ঢাকা ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শেলটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ অর্জন করলেন ক্যাপস্টোন লিডারশিপ কোর্সের বিশেষ স্বীকৃতি Logo অর্ধশত মামলা ও শরীরে বুলেট নিয়েও দলীয় কর্মসূচীতে সক্রিয় নয়ন Logo ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে ডা. শাহ আলম তালুকদারের মতবিনিময় Logo ডামুড্যায় সুধীজনের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা Logo দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুঃস্থ পরিবারের মাঝে নগরকান্দায় ত্রাণ সামগ্রী ঢেউটিন ও চেক বিতরণ Logo বান্দরবান সরকারি কলেজে জুলাই শহীদ দিবস উদযাপন Logo জামালপুর গোয়েন্দা শাখা ডিবি-২ পুলিশ কর্তৃক জুয়া মাদক সহ আটক-৬ Logo আলোচিত শিশু আছিয়ার পরিবারকে গাভী, বাছুর ও পাকা গোয়ালঘর উপহার জামায়াতের আমিরের Logo তানোরে বৃদ্ধার চুরি যাওয়া ১১ লক্ষ টাকা উদ্ধার পুলিশের Logo ফেনীতে এনজিওর পাওনা আদায়ে কাবুলি ওয়ালার ভুমিকায়! অগ্যতা নিরুপায়ী আত্বহননে গৃহবধূ

বিশ্বের সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ বাঁধ হচ্ছে তিব্বতে

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ২৩৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করেছে চীন। এর মধ্য দিয়ে তিব্বত মালভূমির পূর্ব দিকে বেইজিং এমন একটি উচ্চাভিলাষী প্রকল্প শুরু করছে, যা প্রতিবেশী দেশগুলোরে ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এ বিষয়ে ভারতকে আশ্বস্ত করে চীন বলেছে, তারা প্রতিবেশীদের ক্ষতি করে নিজেরা লাভবান হওয়ার চেষ্টা করবে না। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্নভাগে বাঁধটি নির্মাণ করা হবে। ২০২০ সালে পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশন অব চায়নার দেওয়া হিসাব অনুসারে, এটি বছরে ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইয়ারলুং জাংপো নদীটি তিব্বত সীমা শেষ করে ব্রহ্মপুত্র নদ নামে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম হয়ে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই বাঁধ ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। নদটি লাখ লাখ মানুষের পানির উৎস। ভারতে চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ওয়াং লেই গত সপ্তাহে এসব উদ্বেগ সমাধানের চেষ্টায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে নিবন্ধ (আর্টিকেল) লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, প্রকল্পের সমালোচকেরা এটিকে ‘চীনা অস্ত্র’ হিসেবে ভুলভাবে চিহ্নিত করছে। তিনি আরও লিখেছেন, ‘চীন তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার নীতিতে অটল। প্রতিবেশীদের ক্ষতি করে নিজেদের সুবিধা তো দূরের কথা, চীন কখনোই একতরফা স্বার্থের চেষ্টা করে না। চীন কখনও ‘পানি আধিপত্য’ চায় না এবং কখনও চাইবেও না। তিনি লেখেন, ‘চীন প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ৫০টিরও বেশি পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা চুক্তি করেছে এবং সহযোগিতামূলক নদী উন্নয়ন ও পরিবেশগত সুরক্ষার জন্য ১০টি আন্তঃসীমান্ত প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে। ওয়াং আর লেখেন, চীন আন্তঃসীমান্ত নদী উন্নয়নের প্রতি দায়িত্বশীল মনোভাব মেনে চলে এবং এর ব্যবহার ও সুরক্ষার ভারসাম্য বজায় রাখার নীতি অনুসরণ করে।

এছাড়া প্রকল্পটি এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চীন যথাসময়ে আরও তথ্য প্রকাশ করবে বলেও লেখেন তিনি। চীন ইতোমধ্যেই তিব্বতের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত ইয়ারলুং জাংপো নদীর ওপরের দিকে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে। এটি ওপরের দিকে আরও প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিশ্বের সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ বাঁধ হচ্ছে তিব্বতে

আপডেট সময় :

বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করেছে চীন। এর মধ্য দিয়ে তিব্বত মালভূমির পূর্ব দিকে বেইজিং এমন একটি উচ্চাভিলাষী প্রকল্প শুরু করছে, যা প্রতিবেশী দেশগুলোরে ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এ বিষয়ে ভারতকে আশ্বস্ত করে চীন বলেছে, তারা প্রতিবেশীদের ক্ষতি করে নিজেরা লাভবান হওয়ার চেষ্টা করবে না। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্নভাগে বাঁধটি নির্মাণ করা হবে। ২০২০ সালে পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশন অব চায়নার দেওয়া হিসাব অনুসারে, এটি বছরে ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইয়ারলুং জাংপো নদীটি তিব্বত সীমা শেষ করে ব্রহ্মপুত্র নদ নামে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম হয়ে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই বাঁধ ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। নদটি লাখ লাখ মানুষের পানির উৎস। ভারতে চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ওয়াং লেই গত সপ্তাহে এসব উদ্বেগ সমাধানের চেষ্টায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে নিবন্ধ (আর্টিকেল) লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, প্রকল্পের সমালোচকেরা এটিকে ‘চীনা অস্ত্র’ হিসেবে ভুলভাবে চিহ্নিত করছে। তিনি আরও লিখেছেন, ‘চীন তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার নীতিতে অটল। প্রতিবেশীদের ক্ষতি করে নিজেদের সুবিধা তো দূরের কথা, চীন কখনোই একতরফা স্বার্থের চেষ্টা করে না। চীন কখনও ‘পানি আধিপত্য’ চায় না এবং কখনও চাইবেও না। তিনি লেখেন, ‘চীন প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ৫০টিরও বেশি পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা চুক্তি করেছে এবং সহযোগিতামূলক নদী উন্নয়ন ও পরিবেশগত সুরক্ষার জন্য ১০টি আন্তঃসীমান্ত প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে। ওয়াং আর লেখেন, চীন আন্তঃসীমান্ত নদী উন্নয়নের প্রতি দায়িত্বশীল মনোভাব মেনে চলে এবং এর ব্যবহার ও সুরক্ষার ভারসাম্য বজায় রাখার নীতি অনুসরণ করে।

এছাড়া প্রকল্পটি এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চীন যথাসময়ে আরও তথ্য প্রকাশ করবে বলেও লেখেন তিনি। চীন ইতোমধ্যেই তিব্বতের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত ইয়ারলুং জাংপো নদীর ওপরের দিকে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে। এটি ওপরের দিকে আরও প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।