সংসদে কামরুল : দুর্নীতি না করলে বেনজিররা কেন পালিয়ে যান?
- আপডেট সময় : ০৭:০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪ ১৯০ বার পড়া হয়েছে
দুর্নীতি বন্ধে ব্যবস্থা নিলে শেখ হাসিনা মাহাথিরকে ছাড়িয়ে যাবেন
ব্যাংক লুট, বিদেশে অর্থপাচার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, এসব অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তাহলে শেখ হাসিনা মালেশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদধকেও ছাড়িয়ে যাবেন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্রশ্ন রেখে সরকার দলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, দুর্নীতি না করলে বেনজির, ছাগল কাণ্ডের অফিসাররা কেন আইনকে ভয় পান। দেশ থেকে কেন পালিয়ে যান? তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও কাস্টমস কর্মকর্তা মতিউর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে সংসদে কামরুল ইসলাম বলেন, জাতীয় ও আন্তজার্তিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এই সমস্ত দূর্নীতির কথা হঠাৎ করে ওঠে আসছে। তারপরও এ কথা স্বীকার করতেই হবে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা কেন আইনকে ভয় পায়?
আইনকে ভয় পেয়ে বিদেশে কেন চলে যায়? আজ বেনজীর সাহেব, ছাগলকাণ্ডের কর্মকর্তারা কেন আইনকে ভয় পায়? আইনকে ভয় পায় বলে মনে হচ্ছে তারা দুর্নীতিগ্রস্ত। তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেগুলো সত্য। কিন্তু তারপরও তাদের ভূমিকায় এগুলো সত্য বলে প্রতিয়মান হয়।
এমপি কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে ব্যাংক লুটেরা, অর্থ পাচারকারীরা এবং দুর্নীতিবাজরা আমাদের গায়ে চুনকালী মাখাতে পারে না। তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
কামরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের যে নীতি এটা স্বীকার করতেই হবে, দুর্নীতির বিষয়ে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি। আমাদের নেতাকর্মীদের কোন ভাবেই আমরা দুর্নীতিতে ছাড় দিচ্ছি না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
দুর্নীতি বিরোধী অভিযান জোরদারের আহ্বান জানিয়ে সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অনেক আইন আছে। কিন্তু আইনের দৃশ্যমান বাস্তবায়ন নেই। দুনীতিকে বরদাস্ত করলে চলবে না। জনগণ দুর্নীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রস্তাবিত বাজেটকে ইতিবাচক উল্লখে করে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. হুছামুদ্দীন চৌধুরী বলেন, যারা বাজেট বাস্তবায়ন করবেন, তাদেরকে দুর্নীতিমুক্ত রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। এনবিআর, দুদক-এধরণের প্রতিষ্ঠানগুলোকে আস্থাশীল ও স্বচ্ছ না করতে পারলে অগ্রসর হওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, সরিষার মধ্যে যদি ভুত থাকে, তাহলে ভুত তাড়াবেন কি করে? তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কলো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। নিশ্চয়ই এর পিছনে কোন যৌক্তিক কারণ আছে। তবে এর মাধ্যমে যেন দুর্নীতি উৎসাহিত না হয়, সে বিষয়ে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।
স্বতন্ত্র সংসদ সসদস্য আখতারুজ্জামান বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে হবে। অর্থমন্ত্রী এ জন্য পরিকল্পনা নিয়েছেন। কিন্তু অর্থমন্ত্রী যে মডেল নিয়েছেন একই মডেল যুক্তরাষ্ট্র অনুসরণ করে পাঁচ বছরেও সফল হয়নি। তিনি অর্থমন্ত্রীকে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে আবার বসার আহ্বান জানান।