১২০০ হেক্টর জমির ফসল আর হাজারো পুকুরের মাছ ভাসিয়ে কমছে বানের পানি
- আপডেট সময় : ০৬:২০:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪ ১৩৭ বার পড়া হয়েছে
বানভাসি সুনামগঞ্জ। প্রতিবছরই বানের পানিতে প্লাবিত হয় বাড়িঘর। কিন্তু সরকারি ক্ষতিপূরণ যা মেলে তা খুবই অপ্রতুল। এরই মধ্যে গত দু’দিন বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকায় কমতে শুরু করেছে সুনামগঞ্জের ২৬ নদ-নদীর জল। বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়া অনেকেই বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। এবারের বানে ভেসে গেছে প্রায় ৮ হাজার পুকুরের মাছ। তলিয়ে গেছে ১,৭০০ হেক্টর আউস ধান। এবং ক্ষতিগ্রস্ত তালিকায় রয়েছে ৫০০ হেক্টর ক্ষেতের সবজি।
ঈদের আগের দিন থেকে টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে হু হু করে বাড়তে থাকে পানি বাড়তে সুনামগঞ্জের ২৬ নদ-নদীর পানি। তাতে ডুবে যায় ভাটি অঞ্চল সুনামগঞ্জ শহর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক ও মধ্যনগর উপজেলাসহ নিম্নাঞ্চল।
একারণে পানিবন্দি হয় প্রায় সাড়ে ৬ লাখ মানুষ। বাড়িঘর ছেড়ে অনেককে আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠছে হয়। গত শুক্রবার সকাল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত সুনামগঞ্জ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করে। তাতে স্বস্তি ফেরে বানভাসি মানুষের।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার প্রায় সব নদ-নদীর পানি কমেছে। বিশেষ করে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বসতভিটায় এসেছি। ঘরবাড়ির অবস্থা খুব খারাপ।
এলাকাবাসী জানান, প্রতিবছর সুনামগঞ্জে বন্যায়। তাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু সরকারি সহায়তা মেলে খুব অল্প।
নুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির তালিকা করা হচ্ছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সবধরনের সহায়তা করা হবে।