সংবাদ শিরোনাম ::
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী গায়ে গরম পানি ঢেলে ঝলসানোর অভিযোগ
জামালপুর প্রতিনিধি
- আপডেট সময় : ০৭:২২:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ২৯৮ বার পড়া হয়েছে
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী গায়ে গরম পানি ঢেলে শরীর ঝলসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, গরম পানি ঢেলে ঝলসানোর পরও সাতদিন আটকে রাখার অভিযোগ আসছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ১৯ ফেব্রুয়ারি শহরের গেইটপাড় এলাকায় এ ঘটনা।
অভিযুক্ত আল আমিন শাহবাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ভুক্তভোগী ১৮ বছর বয়সী গৃহবধূ জেলার মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার গৃহবধূর বড় বোন বাদী হয়ে জামালপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় আল আমিনের বাবা আশেক আলীকে গ্রেপ্তার হয়েছে। গৃহবধূ জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চিকিৎসাধীন গৃহবধূ জানান, ১০ মাস আগে পারিবারিকভাবে আল আমিনের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নগদ ৫ লাখ টাকা, একটি মোটরসাইকেল, আসবাবপত্র ও মোবাইলসহ স্বর্ণালংকার যৌতুক দেওয়া হয়েছে। গত তিন মাস আগে শহরের গেইটপাড় এলাকার ভাড়া বাসায় নিয়মিত থাকতে শুরু করেন তারা।
গৃহবধূল অভিযোগ বিয়ের ৪-৫ মাস পর আল আমিন ফের ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। মাঝে মধ্যেই তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতনের পর চা তৈরির জন্য রাখা গরম পানি শরীরে ঢেলে দেয় আল আমিন। এতে তার পিঠের পেছনের অংশসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। এরপর চিৎকার করলে তার মুখে ওড়না গুঁজে দেন আল আমিন।
টানা ৭ দিন হাত পা-বেঁধে তাকে বাড়িতে তালা দিয়ে রেখে কর্মস্থলে যায় আল আমিন এবং প্রতিদিন ফিরে এসে সামান্য ঔষধ শরীরে লাগিয়ে দিত। এরপর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের শেখের ভিটা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান আল আমিন। পরে সেখানে অপরিচিত একজনের মোবাইল ফোন নিয়ে তার বড় বোনকে ফোন দেন।
মামলার বাদী ও গৃহবধূর বড় বোন বলেন, ছোট বোনের ফোন পেয়ে আমি হাসপাতালে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি। এসময় হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আল আমিন। সোমবার বোনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি এবং মঙ্গলবার রাতে থানায় একটি মামলা করেন তিনি।