ঢাকা ০৬:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সিলগালা করেন ভুয়া হিয়ারিং সেন্টার

শাহান আলী, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৪৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৪৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান। সত্যতা যাচাই করার জন্য উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শারমিন আলম। শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সময় ৫ ঘটিকায় পৌর শহরের দ্বারিয়াপুর আব্দুল হামিদ মার্কেটের ৩য় তলায় অবস্থিত তাক?ওয়া হিয়ারিং সেন্টারে এই অভিযান চালানো শুরু হয়। এসময় কর্মরত টেশনিশিয়ানের কাগজ পত্র ও অফিসে কোন সনদ ও দেখাতে পারেননি। তিনি জানান, রোগীর কান পরীক্ষা করে মোবাইলের মাধ্যমে তাক?ওয়া হিয়ারিং সেন্টারের মালিক গোলাম মোস্তফাকে পাঠানো হয়। পরবর্তী সপ্তাহে গোলাম মোস্তাফার রিপোর্ট প্রদান করেন।

এসময় টাকার রশিদে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান সিরাজগঞ্জ উল্লেখ রয়েছে। টাকার রশিদে কোন কোন রোগীর কাছ থেকে একটি টেষ্ট করেই ১২০০ টাকা আদায়ের প্রমাণ রয়েছে আবার ৩টি টেষ্ট করার বিনিময়ে ১২০০ টাকা নেওয়ার প্রমাণ রয়েছে। পরে মুঠোফোনে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শারমিন আলম প্রতিষ্ঠানটির মালিক গোলাম মোস্তফার সাথে কথা বলে হিয়ারিং সেন্টারের সার্টিফিকেট এবং তার নিজের সার্টিফিকেট দেখতে চান। গোলাম মোস্তফা জানান এই বিষয়ে তিনি বিদেশ থেকে ট্রেনিং করে এসেছেন। এই বিষয়ে উপজেলা স্বা¯’্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শারমিন আলম জানান, আমরা তাকওয়া হিয়ারিং সেন্টারের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে নানা অভিযোগ পেয়েছি। তারা ভুল রিপোর্ট প্রদান করে থাকে। তাছাড়া তাদের কোন অভিজ্ঞ বা সনদপ্রাপ্ত টেকনিশিয়ান নেই। তাদের রিপোর্টের মাধ্যমে বধিরকে সুস্থ্য এবং সুস্থকে বধির করারও ঘটনা ঘটেছে। এবং তারা তাদের ভূয়া রিপোটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন করছে।

পরে মালিক পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আগামী সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত হতে নির্দেশের পাশাপাশি হেয়ারিং সেন্টারটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, অনিয়মের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন যাবত মানুষের সাথে প্রতারণা করে চলেছে। তারা টেস্ট করার নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ইচ্ছামত টাকা আদায় করে থাকেন। আমরা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দিয়েছি এবং মালিককে লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সোমবার দেখা করতে বলেছি। এই সমায় উপস্থিত ছিলেন শাহজাদপুর সাংবাদিক ফোরামে এর সভাপতি মোঃ রাজিব আহমেদ রাসেল সহ সাংবাদিক ফোরামের সদস্য বৃন্দ, শাহজাদপুর থানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসআই এরশাদ। প্রেস ক্লাবের সংবাদকর্মী সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সিলগালা করেন ভুয়া হিয়ারিং সেন্টার

আপডেট সময় : ০১:৪৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান। সত্যতা যাচাই করার জন্য উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শারমিন আলম। শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সময় ৫ ঘটিকায় পৌর শহরের দ্বারিয়াপুর আব্দুল হামিদ মার্কেটের ৩য় তলায় অবস্থিত তাক?ওয়া হিয়ারিং সেন্টারে এই অভিযান চালানো শুরু হয়। এসময় কর্মরত টেশনিশিয়ানের কাগজ পত্র ও অফিসে কোন সনদ ও দেখাতে পারেননি। তিনি জানান, রোগীর কান পরীক্ষা করে মোবাইলের মাধ্যমে তাক?ওয়া হিয়ারিং সেন্টারের মালিক গোলাম মোস্তফাকে পাঠানো হয়। পরবর্তী সপ্তাহে গোলাম মোস্তাফার রিপোর্ট প্রদান করেন।

এসময় টাকার রশিদে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান সিরাজগঞ্জ উল্লেখ রয়েছে। টাকার রশিদে কোন কোন রোগীর কাছ থেকে একটি টেষ্ট করেই ১২০০ টাকা আদায়ের প্রমাণ রয়েছে আবার ৩টি টেষ্ট করার বিনিময়ে ১২০০ টাকা নেওয়ার প্রমাণ রয়েছে। পরে মুঠোফোনে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শারমিন আলম প্রতিষ্ঠানটির মালিক গোলাম মোস্তফার সাথে কথা বলে হিয়ারিং সেন্টারের সার্টিফিকেট এবং তার নিজের সার্টিফিকেট দেখতে চান। গোলাম মোস্তফা জানান এই বিষয়ে তিনি বিদেশ থেকে ট্রেনিং করে এসেছেন। এই বিষয়ে উপজেলা স্বা¯’্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শারমিন আলম জানান, আমরা তাকওয়া হিয়ারিং সেন্টারের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে নানা অভিযোগ পেয়েছি। তারা ভুল রিপোর্ট প্রদান করে থাকে। তাছাড়া তাদের কোন অভিজ্ঞ বা সনদপ্রাপ্ত টেকনিশিয়ান নেই। তাদের রিপোর্টের মাধ্যমে বধিরকে সুস্থ্য এবং সুস্থকে বধির করারও ঘটনা ঘটেছে। এবং তারা তাদের ভূয়া রিপোটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন করছে।

পরে মালিক পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আগামী সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত হতে নির্দেশের পাশাপাশি হেয়ারিং সেন্টারটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, অনিয়মের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন যাবত মানুষের সাথে প্রতারণা করে চলেছে। তারা টেস্ট করার নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ইচ্ছামত টাকা আদায় করে থাকেন। আমরা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দিয়েছি এবং মালিককে লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সোমবার দেখা করতে বলেছি। এই সমায় উপস্থিত ছিলেন শাহজাদপুর সাংবাদিক ফোরামে এর সভাপতি মোঃ রাজিব আহমেদ রাসেল সহ সাংবাদিক ফোরামের সদস্য বৃন্দ, শাহজাদপুর থানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসআই এরশাদ। প্রেস ক্লাবের সংবাদকর্মী সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।