ঢাকা ১২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ব্রাজিলে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যু Logo কাঁচামাল আমদানি কমে ৫২৭ কোটি ডলারে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১২ দশমিক ৮ শতাংশ Logo ১৫ বছরে অন্যায় কাজের জন্য পুলিশ দুঃখিত ও লজ্জিত: আইজিপি Logo রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনের Logo সমমনা দলের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের বৈঠক Logo জাতীয় ইমাম পরিষদের পৌর শাখার সভাপতি আশরাফুল-সেক্রেটারি কাদির Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ভারতীয় মদ সহ গ্রেফতার-১ Logo আওয়ামী স্বৈরশাসনের সময় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে :  ড্যাব মহাসচিব Logo বিনিয়োগকারী নয়, পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে প্লেয়ার ও রেগুলেটররা : অর্থ উপদেষ্টা Logo ঢাকায় বসে কোনো পরিকল্পনা করবে না: ফাওজুল কবির

বাংলাদেশে নতুন ঋণ কর্মসূচি শুরু করার আগ্রহ আইএমএফ’র

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৮৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নিউইর্য়কে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা। সাক্ষাতে বাংলাদেশের অর্থনীতিসহ ও অন্যান্য খাতের সংস্কারে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টালিনা।

মঙ্গলবার (সেপ্টেম্বর ২৪) জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা জানান, বাংলাদেশকে ঋণ সহায়তা দিতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ঢাকায় একটি দল পাঠানো হয়েছে।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থান এবং আগের স্বৈরাচারী শাসনের পতনের কথা সংক্ষেপে তুলে ধরলে ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেন, বাংলাদেশ এখন এক ভিন্ন দেশ।

নির্বাচন, বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতিবিরোধী এবং সংবিধানে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের সুপারিশ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে তার কথা তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, কমিশনের সুপারিশ নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে।

সংস্কারের বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করা হলে এবং ভোটার তালিকা তৈরি হলে ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানান ড. ইউনূস।

আইএমএফের প্রধান নির্বাহী সংস্কার উদ্যোগে তার সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, ঋণদাতারা সরকারকে ফাস্ট-ট্র্যাক আর্থিক সহায়তা দেবে।

ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেন, তিনি বাংলাদেশে ‘দ্রুত’ একটি আইএমএফ দল পাঠিয়েছেন এবং তারা এই মুহূর্তে ঢাকায় রয়েছে। দলটি আগামী মাসে আইএমএফ পরিচালনা পর্ষদের কাছে তাদের প্রতিবেদন দেবে।

আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আইএমএফ বোর্ড টিমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ঋণদান কর্মসূচি শুরু করতে পারে অথবা গত বছরের শুরুর দিকে চালু হওয়া বিদ্যমান সহায়তা কর্মসূচির অধীনে আরও ঋণ দিতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশে নতুন ঋণ কর্মসূচি শুরু করার আগ্রহ আইএমএফ’র

আপডেট সময় : ০২:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

নিউইর্য়কে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা। সাক্ষাতে বাংলাদেশের অর্থনীতিসহ ও অন্যান্য খাতের সংস্কারে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টালিনা।

মঙ্গলবার (সেপ্টেম্বর ২৪) জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা জানান, বাংলাদেশকে ঋণ সহায়তা দিতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ঢাকায় একটি দল পাঠানো হয়েছে।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থান এবং আগের স্বৈরাচারী শাসনের পতনের কথা সংক্ষেপে তুলে ধরলে ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেন, বাংলাদেশ এখন এক ভিন্ন দেশ।

নির্বাচন, বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতিবিরোধী এবং সংবিধানে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের সুপারিশ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে তার কথা তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, কমিশনের সুপারিশ নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে।

সংস্কারের বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করা হলে এবং ভোটার তালিকা তৈরি হলে ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানান ড. ইউনূস।

আইএমএফের প্রধান নির্বাহী সংস্কার উদ্যোগে তার সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, ঋণদাতারা সরকারকে ফাস্ট-ট্র্যাক আর্থিক সহায়তা দেবে।

ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেন, তিনি বাংলাদেশে ‘দ্রুত’ একটি আইএমএফ দল পাঠিয়েছেন এবং তারা এই মুহূর্তে ঢাকায় রয়েছে। দলটি আগামী মাসে আইএমএফ পরিচালনা পর্ষদের কাছে তাদের প্রতিবেদন দেবে।

আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আইএমএফ বোর্ড টিমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ঋণদান কর্মসূচি শুরু করতে পারে অথবা গত বছরের শুরুর দিকে চালু হওয়া বিদ্যমান সহায়তা কর্মসূচির অধীনে আরও ঋণ দিতে পারে।