ঢাকা ১০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ১৫ বছরে অন্যায় কাজের জন্য পুলিশ দুঃখিত ও লজ্জিত: আইজিপি Logo রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনের Logo সমমনা দলের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের বৈঠক Logo জাতীয় ইমাম পরিষদের পৌর শাখার সভাপতি আশরাফুল-সেক্রেটারি কাদির Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ভারতীয় মদ সহ গ্রেফতার-১ Logo আওয়ামী স্বৈরশাসনের সময় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে :  ড্যাব মহাসচিব Logo বিনিয়োগকারী নয়, পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে প্লেয়ার ও রেগুলেটররা : অর্থ উপদেষ্টা Logo ঢাকায় বসে কোনো পরিকল্পনা করবে না: ফাওজুল কবির Logo মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলন, বাল্কহেডসহ আটক ৯ Logo বান্দরবানে মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কর্মশালা

বিনিয়োগকারী নয়, পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে প্লেয়ার ও রেগুলেটররা : অর্থ উপদেষ্টা

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৮:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে বিনিয়োগকারী নয়, প্লেয়ার ও রেগুলেটররাই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেউদ্দিন আহমেদ।

শনিবার সকালে সিরডাপ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্যভিত্তিক গবেষণাগ্রন্থ ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ ষষ্ঠ সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।

এ সময় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিবিএসকে বলা হয়েছে তথ্য যা আছে তাই যেন প্রকাশ হয়। এখানে কারচুপির কোনো ব্যাপার নেই। আমাদের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের মতো পুঁজিবাজারে অবস্থাও একই রকমের। পুঁজিবাজারের শেয়ার প্রাইস কমে যাচ্ছে বলেই ‘চেয়ারম্যানকে রিমুভ কর’ বলে মিছিল হচ্ছে। আপনারা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কিনছেন, যার কোনো অস্তিত্ব নেই। অথচ এ শেয়ার মহা আনন্দে কিনছেন। ন্যূনতম কোনো মূল্য নেই, এগুলো কয়েক দিন পরই ওয়েস্ট পেপার হিসেবে ব্যবহার হবে। এজন্য একটু কষ্ট করতে হবে। আমি বিনিয়োগকারীদের দায় দিচ্ছি না। পুঁজিবাজারের প্লেয়ার ও রেগুলেটরদের অনেক দায় রয়েছে।

এজন্য সচেতনতা বাড়াতে এটা প্রচার করা দরকার বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, সঠিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়া কোনো কিছু মূল্যায়ন হয় না। বিগত ১৫ বছরের তথ্য বিভ্রাট নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ে তথ্য বিভ্রাটের পেছনে অনিচ্ছাকৃত কিছুটা ভুল রয়েছে আবার নীতি নির্ধারাকরাও তথ্য লুকানোর চেষ্টা করেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা কোনো পাওয়ার দেখাতে আসিনি একটা দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। বিগত ১৫ বছরের তথ্য নিয়ে নানা বিভ্রাট রয়েছে। তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো করার চেষ্টা করছি। যাতে করে ব্যবসায়ী এক স্থান থেকে সব তথ্য পাবেন। তথ্যের জন্য ব্যবসায়ীদের ১০ জায়গা দৌড়াতে হবে না।

ব্যাংকিং অ্যালমানাকের বোর্ড অব এডিটরসের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থসচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রন্থটির এক্সিকিউটিভ এডিটর সৈয়দ জিয়াউদ্দিন আহমেদ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থ সচিব ড. খায়রুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমরা সেক্টরগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা প্রয়োজন। এজন্য বিভিন্ন বোর্ডে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হুসাইন জিল্লুর রহমান বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতির সামনে আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ,অর্থনীতির প্রক্রিয়াগুলো বেগবান করা, অলিগার্কিক মার্কেট পাওয়ার এবং তথ্যের সত্যতা, পেশাদারত্বের মতো পাঁচটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে৷ আমরা জানি বিনিয়োগ থমকে আছে। সেটা শুধু অর্থনীতি পরিচালনার বিষয় নয়। সামগ্রিকভাবে আইন-শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে অনেক কিছু আছে। এসব মোকাবিলা করতে সক্ষমতার সঙ্গে ব্যক্তি খাতকে আরও সম্পৃক্ত করতে হবে।

এসব করতে পারলে ২০২৫ সালে কাঙ্ক্ষিত অবস্থানে পৌঁছতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

