নোয়াখালীতে ঘুমন্ত অবস্থায় মাদরাসাছাত্রকে জবাই করে হত্যা
																
								
							
                                - আপডেট সময় : ৩৯ বার পড়া হয়েছে
 
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ঘুমন্ত অবস্থায় নাজিম উদ্দিন (১৩) নামের এক মাদরাসাছাত্রকে জবাই করে হত্যা করেছে অপর ছাত্র আবু ছায়েদ (১৬)। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে আটক করেছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। নিহত মাদরাসাছাত্র মো. নাজিম উদ্দিন (১৩) চাষীরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের ওবায়েদ উল্লাহর ছেলে। আটক ছাত্র আবু ছায়েদ (১৬) ময়মনসিংহ জেলার টেঙ্গাপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদরাসার আবাসিক বিভাগে থেকে নাজিম ও ছায়েদ উভয়েই হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করত। প্রায় ১০-১৫ দিন আগে টুপি পরা নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে শিক্ষকরা বিষয়টি মীমাংসা করেন। তবে ওই ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে আবু ছায়েদ সোনাইমুড়ী বাজার থেকে তিনশ টাকা দিয়ে একটি ধারালো ছুরি কিনে আনে।
রোববার দিবাগত রাতে মাদরাসার আবাসিক কক্ষে ১৪ জন ছাত্র ও একজন শিক্ষক যখন ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আড়াইটার দিকে অন্যদের অগোচরে ছায়েদ ঘুমন্ত নাজিমের গলায় ছুরি চালায়। নাজিমের গোঙানির শব্দে অন্য ছাত্র-শিক্ষক জেগে উঠে ঘটনাটি দেখতে পান।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ভোররাতেই ঘটনাস্থলে যায়। অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়েছে। টুপি পরা নিয়ে বিরোধের জেরেই এ হত্যাকাণ্ডে সংঘটিত হয়েছে।” তিনি আরও জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
																			
















