ঢাকা ১০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:২১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আ.লীগ পতনের পর থেকে সাংগঠনিক ভাবে মানুষদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের নেতৃত্বের কৌশল ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি
জামায়াতে কর্মীরা পাড়া-মহল্লাসহ দূর্গম চরাঞ্চলগুলোতে রাজনৈতিক কার্যক্রম গতিশীল করছে

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মাঠে ময়দানে প্রচার-প্রচারনাসহ সাংগঠনিক গতিশীলতায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা সভা সমাবেশ করছে।
জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা’র নীতিগত সিদ্ধান্তে গাইবান্ধার পাঁচটি আসনের পাঁচজন প্রার্থী আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তৃনমুলে জনগণের দোরগোড়ায় দৌড়ঝাঁপ করতে শুরু করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়াসহ পোষ্টারে গাইবান্ধার পাঁচটি আসনে জামায়াতে ইসলামীর তিনজন সাবেক চেয়ারম্যানসহ পাঁচজন প্রার্থীর ঈদ শুভেচ্ছা ফটো কার্ডসহ কর্মী সভার মধ্যদিয়ে সরব হয়ে উঠেছে।
জামায়াতে ইসলামী কর্মীদের ফেসবুক আইডি জুড়ে গাইবান্ধার পাঁচটি আসনে একই সঙ্গে পাঁচ প্রার্থীর প্রচারে নির্বাচনী আলোচনা এখন সর্বত্রে দেখা দিয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রত্যাশায় কোন শুভেচ্ছা দিতে দেখা যায়নি। গাইবান্ধার বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর তৃনমুল সাংগঠনিক কার্যক্রম চাঙ্গা করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে সদস্য সংগ্রহসহ সভা-সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন। বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেয়া বক্তব্য থেকে জেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. আব্দুল আউয়াল আরজু গাইবান্ধা সদর আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং অপরদিকে জেলা বিএনপি সহসভাপতি মো. নাহিদুজ্জামান নিশাত সাঘাটা-ফুলছড়ি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে তৃনমুলের সভা-সমাবেশে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করছে।
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সরব হওয়া জামায়াতে ইসলামীর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আসনের প্রার্থী নায়েবে আমীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো: মাজেদুর রহমান, গাইবান্ধা সদর আসনের প্রার্থী জেলা আমীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো: আবদুল করিম, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর আসনে প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম লেবু, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ আসনের প্রার্থী ডা. আব্দুর রহিম সরকার, গাইবান্ধার সাঘাটা-ফুলছড়ি আসনের প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল ওয়ারেছ।
বিগত ষোল বছরে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ হাজতে এবং আত্মগোপনে থেকেও রক্ষা পায়নি। প্রকাশ্য হত্যা,গুমসহ শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ হানির মতো যন্ত্রণায় এখনও কাতরাচ্ছে অনেক নেতা-কর্মী। ফ্যাসিস্টদের অসহনীয় নির্যাতনে আমাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও বাদ যায়নি। বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে আক্রোশ মূলক ভাবে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিস্ক্রিয় করার যড়যন্ত্র করেও জনপ্রিয়তা কমাতে পারেনি যা উপজেলা নির্বাচনগুলোতে জনগন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের ভোট দিয়ে ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে গাইবান্ধা উপজেলা পর্যায়ে জামায়াতে ইসলামীর সাথে বিএনপি একাধিক পাল্টা-পাল্টি হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
সাধারণ মানুষের কাছে জামায়াতে ইসলামীর গ্রহন যোগ্য প্রার্থীদের মনোনীত করা হয়েছে বলে দাবিও করছেন দলের তৃনমূল কর্মীরা।
জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন বিভাগের তৃনমূল নেতা-কর্মীরা বলছে- জেল-জুলুম,মামলা-হামলা ও নির্যাতনের মাঝেও আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল রাখার জন্য ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। দীর্ঘ ষোল বছরে ফ্যাসিস্ট সরকারের দমন-পীড়নে আক্রাশে সবচে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি আমরা। এর মাঝে বিগত সময়ে উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভাবে আমাদের নেতারা নির্বাচিত হলেও তাদের মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেয়ায় দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জনগনের কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাশা পূরনের সুযোগ হয়নি।
জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা জেলা শাখার আমীর মো: আব্দুল করিম জানান, আগামী সংসদ নির্বাচন ঘিরে চূড়ান্ত ভাবে গাইবান্ধার পাঁচটি আসনে সাংগঠনিক ভাবে দলীয় প্রার্থীর ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে তৃনমুল গোছানোর কাজ করছি। জনগনের প্রত্যাশা পূরণে আমাদের কাজের ক্ষেত্র স্বচ্ছ এবং গ্রহনযোগ্য।
তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধার পাঁচটি আসনে জামায়াতে ইসলামী জনগনের আস্থাপূর্ন ব্যক্তিদের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আপডেট সময় : ০৪:২১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

আ.লীগ পতনের পর থেকে সাংগঠনিক ভাবে মানুষদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের নেতৃত্বের কৌশল ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি
জামায়াতে কর্মীরা পাড়া-মহল্লাসহ দূর্গম চরাঞ্চলগুলোতে রাজনৈতিক কার্যক্রম গতিশীল করছে

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মাঠে ময়দানে প্রচার-প্রচারনাসহ সাংগঠনিক গতিশীলতায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা সভা সমাবেশ করছে।
জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা’র নীতিগত সিদ্ধান্তে গাইবান্ধার পাঁচটি আসনের পাঁচজন প্রার্থী আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তৃনমুলে জনগণের দোরগোড়ায় দৌড়ঝাঁপ করতে শুরু করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়াসহ পোষ্টারে গাইবান্ধার পাঁচটি আসনে জামায়াতে ইসলামীর তিনজন সাবেক চেয়ারম্যানসহ পাঁচজন প্রার্থীর ঈদ শুভেচ্ছা ফটো কার্ডসহ কর্মী সভার মধ্যদিয়ে সরব হয়ে উঠেছে।
জামায়াতে ইসলামী কর্মীদের ফেসবুক আইডি জুড়ে গাইবান্ধার পাঁচটি আসনে একই সঙ্গে পাঁচ প্রার্থীর প্রচারে নির্বাচনী আলোচনা এখন সর্বত্রে দেখা দিয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রত্যাশায় কোন শুভেচ্ছা দিতে দেখা যায়নি। গাইবান্ধার বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর তৃনমুল সাংগঠনিক কার্যক্রম চাঙ্গা করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে সদস্য সংগ্রহসহ সভা-সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন। বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেয়া বক্তব্য থেকে জেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. আব্দুল আউয়াল আরজু গাইবান্ধা সদর আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং অপরদিকে জেলা বিএনপি সহসভাপতি মো. নাহিদুজ্জামান নিশাত সাঘাটা-ফুলছড়ি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে তৃনমুলের সভা-সমাবেশে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করছে।
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সরব হওয়া জামায়াতে ইসলামীর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আসনের প্রার্থী নায়েবে আমীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো: মাজেদুর রহমান, গাইবান্ধা সদর আসনের প্রার্থী জেলা আমীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো: আবদুল করিম, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর আসনে প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম লেবু, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ আসনের প্রার্থী ডা. আব্দুর রহিম সরকার, গাইবান্ধার সাঘাটা-ফুলছড়ি আসনের প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল ওয়ারেছ।
বিগত ষোল বছরে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ হাজতে এবং আত্মগোপনে থেকেও রক্ষা পায়নি। প্রকাশ্য হত্যা,গুমসহ শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ হানির মতো যন্ত্রণায় এখনও কাতরাচ্ছে অনেক নেতা-কর্মী। ফ্যাসিস্টদের অসহনীয় নির্যাতনে আমাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও বাদ যায়নি। বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে আক্রোশ মূলক ভাবে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিস্ক্রিয় করার যড়যন্ত্র করেও জনপ্রিয়তা কমাতে পারেনি যা উপজেলা নির্বাচনগুলোতে জনগন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের ভোট দিয়ে ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে গাইবান্ধা উপজেলা পর্যায়ে জামায়াতে ইসলামীর সাথে বিএনপি একাধিক পাল্টা-পাল্টি হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
সাধারণ মানুষের কাছে জামায়াতে ইসলামীর গ্রহন যোগ্য প্রার্থীদের মনোনীত করা হয়েছে বলে দাবিও করছেন দলের তৃনমূল কর্মীরা।
জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন বিভাগের তৃনমূল নেতা-কর্মীরা বলছে- জেল-জুলুম,মামলা-হামলা ও নির্যাতনের মাঝেও আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল রাখার জন্য ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। দীর্ঘ ষোল বছরে ফ্যাসিস্ট সরকারের দমন-পীড়নে আক্রাশে সবচে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি আমরা। এর মাঝে বিগত সময়ে উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভাবে আমাদের নেতারা নির্বাচিত হলেও তাদের মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেয়ায় দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জনগনের কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাশা পূরনের সুযোগ হয়নি।
জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা জেলা শাখার আমীর মো: আব্দুল করিম জানান, আগামী সংসদ নির্বাচন ঘিরে চূড়ান্ত ভাবে গাইবান্ধার পাঁচটি আসনে সাংগঠনিক ভাবে দলীয় প্রার্থীর ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে তৃনমুল গোছানোর কাজ করছি। জনগনের প্রত্যাশা পূরণে আমাদের কাজের ক্ষেত্র স্বচ্ছ এবং গ্রহনযোগ্য।
তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধার পাঁচটি আসনে জামায়াতে ইসলামী জনগনের আস্থাপূর্ন ব্যক্তিদের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করেছে।