ঢাকা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

বেইলী রোডে বিধ্বংসী আগুনে কেড়ে নিল ৪৬ প্রাণ

আমিনুল হক ভূইয়া
  • আপডেট সময় : ০২:৩৯:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪ ১৪৮ বার পড়া হয়েছে

আগুনে পোড়া ভবন

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ঢাকায় বিধ্বংসী আগুনে কেড়ে নিল ৪৬ প্রাণ। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কা করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন প্রায় অর্ধশতাধিক। তাদের মধ্যে ানেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কবর হাসপাতাল সূত্রের। ঢাকার অন্যতম ব্যস্ততম ও বনেদী এলাকা বেইলী রোডের একটি খাবারের দোকানে বিধ্বংসী আগুনের ঘটনা ঘটে। গ্যাস সিলিন্ডারের ত্রুটি থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভবনটিতে বেরুনোর একটি সরু পথ ছিলো। আগুন লাগার পর হুড়োহুড়ি করে বেরুতে গিয়ে এবং অতিরিক্ত ধোয়ায় অনেকে শ্বাস কষ্টে মারা গিয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। অনেকে পুড়ে কয়লা হয়ে গিয়েছে। চেনবার উপায় না থাকায় বেশ কয়েকজনকে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় সনাক্ত করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা স্বারাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্তলাল সেন শুক্রবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এসে জানান, এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহত প্রত্যেকের কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়ে ডা. স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্তলাল সেন বলেন, আগুন লাগার পর বদ্ধ ঘর থেকে অনেকে বেরুতে না পেরে ধোঁয়ায় তাদের শ্বাসনালি জ¦লে যায়। প্রত্যেকেরই এমন হয়েছে। যাদের বেশি হয়েছে দুঃখজনকভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে। যারা চিকিৎসাধীন তাদেরও কেউই শঙ্কামুক্ত নন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৌনে সাতটা নাগাদ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ফোনে দগ্ধ রোগীদের খোঁজ নিতে বলছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আমি সব রোগীদের দায়িত্ব নিলাম, চিকিৎসার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যা যা দরকার তার সবটাই করা হবে।

বৃহস্পতিবার রাতে আগুন লাগা ভবনে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের উদ্ধার তৎপরতা

বৃহস্পতিবার লিপইয়ার উপলক্ষ্যে খাবারের দোকানটিতে ছাড় ঘোষণা করা হয়েছিল। তাছাড়া এমনিতেই বিকেলে এ এলাকায় ভীড় স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। ঘটনার সময় রাত প্রায় ১০টা। অগ্নিকাণ্ডের পর পরই মুহূর্তে আগুনের লেলিহান শিখা গোটা ভবন গ্রাস করে। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ ডেকোরেশনে ব্যবহার করা হয় দাহ্য সামগ্রী দিয়ে। যে কারণে আগুন লাগার পর পরই গোটা ভবনে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটে।

যারা দ্রুত ভবনের ছাদে ওঠে গিয়েছিলেন এমন ৭০জনের মতো লোককে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে। আগুন লাগার ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টায় বেইলি রডের অগ্নি দুর্ঘটনস্থল পরিদর্শন করেন এবং সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সুরক্ষা) আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী। এ সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বেইলী রোডে বিধ্বংসী আগুনে কেড়ে নিল ৪৬ প্রাণ

আপডেট সময় : ০২:৩৯:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

 

ঢাকায় বিধ্বংসী আগুনে কেড়ে নিল ৪৬ প্রাণ। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কা করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন প্রায় অর্ধশতাধিক। তাদের মধ্যে ানেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কবর হাসপাতাল সূত্রের। ঢাকার অন্যতম ব্যস্ততম ও বনেদী এলাকা বেইলী রোডের একটি খাবারের দোকানে বিধ্বংসী আগুনের ঘটনা ঘটে। গ্যাস সিলিন্ডারের ত্রুটি থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভবনটিতে বেরুনোর একটি সরু পথ ছিলো। আগুন লাগার পর হুড়োহুড়ি করে বেরুতে গিয়ে এবং অতিরিক্ত ধোয়ায় অনেকে শ্বাস কষ্টে মারা গিয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। অনেকে পুড়ে কয়লা হয়ে গিয়েছে। চেনবার উপায় না থাকায় বেশ কয়েকজনকে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় সনাক্ত করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা স্বারাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্তলাল সেন শুক্রবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এসে জানান, এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহত প্রত্যেকের কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়ে ডা. স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্তলাল সেন বলেন, আগুন লাগার পর বদ্ধ ঘর থেকে অনেকে বেরুতে না পেরে ধোঁয়ায় তাদের শ্বাসনালি জ¦লে যায়। প্রত্যেকেরই এমন হয়েছে। যাদের বেশি হয়েছে দুঃখজনকভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে। যারা চিকিৎসাধীন তাদেরও কেউই শঙ্কামুক্ত নন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৌনে সাতটা নাগাদ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ফোনে দগ্ধ রোগীদের খোঁজ নিতে বলছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আমি সব রোগীদের দায়িত্ব নিলাম, চিকিৎসার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যা যা দরকার তার সবটাই করা হবে।

বৃহস্পতিবার রাতে আগুন লাগা ভবনে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের উদ্ধার তৎপরতা

বৃহস্পতিবার লিপইয়ার উপলক্ষ্যে খাবারের দোকানটিতে ছাড় ঘোষণা করা হয়েছিল। তাছাড়া এমনিতেই বিকেলে এ এলাকায় ভীড় স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। ঘটনার সময় রাত প্রায় ১০টা। অগ্নিকাণ্ডের পর পরই মুহূর্তে আগুনের লেলিহান শিখা গোটা ভবন গ্রাস করে। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ ডেকোরেশনে ব্যবহার করা হয় দাহ্য সামগ্রী দিয়ে। যে কারণে আগুন লাগার পর পরই গোটা ভবনে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটে।

যারা দ্রুত ভবনের ছাদে ওঠে গিয়েছিলেন এমন ৭০জনের মতো লোককে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে। আগুন লাগার ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টায় বেইলি রডের অগ্নি দুর্ঘটনস্থল পরিদর্শন করেন এবং সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সুরক্ষা) আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী। এ সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।