পণ্য জাহাজে মিয়ানমারের গুলি, খাদ্য ও নিত্যপণ্য সংকটে সেন্টমার্টিনবাসী
- আপডেট সময় : ০৩:২৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪ ২০৯ বার পড়া হয়েছে
বঙ্গোপসাগরে সেন্টমার্টিনবাসীমুখী জাহাজে মিয়ানমরের গুলি খাদ্য ও নিত্যপণ্য সংকটে দ্বীপবাসী। মিয়ানমরে অস্থিরতা চলছে দীর্ঘ দিন থেকেই। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর অনেক সদস্য প্রাণ বাচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় এবং পরবর্তীতে তাদের মিয়ানমরে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ সরকার।
কিন্তু ইদানিং সাগরপথে সেন্টমার্টিনমুখী জাহাজে মিয়ারমরের গুলি বর্ষণের ঘটনার পর ৬দিন যাবত প্রবাল দ্বীপে খাদ্য ও নিত্যপণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। তাতে দ্বীপের প্রায় দশ হাজার মানুষ খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সংকটে পড়েছে।
গত বুধ ও শনিবার মিয়ানমার সীমান্ত থেকে বাংলাদেশি ট্রলারকে লক্ষ্য করে দুই বার গুলি চালানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে স্পিডবোট-ট্রলারে গুলির ঘটনায় নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আপদকালীন রুট হিসেবে শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমে জেটি ঘাট চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে নাফ নদের মোহনার শেষে নাইক্ষ্যংডিয়া এলাকা অতিক্রম করার সময় মিয়ানমারের প্রান্ত থেকে বোটগুলো লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হচ্ছে। এ কারণে মানুষ চলাচল বন্ধ রয়েছে। মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী, নাকি বিদ্রোহীরা গুলি চালাচ্ছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ। গত কয়েক দিনে দু-তিনটি বোটে গুলি চালানো হয়েছে।
দ্বীপে বসবাসরত ১০ হাজার বাসিন্দার মধ্যে যারা দিনে এনে দিনে খায়, বেশি সমস্যায় পড়েছেন তারাই। খাদ্য ও পণ্যবাহী বোট চলাচল করতে না পারায় সেন্টমার্টিনের দোকানগুলোতে মজুত করা খাদ্যপণ্য প্রায় শেষ হতে চলেছে। এ অবস্থায় কিছু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম দ্বিগুণ নিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, দ্রুত সমাধান না হলে দ্বীপবাসীর জন্য খাদ্য, চিকিৎসাসহ অন্যান্য সমস্যা বাড়তে পারে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানাচ্ছেন, মিয়ানমার থেকে গুলি ছোড়ার কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে ছয় দিন ধরে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপে কোনও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও মালামাল আনা যাচ্ছে না। অনেক মুদির দোকানে পণ্য নেই।
সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলছেন, বোটে প্রকাশ্যে গুলি করতে দেখে প্রাণভয়ে কেউ বোট চালাতে চাচ্ছেন না। সেন্টমার্টিনে আসার বিকল্প কোনও ব্যবস্থা বা রুটও নেই। প্রতিদিন সেন্টমার্টিন-টেকনাফ ৬/৭টি বোট দিয়ে শতাধিক মানুষ খাদ্য ও নিত্যপণ্য বহন করতেন।