের এই প্রবণতা আমাদের দেশ থেকে আর গেলো না।
আগারগাঁও থেকে গুলশান যাচ্ছিলেন সৌরভ আহমেদ। তিনি বলেন, আগারগাঁও থেকে গুলশান-১ পর্যন্ত যেতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। একদিকে যানজট অন্যদিকে ভ্যাপসা গরম। একেবারে হাঁপিয়ে উঠেছি। আবুল বাশার নামের আরেকজন পথচারী বলেন, সকালের দিকে বিভিন্ন এলাকায় স্কুল-কলেজকেন্দ্রিক যানবাহনের চাপ থাকে, সেই চাপ প্রধান সড়কগুলোতে গিয়ে পড়ে। যার ফলে প্রতিনিয়ত যানজট হয়। এর মধ্যে যদি কেউ সড়ক অবরোধ করে তাহলে সেই যানজটের মাত্রা তিন গুণ বেড়ে যায়। ভোগান্তি পড়তে হয় আমাদের মত সাধারণ নাগরিকদের। তার ওপর আজকের রোদের তীব্রতা অন্যান্য দিনের চেয়ে অনেক বেশি। দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিব উল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বেলা ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে দিয়েছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কাছে ভিসি মহোদয় এসেছিলেন। এরপর তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। পরে তারা ক্যাম্পাসে ফিরে যান। বর্তমানে সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সড়কে কোনও আন্দোলনকারী নেই দাবি করে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার রাসেল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সকালে সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনকারী শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে দিয়েছে। তাদের ৩০ জনের একটি টিম বিজিএমই-তে গিয়েছে। সেখানে বিকাল ৩টার দিকে শ্রমিক প্রতিনিধি, শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা এবং মালিক প্রতিনিধি সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।