ঢাকা ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ২৫৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে শ্রদ্ধা ভালোবাসায় স্মরণ করা হলো বাংলাদেশে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার প্রচন্ড শীত উপেক্ষা ভোর থেকে ঢাকার মিরপুর ও রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল নামে। ১৯৭১ সালে পাকিনস্তানী বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নির্মমভাবে নিহত জাতির সূর্যসন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকা মিরপুর ও রায়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল নামে।

দিনের শুরুতে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। শনিবার জাতীয় বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানাতে নানা বয়সী, নানা পেশার হাজারো মানুষ ছুটে আসেন আসেন স্মৃতিসৌধে।

একাত্তর সালের এই দিনটিতে এ দেশীয় রাজাকার, আল বদর, আল শামসদের সহায়তায় পাক সেনাদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন দেশের বরেণ্য শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিল্পীসহ জাতির মেধাবী সন্তানেরা। পরে তাদেও মরদেহ ঢাকার রায়েরবাজার ও মিরপুরসহ কয়েকটি বধ্যভূমিতে ফেলে দেওয়া হয়।

পরাজয় আসন্ন বুঝতে করতে পেরে পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের দেশীয় দোসররা দেশকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু করার লক্ষ্যে এই গণহত্যা চালায়। সেই স্মৃতিকে অমর করে রাখতেই প্রতিবছর উদযাপিত হয় দিবসটি। শ্রদ্ধা জানাতে আসা অনেকেই মনে করেন, সে সময়ে দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা ছিল একটা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। জাতিকে মেধাশূন্য করার এক গভীর চক্রান্ত ছিল এই হত্যাকাণ্ড।

সেই নির্মম ঘটনার স্মৃতি ধরে রাখতেই আজ এখানে ছুটে আসা। এদিন সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ

আপডেট সময় :

 

বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে শ্রদ্ধা ভালোবাসায় স্মরণ করা হলো বাংলাদেশে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার প্রচন্ড শীত উপেক্ষা ভোর থেকে ঢাকার মিরপুর ও রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল নামে। ১৯৭১ সালে পাকিনস্তানী বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নির্মমভাবে নিহত জাতির সূর্যসন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকা মিরপুর ও রায়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল নামে।

দিনের শুরুতে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। শনিবার জাতীয় বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানাতে নানা বয়সী, নানা পেশার হাজারো মানুষ ছুটে আসেন আসেন স্মৃতিসৌধে।

একাত্তর সালের এই দিনটিতে এ দেশীয় রাজাকার, আল বদর, আল শামসদের সহায়তায় পাক সেনাদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন দেশের বরেণ্য শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিল্পীসহ জাতির মেধাবী সন্তানেরা। পরে তাদেও মরদেহ ঢাকার রায়েরবাজার ও মিরপুরসহ কয়েকটি বধ্যভূমিতে ফেলে দেওয়া হয়।

পরাজয় আসন্ন বুঝতে করতে পেরে পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের দেশীয় দোসররা দেশকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু করার লক্ষ্যে এই গণহত্যা চালায়। সেই স্মৃতিকে অমর করে রাখতেই প্রতিবছর উদযাপিত হয় দিবসটি। শ্রদ্ধা জানাতে আসা অনেকেই মনে করেন, সে সময়ে দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা ছিল একটা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। জাতিকে মেধাশূন্য করার এক গভীর চক্রান্ত ছিল এই হত্যাকাণ্ড।

সেই নির্মম ঘটনার স্মৃতি ধরে রাখতেই আজ এখানে ছুটে আসা। এদিন সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।