ঢাকা ০৭:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ত্রিশালে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই শতাধিক পেঁপে গাছ নিধনের অভিযোগ Logo দাগনভূঞায় সেতু আছে, সড়ক নেই। জনভোগান্তি চরমে Logo বাগেরহাটে জমি দখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ সংবাদ সম্মেলনে Logo নিয়ামতপুরে বিএনপির উঠান বৈঠক Logo পুষ্টির সচেতনতা বিষয়ক  প্রশিক্ষন কর্মশালা Logo শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ ১৫ বছর পর চালু হলো ৩ কেবিন  Logo পাথরঘাটায় প্রবাসী স্ত্রীকে মারধর করে টাকা-স্বর্ণালংকার লুট, ১৮ লাখ চাঁদা দাবি  Logo নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ Logo মামলার বাদীকে ভয়ভীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo নাটোরে জুঁই হত্যাকারীদের গ্রেফতারে আল্টিমেটাম, দিল বৈষম্যছাত্র বিরোধী আন্দোলন

নিয়ন্ত্রহীন বাজারের লাগাম টানতে, ২৯ পণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে প্রজ্ঞাপন

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১০:২৩:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪ ৩২৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

গেল বছর ১৪ সেপ্টেম্বর ডিম প্রতিটি ১২, আলুর কেজি ৩৫-৩৬ এবং দেশি পেঁয়াজের কেজি ৬৪-৬৫ টাকা দাম নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য সরকারের নির্ধারিত মূল্যে ভোক্তারা কোন তিনটির একটি পণ্য কিনতে পারেনি।

পণ্যের মূল্য করে দেবার পরও সেই মূল্য বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এবারেও সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করে সাধারণ ভোক্তাদের অনেকেরই মন্তব্য, মূল্য বেধে দিলেই হলো না, তার সঠিক বাস্তায়নই বড় কথা।

এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের মানবিকমূল্যবোধের উন্নয়ন না ঘটলে সরকারের এমন মহতি উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়বে। যেমন গত বছর আলু, ডিম আর পেঁয়াজের দাম বেঁধে দিয়েও ভোক্তাদের কোন উপকারে আসেনি

শুক্রবার (১৫ মার্চ) নিয়ন্ত্রহীন বাজারের লাগাম টানতে ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে প্রজ্ঞাপন করে সরকার। কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের প্রজ্ঞপনে বলা হয়েছে, গরুর মাংস কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৬৩১ দশমিক ৬৯ টাকা ও খুচরা ৬৬৪ দশমিক ৩৯, ছাগলের মাংস পাইকারি বাজার মূল্য ৯৫২ দশমিক ৫৮ টাকা ও খুচরা ১০০৩ দশমিক ৫৬।

দেশি পেঁয়াজ, ছোলা, ব্রয়লার মুরগি, গরুর মাংসসহ ২৯ নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে শুক্রবার (১৫ মার্চ) প্রজ্ঞাপন জারি করে কৃষি বিপণন অধিদফতর।

সংস্থার মহাপরিচালক মাসুদ করিম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাইকারি বাজারে ছোলার দাম সর্বোচ্চ সাড়ে ৯৩ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৯৮ টাকা দরে বিক্রি করা যাবে। মসুর ডালের খুচরা পর্যায়ে দাম হবে ১৩০ টাকা ৫০ পয়সা এবং মোটা দানার মসুর বিক্রি হবে ১০৫ টাকা ৫০ পয়সায়। খেসারি ডালের খুচরায় সর্বোচ্চ দাম হবে ৯৩ টাকা। মাসকালাই ১৬৬ টাকা ৫০ পয়সা এবং মুগডাল খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ১৬৫ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়।

প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৬৪ টাকা। ছাগলের মাংস ১ হাজার ৩ টাকা এবং মাছের মধ্যে চাষের পাঙাশের খুচরা দাম ১৮১ টাকা ও কাতলা মাছের দাম সর্বোচ্চ ৩৫৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা দরে কিনতে পারবেন ক্রেতারা। এছাড়া প্রতি পিস ডিমের দাম হবে সর্বোচ্চ সাড়ে ১০ টাকা।

প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬৫, রসুন ১২০ টাকা ও আদা ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হবে। শুকনো মরিচ ৩২৭ এবং কাচা মরিচ ৬০ টাকায় খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সবজির মধ্যে বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৩০ টাকা, প্রতিকেজি বেগুন ও সিম ৫০ টাকা ও আলু ২৮ টাকা ৫০ পয়সা, টমেটো ৪০ টাকা।

জাহেদী খেজুর ১৫৫ টাকা, সাগর কলার প্রতি হালি ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। চিড়ার খুচরা দাম ৬০ টাকা, বেসন ১২১ টাকা বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।

 

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নিয়ন্ত্রহীন বাজারের লাগাম টানতে, ২৯ পণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে প্রজ্ঞাপন

আপডেট সময় : ১০:২৩:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪

 

গেল বছর ১৪ সেপ্টেম্বর ডিম প্রতিটি ১২, আলুর কেজি ৩৫-৩৬ এবং দেশি পেঁয়াজের কেজি ৬৪-৬৫ টাকা দাম নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য সরকারের নির্ধারিত মূল্যে ভোক্তারা কোন তিনটির একটি পণ্য কিনতে পারেনি।

পণ্যের মূল্য করে দেবার পরও সেই মূল্য বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এবারেও সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করে সাধারণ ভোক্তাদের অনেকেরই মন্তব্য, মূল্য বেধে দিলেই হলো না, তার সঠিক বাস্তায়নই বড় কথা।

এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের মানবিকমূল্যবোধের উন্নয়ন না ঘটলে সরকারের এমন মহতি উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়বে। যেমন গত বছর আলু, ডিম আর পেঁয়াজের দাম বেঁধে দিয়েও ভোক্তাদের কোন উপকারে আসেনি

শুক্রবার (১৫ মার্চ) নিয়ন্ত্রহীন বাজারের লাগাম টানতে ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে প্রজ্ঞাপন করে সরকার। কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের প্রজ্ঞপনে বলা হয়েছে, গরুর মাংস কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৬৩১ দশমিক ৬৯ টাকা ও খুচরা ৬৬৪ দশমিক ৩৯, ছাগলের মাংস পাইকারি বাজার মূল্য ৯৫২ দশমিক ৫৮ টাকা ও খুচরা ১০০৩ দশমিক ৫৬।

দেশি পেঁয়াজ, ছোলা, ব্রয়লার মুরগি, গরুর মাংসসহ ২৯ নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে শুক্রবার (১৫ মার্চ) প্রজ্ঞাপন জারি করে কৃষি বিপণন অধিদফতর।

সংস্থার মহাপরিচালক মাসুদ করিম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাইকারি বাজারে ছোলার দাম সর্বোচ্চ সাড়ে ৯৩ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৯৮ টাকা দরে বিক্রি করা যাবে। মসুর ডালের খুচরা পর্যায়ে দাম হবে ১৩০ টাকা ৫০ পয়সা এবং মোটা দানার মসুর বিক্রি হবে ১০৫ টাকা ৫০ পয়সায়। খেসারি ডালের খুচরায় সর্বোচ্চ দাম হবে ৯৩ টাকা। মাসকালাই ১৬৬ টাকা ৫০ পয়সা এবং মুগডাল খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ১৬৫ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়।

প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৬৪ টাকা। ছাগলের মাংস ১ হাজার ৩ টাকা এবং মাছের মধ্যে চাষের পাঙাশের খুচরা দাম ১৮১ টাকা ও কাতলা মাছের দাম সর্বোচ্চ ৩৫৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা দরে কিনতে পারবেন ক্রেতারা। এছাড়া প্রতি পিস ডিমের দাম হবে সর্বোচ্চ সাড়ে ১০ টাকা।

প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬৫, রসুন ১২০ টাকা ও আদা ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হবে। শুকনো মরিচ ৩২৭ এবং কাচা মরিচ ৬০ টাকায় খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সবজির মধ্যে বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৩০ টাকা, প্রতিকেজি বেগুন ও সিম ৫০ টাকা ও আলু ২৮ টাকা ৫০ পয়সা, টমেটো ৪০ টাকা।

জাহেদী খেজুর ১৫৫ টাকা, সাগর কলার প্রতি হালি ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। চিড়ার খুচরা দাম ৬০ টাকা, বেসন ১২১ টাকা বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।