দেশের খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও ব্যাংক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত শক্তিশালী উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন বোর্ড অব এডিটরসের নীতি- নির্দেশনায় ব্যাংকিং অ্যালমানাকের এই অগ্রযাত্রা। ২০১৬ সাল থেকে এডিটোরিয়াল বোর্ডের নেতৃত্বে আছেন বাংলাদেশের ব্যাংকিং জগতের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় শিক্ষা বিষয়ক সাপ্তাহিক পত্রিকা শিক্ষা বিচিত্রার উদ্যোগে ২০১৬ সাল থেকে এই গবেষণা গ্রন্থটি নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিনিয়োগকারী নয়, পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে প্লেয়ার ও রেগুলেটররা : অর্থ উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৪:৫৮:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

 

পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে বিনিয়োগকারী নয়, প্লেয়ার ও রেগুলেটররাই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেউদ্দিন আহমেদ।

শনিবার সকালে সিরডাপ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্যভিত্তিক গবেষণাগ্রন্থ ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ ষষ্ঠ সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।

এ সময় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিবিএসকে বলা হয়েছে তথ্য যা আছে তাই যেন প্রকাশ হয়। এখানে কারচুপির কোনো ব্যাপার নেই। আমাদের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের মতো পুঁজিবাজারে অবস্থাও একই রকমের। পুঁজিবাজারের শেয়ার প্রাইস কমে যাচ্ছে বলেই ‘চেয়ারম্যানকে রিমুভ কর’ বলে মিছিল হচ্ছে। আপনারা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কিনছেন, যার কোনো অস্তিত্ব নেই। অথচ এ শেয়ার মহা আনন্দে কিনছেন। ন্যূনতম কোনো মূল্য নেই, এগুলো কয়েক দিন পরই ওয়েস্ট পেপার হিসেবে ব্যবহার হবে। এজন্য একটু কষ্ট করতে হবে। আমি বিনিয়োগকারীদের দায় দিচ্ছি না। পুঁজিবাজারের প্লেয়ার ও রেগুলেটরদের অনেক দায় রয়েছে।

এজন্য সচেতনতা বাড়াতে এটা প্রচার করা দরকার বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, সঠিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়া কোনো কিছু মূল্যায়ন হয় না। বিগত ১৫ বছরের তথ্য বিভ্রাট নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ে তথ্য বিভ্রাটের পেছনে অনিচ্ছাকৃত কিছুটা ভুল রয়েছে আবার নীতি নির্ধারাকরাও তথ্য লুকানোর চেষ্টা করেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা কোনো পাওয়ার দেখাতে আসিনি একটা দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। বিগত ১৫ বছরের তথ্য নিয়ে নানা বিভ্রাট রয়েছে। তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো করার চেষ্টা করছি। যাতে করে ব্যবসায়ী এক স্থান থেকে সব তথ্য পাবেন। তথ্যের জন্য ব্যবসায়ীদের ১০ জায়গা দৌড়াতে হবে না।

ব্যাংকিং অ্যালমানাকের বোর্ড অব এডিটরসের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থসচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রন্থটির এক্সিকিউটিভ এডিটর সৈয়দ জিয়াউদ্দিন আহমেদ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থ সচিব ড. খায়রুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমরা সেক্টরগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা প্রয়োজন। এজন্য বিভিন্ন বোর্ডে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হুসাইন জিল্লুর রহমান বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতির সামনে আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ,অর্থনীতির প্রক্রিয়াগুলো বেগবান করা, অলিগার্কিক মার্কেট পাওয়ার এবং তথ্যের সত্যতা, পেশাদারত্বের মতো পাঁচটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে৷ আমরা জানি বিনিয়োগ থমকে আছে। সেটা শুধু অর্থনীতি পরিচালনার বিষয় নয়। সামগ্রিকভাবে আইন-শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে অনেক কিছু আছে। এসব মোকাবিলা করতে সক্ষমতার সঙ্গে ব্যক্তি খাতকে আরও সম্পৃক্ত করতে হবে।

এসব করতে পারলে ২০২৫ সালে কাঙ্ক্ষিত অবস্থানে পৌঁছতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

দেশের খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও ব্যাংক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত শক্তিশালী উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন বোর্ড অব এডিটরসের নীতি- নির্দেশনায় ব্যাংকিং অ্যালমানাকের এই অগ্রযাত্রা। ২০১৬ সাল থেকে এডিটোরিয়াল বোর্ডের নেতৃত্বে আছেন বাংলাদেশের ব্যাংকিং জগতের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় শিক্ষা বিষয়ক সাপ্তাহিক পত্রিকা শিক্ষা বিচিত্রার উদ্যোগে ২০১৬ সাল থেকে এই গবেষণা গ্রন্থটি নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসছে।