আওয়ামী আমলে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ কনস্টেবল মাঈন উদ্দীনের পিতা ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ডেভিল নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে খালের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ। চট্টগ্রাম লোহাগাড়ায় আধুনগর রশিদের ঘোনা ৪নং ওয়ার্ডের আদর্শপাড়া শাহ্ বদিউর রহমান সড়কে ব্রিজের ঘোড়ায় এ দৃশ্য দেখা গেছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসির পক্ষে স্থানীয় কয়েকজন ব্যাক্তি বাদি হয়ে আব্দুস সালামে ছেলে ডেভিল নুরুল আমিনকে বিবাদি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
সরেজমিনে জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যাক্তি কুলপাগলীর ছড়ায় পানি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মুরগির ফার্ম তৈরি করে। যাঁর কারণে অন্য সাইডে বসতবাড়ির উপর পানি স্রোতে বড় ধরনের আঘাত হানতে পারে। বাদি মাওলানা হাফেজ ছরওয়ার কামাল বলেন, নুরুল আমিন ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এলাকায় ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হয়ে আমাদেরকে নানার অত্যাচার করেছে। এই খালের উপর অবৈধভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দীর্ঘদিন যাবত মুরগির ফার্ম তৈরি করে জোর পৃর্বক ব্যবসাকার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও ব্রিজটির গুড়া থেকে বালু উত্তোলন করায় ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। অবৈধ বালু তোলার দায়ে উপজেলা প্রশাসন কয়েকবার বালুগুলো জব্দ করছিল। এখনো সে খালে উপর পাকা বাউন্ডারি নির্মাণ করতেছে।
আরেক স্থানীয় ব্যাক্তি ভুক্তভোগী জোবাইর বলেন, বিবাদি একজন ভুমিদুস্য লোক, সে আওয়ামী ক্ষমতা ব্যবহার করে আমাদের জায়গা জোর পূর্বক দখল করে রেখেছে। ভুক্তভোগী হাফেজ শহিদুল্লাহ বলেন, আমিন ডেভিল লোক হয়ে অবৈধভাবে বালু তোলে পাচারের কারনে ব্রিজ ও রাস্তা ধংস করে ফেলছে। এ বালু তোলার বিষয়ে স্থানীয়রা সংবাদ সম্মেলন করেও কোনরূপ সুরাহা পাওয়া যায়নি। এ ব্রিজ ও সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-মাদ্রাসায় পড়োয়া অসংখ্য শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। বর্তমানে এ সড়ক ও ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও জানান, তার ফেসিট সরকারের আমলে অবৈধভাবে পুলিশের চাকরি দিয়ে ছেলে প্রভাববিস্তার করে প্রতিনিয় সাধারণ জনসাধারণকে নাজেহাল করছে এবং সেই পুলিশ চাকুরি থেকে বাড়িতে এসে কিশোর গ্যাং তৈরি করছে।
ভুক্তভোগী জহির জানান, নুরুল আমিনে গং এর জুলুমের শিকার আমার পরিবার। তার রোসানলে পড়ে আমার মোরসি জায়গায় তার ছেলে পুলিশ কনস্টেবল মাঈন উদ্দীনসহ তার অন্য ভাই কিশোর গ্যাং লিডার আরফাত ফরহাদ আমার মোরসি জায়গায় মুরগির ফার্ম তৈরি করে দখল রেখেছে। তাহা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন কর্মরত সেনাবাহিনীর কমর্কতা ও সদস্যরা অনেকবার তাঁকে তাড়া করেছে। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে রাতে অধাঁরে কিশোর গ্যাং এর মাধ্যমে সে দখল করছে। তার ছেলে পুলিশ কনস্টেবল বতর্মান বান্দরবান জেলায় কর্মরত আছেন।
স্থানীয় আরেক ভুক্তভোগী কফিল জানান, আমার জেটা মুক্তিযোদ্ধা বীর আজিজুল হক চৌধুরী পুলিশ কনস্টেবল মাইনুদ্দিনের দাদা আব্দুস সালাম, পিতা এজাহার মিয়া লোহাগাড়ারচিহ্নিত আল-বদর রাজাকার বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ছিল। সেই সময় রাজাকার আব্দুস সালাম চট্টগ্রাম ছোট কুমিরা রাজাকার জহিরের বাড়ির ক্যাম্পে দায়িত্বে ছিলেন। নাতি পুলিশ বাহিনীতে চাকুরি নিয়ে পিতা নুরুল আমিন প্রভাববিস্তার করে অন্য জায়গা জবরদখলে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে বলায়, ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৫ই আগস্ট রাতে কিশোর গ্যাং মাধ্যমে আমার বাড়িতে হামলা করে লুটপাট করছে আমিন গং। ইতিমধ্যে তার ছেলে পুলিশ কনস্টেবল মাইনুদ্দিন এলাকায় এসে তার ভাই আরফাত ও ফরহাদ দিয়ে এলাকাকে জিম্মি রাখার জন্য অন্য উঠতি বয়সের ছেলেদেরকে গ্রামের বাসিন্দাদের পুলিশ পরিচয় ব্যাবহার করে এলাকায় বিভিন্ন সংগঠন নামে কিশোর গ্যাং কমিটির গঠন করছে।
অভিযুক্ত নুরুল আমিনকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি জানান, জায়গাটি আমার। আমার জায়গায় আমি ফার্ম তৈরি করে বাউন্ডারি স্থাপন করছি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, এ বিষয়ে আধুনগরের এলাকাবাসীর একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।