ঢাকা ০২:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

মাদারীপুরে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, কাউকে বললে পরিবারকে হত্যার হুমকি

মাদারীপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাদারীপুরের কালকিনিতে নাকের সামনে চেতনানাশক দিয়ে ৮ বছরের এক শিশুকে অচেতনের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশির বিরুদ্ধে। ঘটনা কাউকে বললে পুরো পরিবারকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হলে মেয়েটিকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর পলাতক অভিযুক্ত সোহাগ শিকদার। বন্ধ রয়েছে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনও।
স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার দুপুরে মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার পশ্চিম পাঙ্গাশিয়া গ্রামের আক্কেল শিকদারের ছেলে সোহাগ শিকদার নিজঘরে ডেকে নেয় প্রতিবেশি মেয়েটিকে। পরে শিশুটির নাকের সামনে চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান করে সে। দরজা বন্ধ করে ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের অভিযোগ ওঠে সোহাগের বিরুদ্ধে। তিনঘন্টা পর জ্ঞান ফিরলে বিষয়টি কাউকে জানালে মেয়েটি ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয় অভিযুক্ত। পরে বাড়িতে চলে আসে নির্যাতিতা। রোববার দুপুরে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে ভর্তি করা হয় ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে।
নির্যাতিতার মা বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ করতে চাই না। তাহলে সোহাগ ও তার লোকজন আমাদের মেরে ফেলবে। খুব ভয়ে আছি। এই ঘটনার বিচার পাবো কিনা তাও জানি না।’
শিশুটি জানায়, ‘ঘরে ডেকে নিয়ে মুহুর্তেই তাকে অচেতন করে সোহাগ শিকদার। পরে ধর্ষণ করে মেয়েটিকে। ঘটনা কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। প্রচন্ড ব্যথা আর যন্ত্রনা হলে মেয়েটি মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়। পরে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।’
মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সিহাব চৌধুরী বলেন, ‘শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও দেয়া হয়েছে। গাইনী চিকিৎসকের পরীক্ষানিরীক্ষার পর মেডিকেল টিম গঠন করে প্রতিবেদন দেয়া হবে।’
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘দুইদিন আগের ঘটনা। বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতালে যায় পুলিশ। পরে মেয়েটির সাথে কথা বললে ঘটনার প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া যায়। এই ঘটনায় অবশ্যই মামলা হবে। আর অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হবে। যদি নির্যাতিতার পরিবারকে কেউ হুমকি দেয় তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মাদারীপুরে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, কাউকে বললে পরিবারকে হত্যার হুমকি

আপডেট সময় :

মাদারীপুরের কালকিনিতে নাকের সামনে চেতনানাশক দিয়ে ৮ বছরের এক শিশুকে অচেতনের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশির বিরুদ্ধে। ঘটনা কাউকে বললে পুরো পরিবারকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হলে মেয়েটিকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর পলাতক অভিযুক্ত সোহাগ শিকদার। বন্ধ রয়েছে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনও।
স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার দুপুরে মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার পশ্চিম পাঙ্গাশিয়া গ্রামের আক্কেল শিকদারের ছেলে সোহাগ শিকদার নিজঘরে ডেকে নেয় প্রতিবেশি মেয়েটিকে। পরে শিশুটির নাকের সামনে চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান করে সে। দরজা বন্ধ করে ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের অভিযোগ ওঠে সোহাগের বিরুদ্ধে। তিনঘন্টা পর জ্ঞান ফিরলে বিষয়টি কাউকে জানালে মেয়েটি ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয় অভিযুক্ত। পরে বাড়িতে চলে আসে নির্যাতিতা। রোববার দুপুরে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে ভর্তি করা হয় ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে।
নির্যাতিতার মা বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ করতে চাই না। তাহলে সোহাগ ও তার লোকজন আমাদের মেরে ফেলবে। খুব ভয়ে আছি। এই ঘটনার বিচার পাবো কিনা তাও জানি না।’
শিশুটি জানায়, ‘ঘরে ডেকে নিয়ে মুহুর্তেই তাকে অচেতন করে সোহাগ শিকদার। পরে ধর্ষণ করে মেয়েটিকে। ঘটনা কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। প্রচন্ড ব্যথা আর যন্ত্রনা হলে মেয়েটি মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়। পরে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।’
মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সিহাব চৌধুরী বলেন, ‘শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও দেয়া হয়েছে। গাইনী চিকিৎসকের পরীক্ষানিরীক্ষার পর মেডিকেল টিম গঠন করে প্রতিবেদন দেয়া হবে।’
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘দুইদিন আগের ঘটনা। বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতালে যায় পুলিশ। পরে মেয়েটির সাথে কথা বললে ঘটনার প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া যায়। এই ঘটনায় অবশ্যই মামলা হবে। আর অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হবে। যদি নির্যাতিতার পরিবারকে কেউ হুমকি দেয় তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’