ঢাকা ১০:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

বিএনপি নেতার সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ নেতাকে স্কুল কমিটির সভাপতি করার পাঁয়তারা

মহিউদ্দিন আকাশ, কুমিল্লা
  • আপডেট সময় : ০৪:৩১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫ ৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বড় শালঘর ইউএমএ উচ্চ বিদ্যালয়ের, গভর্নিং বডি কমিটিতে আওয়ামিলীগ নেতাকে সভাপতি করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল আউয়ালের ভাই ও আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদুর রহমানকে সভাপতি করার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে বেলজিয়াম বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে।
মাসুদুর রহমান বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ ও নানা রকম হুমকি দিতেন। বিএনপি ও জামায়াতকে কোন ঠাষা করে রাখতেন। দলের প্রভাবে বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসার নিয়োগেও দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান, সকল ধরনের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রচারণা ও জনসংযোগ কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে বিএনপি ও জমায়ায়াত নেতাদের অত্যাচার করে আসছেন।
অভিযোগ এসেছে, মাসুদুর রহমান তার ভাইয়ের প্রভাবে সৈয়দপুর কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ নিয়োগে ইসমাইল নামক দূর্নীতিবাজ শিক্ষককে বসাতে চেয়েছিলেন। কিন্ত তৎকালীন অধ্যাক্ষ সৎ সাহসের সাথে তা প্রত্যাখ্যান করেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে বলা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ শাসনামলে মাসুদুর রহমান দলের প্রভাব খাটিয়ে নানা অপরাধ ও দুর্নীতিমুলক কর্মকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তিনি দলের শক্তিতে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সৈয়দপুর কামিল মাদ্রাসার ও সভাপতি ছিলেন।
বেলজিয়াম বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান লিটন বলেন, আমি এই কমিটিতে একক ক্ষমতায় পদ দিচ্ছি এটা সঠিক নয়। তাছাড়া আমাদের এলাকায় রাজনীতি মুলত দুইটা গোষ্ঠীতে বিভক্ত। যে কারনে বিএনপি এবং আওয়ামিলীগ যেই দল ই ক্ষমতায় আসে এখান থেকেই নেতা নির্বাচিত হয়।
এমইউএ স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু ইউসুফ বলেন, এখানে তো আমি একা নাম দেই নাই। এটাতে আরো অন্যান্য সদস্যরা মিলে যে নাম দিয়েছে আমি সেটা জমা দিয়েছি।
দেবিদ্বার উপজেলা ইউএনও বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাদের কাছে এডহক কমিটির তালিকা দিয়েছে। আমরা সেটা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। তারা সিদ্ধান্ত নিবে কমিটিতে কে কোন পদে থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, ব্যারিস্টার রিজবিউল আহসান মুন্সি বলেন, দেশের এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামিলীগের কাউকে সভাপতি করা হলে সেটি হবে খুব ই দু:খজনক। এর প্রতিবাদ হওয়া উচিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিএনপি নেতার সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ নেতাকে স্কুল কমিটির সভাপতি করার পাঁয়তারা

আপডেট সময় : ০৪:৩১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বড় শালঘর ইউএমএ উচ্চ বিদ্যালয়ের, গভর্নিং বডি কমিটিতে আওয়ামিলীগ নেতাকে সভাপতি করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল আউয়ালের ভাই ও আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদুর রহমানকে সভাপতি করার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে বেলজিয়াম বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে।
মাসুদুর রহমান বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ ও নানা রকম হুমকি দিতেন। বিএনপি ও জামায়াতকে কোন ঠাষা করে রাখতেন। দলের প্রভাবে বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসার নিয়োগেও দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান, সকল ধরনের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রচারণা ও জনসংযোগ কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে বিএনপি ও জমায়ায়াত নেতাদের অত্যাচার করে আসছেন।
অভিযোগ এসেছে, মাসুদুর রহমান তার ভাইয়ের প্রভাবে সৈয়দপুর কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ নিয়োগে ইসমাইল নামক দূর্নীতিবাজ শিক্ষককে বসাতে চেয়েছিলেন। কিন্ত তৎকালীন অধ্যাক্ষ সৎ সাহসের সাথে তা প্রত্যাখ্যান করেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে বলা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ শাসনামলে মাসুদুর রহমান দলের প্রভাব খাটিয়ে নানা অপরাধ ও দুর্নীতিমুলক কর্মকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তিনি দলের শক্তিতে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সৈয়দপুর কামিল মাদ্রাসার ও সভাপতি ছিলেন।
বেলজিয়াম বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান লিটন বলেন, আমি এই কমিটিতে একক ক্ষমতায় পদ দিচ্ছি এটা সঠিক নয়। তাছাড়া আমাদের এলাকায় রাজনীতি মুলত দুইটা গোষ্ঠীতে বিভক্ত। যে কারনে বিএনপি এবং আওয়ামিলীগ যেই দল ই ক্ষমতায় আসে এখান থেকেই নেতা নির্বাচিত হয়।
এমইউএ স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু ইউসুফ বলেন, এখানে তো আমি একা নাম দেই নাই। এটাতে আরো অন্যান্য সদস্যরা মিলে যে নাম দিয়েছে আমি সেটা জমা দিয়েছি।
দেবিদ্বার উপজেলা ইউএনও বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাদের কাছে এডহক কমিটির তালিকা দিয়েছে। আমরা সেটা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। তারা সিদ্ধান্ত নিবে কমিটিতে কে কোন পদে থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, ব্যারিস্টার রিজবিউল আহসান মুন্সি বলেন, দেশের এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামিলীগের কাউকে সভাপতি করা হলে সেটি হবে খুব ই দু:খজনক। এর প্রতিবাদ হওয়া উচিত।