ঢাকা ০৫:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বুধবারই নিষিদ্ধ হচ্ছে জামায়াত-শিবির: আইনমন্ত্রী

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৫:২৭:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪ ২৬৯ বার পড়া হয়েছে

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

রাত পোহালেই নিষিদ্ধ হচ্ছে জামায়াত-শিবিরের কর্মকান্ড। নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বুধবার থেকে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ হচ্ছে বলে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন আগামীকালকের মধ্যে একটি ব্যবস্থা নিতে। আমি কিছুক্ষণ পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে বসব এবং সেখানে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।

বর্তমানে কোটা আন্দোলন চলমান। জামায়াত-শিবিরের মতো একটি শক্তিশালী সংগঠন এ মুহূর্তে নিষিদ্ধ করা হলে সরকার কোনো ঝামেলায় পড়বে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, যারা কোটা আন্দোলন করেছে তারা কিন্তু বলেছে, সহিংসতার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা নেই।

সেক্ষেত্রে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত আছে। জামায়াত-শিবির, বিএনপি ও ছাত্রদল যারা জঙ্গি, তারাই এটি করেছে। এ দলকে যদি নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে দেশের আইনশৃঙ্খলা এবং রাজনীতিরও অনেক উন্নতি হবে।

কোনো দলকে যখন নিষিদ্ধ করা হয়, তখন তা নির্বাহী আদেশেই হয়, বিচার বিভাগীয় আদেশে হয় না। যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচার এক কথা এবং জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা আরেক কথা।

সোমবার গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোট।

উচ্চ আদালতের রায়ে ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। দলটির ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির।

জামায়াতের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের পক্ষের আপিল খারিজ করে দেন। ফলে দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বুধবারই নিষিদ্ধ হচ্ছে জামায়াত-শিবির: আইনমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৫:২৭:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

 

রাত পোহালেই নিষিদ্ধ হচ্ছে জামায়াত-শিবিরের কর্মকান্ড। নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বুধবার থেকে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ হচ্ছে বলে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন আগামীকালকের মধ্যে একটি ব্যবস্থা নিতে। আমি কিছুক্ষণ পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে বসব এবং সেখানে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।

বর্তমানে কোটা আন্দোলন চলমান। জামায়াত-শিবিরের মতো একটি শক্তিশালী সংগঠন এ মুহূর্তে নিষিদ্ধ করা হলে সরকার কোনো ঝামেলায় পড়বে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, যারা কোটা আন্দোলন করেছে তারা কিন্তু বলেছে, সহিংসতার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা নেই।

সেক্ষেত্রে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত আছে। জামায়াত-শিবির, বিএনপি ও ছাত্রদল যারা জঙ্গি, তারাই এটি করেছে। এ দলকে যদি নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে দেশের আইনশৃঙ্খলা এবং রাজনীতিরও অনেক উন্নতি হবে।

কোনো দলকে যখন নিষিদ্ধ করা হয়, তখন তা নির্বাহী আদেশেই হয়, বিচার বিভাগীয় আদেশে হয় না। যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচার এক কথা এবং জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা আরেক কথা।

সোমবার গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোট।

উচ্চ আদালতের রায়ে ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। দলটির ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির।

জামায়াতের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের পক্ষের আপিল খারিজ করে দেন। ফলে দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে।