ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

লোহাগাড়ায় যুবলীগ নেতা ও গ্রাম পুলিশের নেতৃত্বে অবৈধ বালু উত্তোলন

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ২৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বায় কোনভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছেনা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নের চৌধুরী দিঘীরপাড় হিন্দুপাড়া, কালি মন্দিরের পাশে জামছড়ি খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।
প্রভাবশালী এ বালু সিন্ডিকেটে রয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন যুবলীগ নেতা, গ্রাম পুলিশের দফাদার সহ আরো অনেকেই। এসব বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে প্রতিবাদও করতে পারছেননা স্থানীয়রা।
গতকাল মঙ্গলবার সরজমিনে গেলে দেখা যায় জামছড়ি খালের পাশে একটি বালুর স্তূপ রয়েছে। ইতোমধ্যে ওখান থেকে অর্ধেক বালু পাচার করা হয়েছে। এছাড়াও জামছড়ি খালের পাড় ভেঙে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বিলের উপর আরো একটি বালুর স্তূপ করা হচ্ছে।
এসব অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির পাশাপাশি সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব। এছাড়াও এসব বালুভর্তি গাড়ি চলাচলের কারণে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট।
এ বিষয়ে সিন্ডিকেটের সদস্য আকতারের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, বালু সিন্ডিকেটে তিনি সহ গ্রাম পুলিশের দফাদার লিটন, যুবলীগ নেতা দিদার, বিদ্যুৎ চৌধুরী সহ মোট ৪জন আছে এবং এসব বিষয়ে (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান ছৈয়দ হোসেন অবগত রয়েছে।
দফাদার লিটন দাশ বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টি অবগত আছেন তিনি। তবে, বালু সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন এবং যারা বালু ব্যবসা করতেছে তারা খতিয়ানভুক্ত জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করতেছে বলেও জানান দফাদার লিটন।
এ বিষয়ে চরম্বা ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান ছৈয়দ হোসেন বলেন বালু উত্তোলনের বিষয়ে তিনি অবগত নয়, সরজমিন পরিদর্শন করে বিষয়টি জানাবেন বলে ফোন রেখে দেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

লোহাগাড়ায় যুবলীগ নেতা ও গ্রাম পুলিশের নেতৃত্বে অবৈধ বালু উত্তোলন

আপডেট সময় :

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বায় কোনভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছেনা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নের চৌধুরী দিঘীরপাড় হিন্দুপাড়া, কালি মন্দিরের পাশে জামছড়ি খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।
প্রভাবশালী এ বালু সিন্ডিকেটে রয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন যুবলীগ নেতা, গ্রাম পুলিশের দফাদার সহ আরো অনেকেই। এসব বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে প্রতিবাদও করতে পারছেননা স্থানীয়রা।
গতকাল মঙ্গলবার সরজমিনে গেলে দেখা যায় জামছড়ি খালের পাশে একটি বালুর স্তূপ রয়েছে। ইতোমধ্যে ওখান থেকে অর্ধেক বালু পাচার করা হয়েছে। এছাড়াও জামছড়ি খালের পাড় ভেঙে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বিলের উপর আরো একটি বালুর স্তূপ করা হচ্ছে।
এসব অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির পাশাপাশি সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব। এছাড়াও এসব বালুভর্তি গাড়ি চলাচলের কারণে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট।
এ বিষয়ে সিন্ডিকেটের সদস্য আকতারের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, বালু সিন্ডিকেটে তিনি সহ গ্রাম পুলিশের দফাদার লিটন, যুবলীগ নেতা দিদার, বিদ্যুৎ চৌধুরী সহ মোট ৪জন আছে এবং এসব বিষয়ে (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান ছৈয়দ হোসেন অবগত রয়েছে।
দফাদার লিটন দাশ বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টি অবগত আছেন তিনি। তবে, বালু সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন এবং যারা বালু ব্যবসা করতেছে তারা খতিয়ানভুক্ত জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করতেছে বলেও জানান দফাদার লিটন।
এ বিষয়ে চরম্বা ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান ছৈয়দ হোসেন বলেন বালু উত্তোলনের বিষয়ে তিনি অবগত নয়, সরজমিন পরিদর্শন করে বিষয়টি জানাবেন বলে ফোন রেখে দেন তিনি।