ঢাকা ১১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

সংবাদ করায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জিডির প্রতিবাদে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ৩৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত এম এ হকের সন্তান, সিলেট মহানগর বিএনপির সহসভাপতি রিয়াসাদ আজিম আদনানের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ বাংলাদেশির ভুমি আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগে সূত্র ধরে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমান হাতে নিয়ে রিপোর্ট করায় রানার টিভির রিপোর্টার নুরুল হক শিপুসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়রি দায়ের করেছেন আদনান। এই জিডির প্রতিবাদে বরিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে প্রেসক্লাবে সামনে বাংলাদেশ পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়েছে।

এসময় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নাসিমা আক্তার সোমা, পিবজার সহ-সভাপতি ড. দিপু সিদ্দিকী, বিপিজেএফের সাধারণ সম্পাদক রোমান আকন্দ, সহ-সভাপতি এফ রহমান রুপক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম রেজাউল করিম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাফিজ উদ্দিন, মানবাধিকার সম্পাদক জাকিয়া হোসেন, সহ-ধর্ম সম্পাদক এসএম জাহান ইমাম, সাংবাদিক রোজিনা আক্তার, মোস্তফা সরদার প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকেরা নিশ্চুপ থাকলে সমাজ অন্ধকার হয়ে যাবে। প্রকৃত সাংবাদিকদের কোনো বন্ধু নেই। সাংবাদিকদের প্রকৃত বন্ধু হচ্ছে জনগণ। আমরা কোনো দল বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়নি। সাংবাদিক নুরুল হক শিপু দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সঙ্গে সিলেটে সাংবাদিকতা করার পর সাড়ে ৩ বছর যাবৎ যুক্তরাজ্যে নিবন্ধিত অনলাইন রানার টিভির রিপোর্টার হিসেবে সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি সঠিক তথ্য উপাত্ত হাতে সে একটি জমি আত্মসাতের সংবাদ ও অভিযোগকারীদের ইন্টারভিউ সহ প্রচার করে। এতে ক্ষুদ্র হয়ে সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি রিয়াসাদ আজিম আদনান অভিযোগকারীসহ সাংবাদিক শিপুর বিরুদ্ধে সিলেট কোতায়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এখানে শিপুর কি অপরাধ। শিপুর সাংবাদিক হিসেবে সংবাদ প্রচার করেছে। আমরা চাই, অবিলম্বে শিপুর বিরুদ্ধে দায়ের করা সাধারণ ডায়েরীর প্রত্যাহার।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক নুরুল হক শিপু জানান, ব্রিটিশ বাংলাদেশি প্রয়াত দুদু মিয়া ও বিএনপির প্রয়াত নেতা এম.এ হক ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সেই সম্পর্কের কারণে দুজন জীবিত থাকতে এম. এ হক সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট উপকণ্ঠে ৬০ শতক জায়গা বিক্রি করেন দুদু মিয়ার কাছে। বিক্রিত জমি রেজিস্ট্রারি দলিলও করে দেয়া হয়। এরমধ্যে ৩০ শতক জায়গা এম.এ হক জীবিত থাকতে বুঝিয়েও দিয়েছেন। বাকি জায়গা দুদু মিয়া বুঝে নিতে এবং এম.এ হক বুঝিয়ে দেয়ার আগেই দুজনই মারা যান। ২০২৪ সালে দুদু মিয়ার বড় ছেলে হুমায়ুন কবির দেশে গিয়ে হকপুত্র
অভিযুক্ত সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি রিয়াসাদ আজিম আদনানের সাথে যোগাযোগ করে জায়গা বুঝিয়ে দিতে বলেন। এসময় আদনান জায়গা দিবেন না জানিয়ে প্রকাশ্যে হুমায়ুন কবিরকে হুমকি দেন। জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে হুমায়ুন কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়রি করে দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে ফিরেন। হুমায়ুন যুক্তরাজ্যে ফেরার পরই আদনান জায়গার প্রবেশপথ বন্ধ করে দেন এবং নিজেই জায়গায় অগ্নিসংযোগ করেছেন বলে অভিযোগ হুমায়ুনের।

এঘটনায় হুমায়ুনের মা রাহেলা আক্তার চৌধুরী বাংলাদেশ হাইকমিশন যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, ভূমি উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, ভূমি সচিব, আইজিপি, সিলেট জেলা প্রশাসক ও সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে ভূমি ফিরে পেতে আইনি সহযোগিতা চেয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এই সকল অভিযোগের তথ্য প্রমান নিয়ে প্রয়াত দুদু মিয়ার দুই ছেলে হুমায়ুন কবির ও নাসিম কবিরের ইন্টারভিউ রানার টিভিতে প্রকাশ করেন রানার টিভির রিপোর্টার নুরুল হক শিপু। রিপোর্ট প্রকাশের পর ক্ষুব্ধ হয়ে তিনজনের নামোল্লেখ করে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়রি করেন অভিযুক্ত সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি রিয়াসাদ আজিম আদনান। তার করা সাধারণ ডায়রিতে অভিযুক্তরা হলেন, প্রয়াত দুদু মিয়ার ছেলে নাসিম কবির ও হুমায়ুন কবির। সাধারণ ডায়রিতে রিপোর্ট করার অভিযোগে রানার টিভির রিপোর্টার নুরুল হক শিপুকে ৩ নম্বর আসামি করেছেন আদনান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সংবাদ করায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জিডির প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেট সময় :

সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত এম এ হকের সন্তান, সিলেট মহানগর বিএনপির সহসভাপতি রিয়াসাদ আজিম আদনানের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ বাংলাদেশির ভুমি আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগে সূত্র ধরে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমান হাতে নিয়ে রিপোর্ট করায় রানার টিভির রিপোর্টার নুরুল হক শিপুসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়রি দায়ের করেছেন আদনান। এই জিডির প্রতিবাদে বরিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে প্রেসক্লাবে সামনে বাংলাদেশ পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়েছে।

এসময় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নাসিমা আক্তার সোমা, পিবজার সহ-সভাপতি ড. দিপু সিদ্দিকী, বিপিজেএফের সাধারণ সম্পাদক রোমান আকন্দ, সহ-সভাপতি এফ রহমান রুপক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম রেজাউল করিম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাফিজ উদ্দিন, মানবাধিকার সম্পাদক জাকিয়া হোসেন, সহ-ধর্ম সম্পাদক এসএম জাহান ইমাম, সাংবাদিক রোজিনা আক্তার, মোস্তফা সরদার প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকেরা নিশ্চুপ থাকলে সমাজ অন্ধকার হয়ে যাবে। প্রকৃত সাংবাদিকদের কোনো বন্ধু নেই। সাংবাদিকদের প্রকৃত বন্ধু হচ্ছে জনগণ। আমরা কোনো দল বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়নি। সাংবাদিক নুরুল হক শিপু দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সঙ্গে সিলেটে সাংবাদিকতা করার পর সাড়ে ৩ বছর যাবৎ যুক্তরাজ্যে নিবন্ধিত অনলাইন রানার টিভির রিপোর্টার হিসেবে সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি সঠিক তথ্য উপাত্ত হাতে সে একটি জমি আত্মসাতের সংবাদ ও অভিযোগকারীদের ইন্টারভিউ সহ প্রচার করে। এতে ক্ষুদ্র হয়ে সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি রিয়াসাদ আজিম আদনান অভিযোগকারীসহ সাংবাদিক শিপুর বিরুদ্ধে সিলেট কোতায়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এখানে শিপুর কি অপরাধ। শিপুর সাংবাদিক হিসেবে সংবাদ প্রচার করেছে। আমরা চাই, অবিলম্বে শিপুর বিরুদ্ধে দায়ের করা সাধারণ ডায়েরীর প্রত্যাহার।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক নুরুল হক শিপু জানান, ব্রিটিশ বাংলাদেশি প্রয়াত দুদু মিয়া ও বিএনপির প্রয়াত নেতা এম.এ হক ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সেই সম্পর্কের কারণে দুজন জীবিত থাকতে এম. এ হক সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট উপকণ্ঠে ৬০ শতক জায়গা বিক্রি করেন দুদু মিয়ার কাছে। বিক্রিত জমি রেজিস্ট্রারি দলিলও করে দেয়া হয়। এরমধ্যে ৩০ শতক জায়গা এম.এ হক জীবিত থাকতে বুঝিয়েও দিয়েছেন। বাকি জায়গা দুদু মিয়া বুঝে নিতে এবং এম.এ হক বুঝিয়ে দেয়ার আগেই দুজনই মারা যান। ২০২৪ সালে দুদু মিয়ার বড় ছেলে হুমায়ুন কবির দেশে গিয়ে হকপুত্র
অভিযুক্ত সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি রিয়াসাদ আজিম আদনানের সাথে যোগাযোগ করে জায়গা বুঝিয়ে দিতে বলেন। এসময় আদনান জায়গা দিবেন না জানিয়ে প্রকাশ্যে হুমায়ুন কবিরকে হুমকি দেন। জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে হুমায়ুন কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়রি করে দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে ফিরেন। হুমায়ুন যুক্তরাজ্যে ফেরার পরই আদনান জায়গার প্রবেশপথ বন্ধ করে দেন এবং নিজেই জায়গায় অগ্নিসংযোগ করেছেন বলে অভিযোগ হুমায়ুনের।

এঘটনায় হুমায়ুনের মা রাহেলা আক্তার চৌধুরী বাংলাদেশ হাইকমিশন যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, ভূমি উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, ভূমি সচিব, আইজিপি, সিলেট জেলা প্রশাসক ও সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে ভূমি ফিরে পেতে আইনি সহযোগিতা চেয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এই সকল অভিযোগের তথ্য প্রমান নিয়ে প্রয়াত দুদু মিয়ার দুই ছেলে হুমায়ুন কবির ও নাসিম কবিরের ইন্টারভিউ রানার টিভিতে প্রকাশ করেন রানার টিভির রিপোর্টার নুরুল হক শিপু। রিপোর্ট প্রকাশের পর ক্ষুব্ধ হয়ে তিনজনের নামোল্লেখ করে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়রি করেন অভিযুক্ত সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি রিয়াসাদ আজিম আদনান। তার করা সাধারণ ডায়রিতে অভিযুক্তরা হলেন, প্রয়াত দুদু মিয়ার ছেলে নাসিম কবির ও হুমায়ুন কবির। সাধারণ ডায়রিতে রিপোর্ট করার অভিযোগে রানার টিভির রিপোর্টার নুরুল হক শিপুকে ৩ নম্বর আসামি করেছেন আদনান।