ঢাকা ০১:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আজীবন সম্মাননা পেলেন বিশ্বনন্দিত যাদুশিল্পী জুয়েল আইচ এবং কিংবদন্তী অভিনেত্রী আনোয়ারা শ্রেষ্ঠ নায়ক সজল শ্রেষ্ঠ নায়িকা পরীমণি Logo শীর্ষ সন্ত্রাসীদের যুদ্ধক্ষেত্রে রূপ নিচ্ছে ঢাকা! Logo গুজব ও শঙ্কায় সারাদেশ Logo গোলাম মাওলা সেতু দ্রুত নির্মাণের দাবি: জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন Logo শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে প্রসাশনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo ‘আগামী দশ বছরের মধ্যে দেশের নেতৃত্ব দেবে রাজপথে থাকা তরুণেরা’ Logo ময়মনসিংহে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, দুই ঘন্টা চলাচল বন্ধ Logo সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ট্রাকের চাবি পেলেন তিমন চৌধুরী Logo ইসলামপুরে জাংক ফুড বিরোধী ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত Logo গোলাপগঞ্জে অপরাধ দমনে সক্রিয় পুলিশ, এক মাসে ১৫ মামলা নিস্পত্তি

বান্দরবানে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্তি দিতে ২০ লাখ টাকা দাবি কুকি-চিনের

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ৫৮৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

২০ লাখ টাকার বিনিময়ে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্তি দেবার কথা জানালেও লুট করা অস্ত্র ফেতর দেবার কোন বার্তা দেয়নি কেএনএফ।

টেকনাফের পাহাড়ের পাদদেশে সিরিজ অপহরণ এবং মুক্তিপণের কথাই সরণ করিয়ে দিল কেএনএফ বা কুকি-চিন। ২ মার্চ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি ও অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী।

তাকে ছাড়িয়ে আনতে ২০ লাখ মুক্তিপণ গুণতে হবে। ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের তিনদিনের মাথায় এই বার্তা দিলেন, র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানালেন খন্দকার আল মঈন।

জানান, বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজারকে ছাড়াতে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় প্রথম কাজ হচ্ছে ব্যাংক ম্যানেজারকে অক্ষত ও নিরাপদে ফিরিয়ে আনা। এজন্য নানান কৌশলে অবলম্বন করা হচ্ছে। ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে তার পরিবারের কথা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনি সুস্থ রয়েছেন। তার অবস্থান শনাক্তে কাজ করছে র‌্যাব।

কীভাবে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যদের গ্রেফতার করা যায় তা নিয়ে প্রশাসন পর্যায়ে আলোচনা চলছে। পাশাপাশি স্থানীয়দের সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করে জড়িতদের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

র‌্যাবের পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বলা যায়, সন্ত্রাসীরা টাকার জন্য এ কাজটি করেছে। টাকাই তাদের মূল টার্গেট ছিল। উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের একটি শান্তি কমিটির মাধ্যমে শান্তি আলোচনা চলছিল। এ সময়ে তাদের অবস্থান ও আধিপত্য জানান দেওয়ার চেষ্টায় এই হামলা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বান্দরবানে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্তি দিতে ২০ লাখ টাকা দাবি কুকি-চিনের

আপডেট সময় :

 

২০ লাখ টাকার বিনিময়ে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্তি দেবার কথা জানালেও লুট করা অস্ত্র ফেতর দেবার কোন বার্তা দেয়নি কেএনএফ।

টেকনাফের পাহাড়ের পাদদেশে সিরিজ অপহরণ এবং মুক্তিপণের কথাই সরণ করিয়ে দিল কেএনএফ বা কুকি-চিন। ২ মার্চ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি ও অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী।

তাকে ছাড়িয়ে আনতে ২০ লাখ মুক্তিপণ গুণতে হবে। ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের তিনদিনের মাথায় এই বার্তা দিলেন, র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানালেন খন্দকার আল মঈন।

জানান, বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজারকে ছাড়াতে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় প্রথম কাজ হচ্ছে ব্যাংক ম্যানেজারকে অক্ষত ও নিরাপদে ফিরিয়ে আনা। এজন্য নানান কৌশলে অবলম্বন করা হচ্ছে। ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে তার পরিবারের কথা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনি সুস্থ রয়েছেন। তার অবস্থান শনাক্তে কাজ করছে র‌্যাব।

কীভাবে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যদের গ্রেফতার করা যায় তা নিয়ে প্রশাসন পর্যায়ে আলোচনা চলছে। পাশাপাশি স্থানীয়দের সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করে জড়িতদের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

র‌্যাবের পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বলা যায়, সন্ত্রাসীরা টাকার জন্য এ কাজটি করেছে। টাকাই তাদের মূল টার্গেট ছিল। উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের একটি শান্তি কমিটির মাধ্যমে শান্তি আলোচনা চলছিল। এ সময়ে তাদের অবস্থান ও আধিপত্য জানান দেওয়ার চেষ্টায় এই হামলা।