ঢাকা ১০:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

লোহাগড়ায় হত্যাকান্ডের জেরে প্রতি পক্ষের বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:২২:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫ ২৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শামুকখোলা গ্রামের সালমান খন্দকার হত্যাকান্ডের জের ধরে প্রতিপক্ষের ১৬ টি বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করাসহ চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত ৮মে রাতে অজ্ঞাত দূবৃর্ত্তরা শামুকখোলা গ্রামের খাজা খন্দকারের ছেলে সালমান খন্দকারকে কুপিয়ে হত্যা করে পার্শ্ববর্তী কাউলিডাঙ্গা গ্রামে কালু চেয়ারম্যানের ইট ভাটার কাছে ফেলে রেখে যায়। শুক্রবার সকালে এলাকাবাসী তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। লোহাগড়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই নাহিদ খন্দকার বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের পর নিরীহ গ্রামবাসীদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা,স্বর্ণালংকার, গরু, ছাগল, মটর পাম্প ,ধান-পাট, ২টি নাটাই গাড়ীসহ বিভিন্ন মূল্যবান আসবাবপত্র লুট করা হয়েছে। আসামী দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ী জুয়েল কাজী,আতাউর রহমান,ইলু মোল্যা, মাহাব মোল্যা ও বাদশা মোল্যার কাছ থেকে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার(২১জুন)সকালে ওই গ্রামে গেলে ভূক্তভোগী শামুকখোলা গ্রামের সৈয়দ বিপুল আলী জানান,রাতের বেলা অজ্ঞাত দূবৃর্ত্তদের হাতে সালমান খন্দকার নিহত হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্যমুলকভাবে এ হত্যা মামলার আসামী করা হয়েছে। গ্রামের ভূমি দস্যু নয়ন খন্দকার,মনির জাহিদ, তরিকুল রিপন,জামাল আলী,নাইম, রুবেল, আশকার, আকতার আলী ,ঝুন্নু আলী ও সাইদ খন্দকারসহ প্রায় শতাধিক লোক আসামী পক্ষের প্রায় ১৬টি বাড়ী ভাংচর করে ১২টি গরু১০টি পানির পাম্প,ধান-পাটসহ ঘরের সমস্ত দামী মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় নজরুল খন্দকার ও আয়ুব খন্দকারের বড়ীতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এতে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমরা এ হত্যার সাথে জড়িত না। আমি এ সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ সঠিক বিচার চাই।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম বলেন,হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাড়ীতে রয়েছে। ভাংচুর,লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ও চাঁদার ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। দোষী কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

লোহাগড়ায় হত্যাকান্ডের জেরে প্রতি পক্ষের বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

আপডেট সময় : ০৫:২২:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শামুকখোলা গ্রামের সালমান খন্দকার হত্যাকান্ডের জের ধরে প্রতিপক্ষের ১৬ টি বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করাসহ চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত ৮মে রাতে অজ্ঞাত দূবৃর্ত্তরা শামুকখোলা গ্রামের খাজা খন্দকারের ছেলে সালমান খন্দকারকে কুপিয়ে হত্যা করে পার্শ্ববর্তী কাউলিডাঙ্গা গ্রামে কালু চেয়ারম্যানের ইট ভাটার কাছে ফেলে রেখে যায়। শুক্রবার সকালে এলাকাবাসী তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। লোহাগড়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই নাহিদ খন্দকার বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের পর নিরীহ গ্রামবাসীদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা,স্বর্ণালংকার, গরু, ছাগল, মটর পাম্প ,ধান-পাট, ২টি নাটাই গাড়ীসহ বিভিন্ন মূল্যবান আসবাবপত্র লুট করা হয়েছে। আসামী দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ী জুয়েল কাজী,আতাউর রহমান,ইলু মোল্যা, মাহাব মোল্যা ও বাদশা মোল্যার কাছ থেকে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার(২১জুন)সকালে ওই গ্রামে গেলে ভূক্তভোগী শামুকখোলা গ্রামের সৈয়দ বিপুল আলী জানান,রাতের বেলা অজ্ঞাত দূবৃর্ত্তদের হাতে সালমান খন্দকার নিহত হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্যমুলকভাবে এ হত্যা মামলার আসামী করা হয়েছে। গ্রামের ভূমি দস্যু নয়ন খন্দকার,মনির জাহিদ, তরিকুল রিপন,জামাল আলী,নাইম, রুবেল, আশকার, আকতার আলী ,ঝুন্নু আলী ও সাইদ খন্দকারসহ প্রায় শতাধিক লোক আসামী পক্ষের প্রায় ১৬টি বাড়ী ভাংচর করে ১২টি গরু১০টি পানির পাম্প,ধান-পাটসহ ঘরের সমস্ত দামী মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় নজরুল খন্দকার ও আয়ুব খন্দকারের বড়ীতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এতে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমরা এ হত্যার সাথে জড়িত না। আমি এ সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ সঠিক বিচার চাই।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম বলেন,হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাড়ীতে রয়েছে। ভাংচুর,লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ও চাঁদার ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। দোষী কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।