ঢাকা ০৪:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

সুন্দরগঞ্জে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু    

শহীদুল ইসলাম শহীদ,সুন্দরগঞ্জ  (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:১৩:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪ ১৫০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় নিশিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ১১৪ টি পূজা মন্ডপে বুধবার থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বৃহত্তম ধর্মীয় শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হয়েছে।  আজ মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বৃহত্তম ধর্মীয় শারদীয় দুর্গোৎসব। আগামী ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে  সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ উৎসব।
এদিকে দুর্গাপূজাকে  আনন্দমুখর করে তুলতে উপজেলার পূজা মণ্ডপ গুলোকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। উপজেলার ১১৪টি পূজা মন্ডপে বইছে উৎসবের আমেজ।প্রতিটি মণ্ডপের সামনে তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন তোরণ। ঢাক-ঢোলএবং শঙ্খের    আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ। বুধবার ( ০৯ অক্টোবর ) বুধবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে দুর্গা দেবীর বোধন।বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে দুর্গাপূজা   কমিউনিটি পূজা হিসেবে হিন্দুদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, ষষ্ঠী তিথির সন্ধ্যায় ঊলুধ্বনি, ঢাক-ঢোল-কাঁসর-মন্দিরের  চারদিক কাঁপানো শব্দ আর পুরোহিতদের কণ্ঠে-যা দেবী নমঃ মন্ত্রোচ্চারণের ভেতর দিয়ে দেবী পিতৃগৃহে আসেন। বসন্তে  এ পূজার আয়োজন করেন। এজন্য দেবীর এ পূজার আয়োজন করা হয় জন্য একে বাসন্তী পূজাও বলা হয়। পূজার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থা নিয়োজিত আছে বলে উপজেলা প্রশাসনের  পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী,পুলিশ ও র‌্যাবের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।উপজেলার বামনডাঙ্গা শিব বাড়ি,কালী মন্দির পূজা মন্ডপ সহ বিভিন্ন মণ্ডপে দুর্গোৎসবের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুর্গোৎসব উপলক্ষে সুন্দরগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য  পরিষদ,হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট নেতারা হিন্দু সম্প্রদায়সহ ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে উপজেলার সব সর্বশ্রেণীর জনসাধারণকে শারদীয় দুর্গাপূজার  শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এদিকে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিস সূত্রে  জানা গেছে উপজেলার ১১৪ টি পূজা মন্ডপের মধ্যে ১৫ টি ঝুঁকিপূর্ণ। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ পূজা মন্ডপ গুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সুন্দরগঞ্জে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু    

আপডেট সময় : ০৪:১৩:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় নিশিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ১১৪ টি পূজা মন্ডপে বুধবার থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বৃহত্তম ধর্মীয় শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হয়েছে।  আজ মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বৃহত্তম ধর্মীয় শারদীয় দুর্গোৎসব। আগামী ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে  সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ উৎসব।
এদিকে দুর্গাপূজাকে  আনন্দমুখর করে তুলতে উপজেলার পূজা মণ্ডপ গুলোকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। উপজেলার ১১৪টি পূজা মন্ডপে বইছে উৎসবের আমেজ।প্রতিটি মণ্ডপের সামনে তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন তোরণ। ঢাক-ঢোলএবং শঙ্খের    আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ। বুধবার ( ০৯ অক্টোবর ) বুধবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে দুর্গা দেবীর বোধন।বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে দুর্গাপূজা   কমিউনিটি পূজা হিসেবে হিন্দুদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, ষষ্ঠী তিথির সন্ধ্যায় ঊলুধ্বনি, ঢাক-ঢোল-কাঁসর-মন্দিরের  চারদিক কাঁপানো শব্দ আর পুরোহিতদের কণ্ঠে-যা দেবী নমঃ মন্ত্রোচ্চারণের ভেতর দিয়ে দেবী পিতৃগৃহে আসেন। বসন্তে  এ পূজার আয়োজন করেন। এজন্য দেবীর এ পূজার আয়োজন করা হয় জন্য একে বাসন্তী পূজাও বলা হয়। পূজার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থা নিয়োজিত আছে বলে উপজেলা প্রশাসনের  পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী,পুলিশ ও র‌্যাবের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।উপজেলার বামনডাঙ্গা শিব বাড়ি,কালী মন্দির পূজা মন্ডপ সহ বিভিন্ন মণ্ডপে দুর্গোৎসবের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুর্গোৎসব উপলক্ষে সুন্দরগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য  পরিষদ,হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট নেতারা হিন্দু সম্প্রদায়সহ ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে উপজেলার সব সর্বশ্রেণীর জনসাধারণকে শারদীয় দুর্গাপূজার  শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এদিকে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিস সূত্রে  জানা গেছে উপজেলার ১১৪ টি পূজা মন্ডপের মধ্যে ১৫ টি ঝুঁকিপূর্ণ। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ পূজা মন্ডপ গুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।