ঢাকা ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিদেশী ও দেশি বিনিয়োগকারীদের সাথে জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেলের বৈঠক Logo মুন্সিগঞ্জে অবৈধ ফুটপাত উচ্ছেদে প্রশাসনের অ্যাকশন Logo এসএসসি ও সমমান পরিক্ষা শুরু মুন্সিগঞ্জে অংশনিচ্ছে মোট ১৬হাজার ২শ ৩০পরিক্ষার্থী Logo রামু প্রেস ক্লাবের জরুরী সভায় অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার  Logo এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ময়মনসিংহে কমেছে পরীক্ষার্থীর হার Logo দিনাজপুরে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo শ্যামনগরে ভূয়া এনজিও প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ, তিন কর্মকর্তা আটক Logo রাজবাড়ীতে সাবেক পৌরসভা মেয়রের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে প্রেরন Logo ৮ মাস ধরে অবরুদ্ধ একটি স্কুল ও সরকারি ডাকঘর  Logo পাইকগাছায় ছাত্রদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

শিল্পকলা একাডেমীর বদ্ধ কক্ষে তল্লাশি, ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৯:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪ ২২৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সাবেক মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর পিএসের দায়িত্বে নিয়োজিত কালচারাল অফিসার আবু সালেহ মো. আব্দুল্লাহ ও  বিভাগে কর্মরত কালচারাল অফিসার সাদিয়া বিনতে আফজলের তালাবদ্ধ কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

অ্যাকাডেমির সচিব  সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি টিম অভিযুক্তদের উপস্থিতিতে উক্ত তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করে। তল্লাশি চলাকালে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধারের খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেন অ্যাকাডেমির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তসহ মোট ১০ জন লাকীর সুবিধাভোগী ও অপকর্মের সহযোগী কালচারাল অফিসারকে ওএসডি করা হয়। এর আগে সাবেক মহাপরিচালকের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ২ লাখ টাকা এবং কালচারাল অফিসার এম মোস্তাক হোসেনের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ২০ লাখ টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।

শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সহকারী পরিচালক (পিএস) আবু ছালেহ মো. আবদুল্লাহর কক্ষ তল্লাশির সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। কিসের টাকা পাওয়া গেলো? জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাওর উৎসবের জন্য আগাম টাকা তোলা ছিল। আরও কিছু অনুষ্ঠানের বিল দেওয়া বাকি ছিল। এগুলো সেই টাকা। ৫ আগস্টের পরে আমরা নিজেদের কক্ষে প্রবেশ করতে না পারায় এসব এভাবে রয়ে গেছে। আমি সচিব স্যারকে অবহিত করেছিলাম।

 প্রতিবছর শিল্পকলা অ্যাকাডেমির তথাকথিত ‘সিন্ডিকেট’ ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা তুলে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। একই তারিখে (২৭ জুন) একাধিক ভাউচারে তুলে নেওয়া হয়েছে লক্ষাধিক টাকা। সে সময় অ্যাকাডেমির কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছিলেন, ভুয়া ভাউচারে অর্থ উত্তোলন অ্যাকাডেমিতে বহুল চর্চিত প্রক্রিয়া।

এর আগে অডিট রিপোর্টে যে ২২৮ কোটি টাকার অনিয়মের তথ্য উঠে আসে সেখানে বিধি লঙ্ঘন করে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৭ লাখ টাকার বেশি অগ্রিম দেওয়ায় ৫ কোটি ২ লাখ ৩ হাজার ৭১৬ টাকার আর্থিক ক্ষতির কথা উল্লেখ ছিল। বিধি উপেক্ষা করে এক খাতের টাকা অন্য খাতে ব্যয় করায় লাখ লাখ টাকা আর্থিক অনিয়ম হয়েছে।

কক্ষ তল্লাশির সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাকাডেমির কর্মকর্তা ইন্সট্রাকটর (নাটক, প্রশিক্ষণ বিভাগ) এহসানুর রহমান। অভিযুক্তরা টাকার ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাওর উৎসব ২০২২ সালের একটি ভুয়া অনুষ্ঠান। যেটি আদতে হয়নি। তাহলে ২০২২ সালের অগ্রিম উত্তোলিত টাকা ২০২৪ সালেও কর্মকর্তাদের জিম্মায় রয়ে গেলো? আসলে ৫ আগস্টের প্রেক্ষাপটে তারা টাকাটা সরানোর সুযোগ পায়নি। এরকম আগাম অর্থ উত্তোলন, অবহিত না করে অন্য কর্মকতার নামে চেক ইস্যুর মতো অনিয়মকে শিল্পকলায় নিয়মে রূপান্তরিত করা হয়েছিল।’

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শিল্পকলা একাডেমীর বদ্ধ কক্ষে তল্লাশি, ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার

আপডেট সময় : ১১:১৯:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

 

বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সাবেক মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর পিএসের দায়িত্বে নিয়োজিত কালচারাল অফিসার আবু সালেহ মো. আব্দুল্লাহ ও  বিভাগে কর্মরত কালচারাল অফিসার সাদিয়া বিনতে আফজলের তালাবদ্ধ কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

অ্যাকাডেমির সচিব  সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি টিম অভিযুক্তদের উপস্থিতিতে উক্ত তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করে। তল্লাশি চলাকালে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধারের খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেন অ্যাকাডেমির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তসহ মোট ১০ জন লাকীর সুবিধাভোগী ও অপকর্মের সহযোগী কালচারাল অফিসারকে ওএসডি করা হয়। এর আগে সাবেক মহাপরিচালকের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ২ লাখ টাকা এবং কালচারাল অফিসার এম মোস্তাক হোসেনের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ২০ লাখ টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।

শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সহকারী পরিচালক (পিএস) আবু ছালেহ মো. আবদুল্লাহর কক্ষ তল্লাশির সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। কিসের টাকা পাওয়া গেলো? জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাওর উৎসবের জন্য আগাম টাকা তোলা ছিল। আরও কিছু অনুষ্ঠানের বিল দেওয়া বাকি ছিল। এগুলো সেই টাকা। ৫ আগস্টের পরে আমরা নিজেদের কক্ষে প্রবেশ করতে না পারায় এসব এভাবে রয়ে গেছে। আমি সচিব স্যারকে অবহিত করেছিলাম।

 প্রতিবছর শিল্পকলা অ্যাকাডেমির তথাকথিত ‘সিন্ডিকেট’ ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা তুলে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। একই তারিখে (২৭ জুন) একাধিক ভাউচারে তুলে নেওয়া হয়েছে লক্ষাধিক টাকা। সে সময় অ্যাকাডেমির কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছিলেন, ভুয়া ভাউচারে অর্থ উত্তোলন অ্যাকাডেমিতে বহুল চর্চিত প্রক্রিয়া।

এর আগে অডিট রিপোর্টে যে ২২৮ কোটি টাকার অনিয়মের তথ্য উঠে আসে সেখানে বিধি লঙ্ঘন করে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৭ লাখ টাকার বেশি অগ্রিম দেওয়ায় ৫ কোটি ২ লাখ ৩ হাজার ৭১৬ টাকার আর্থিক ক্ষতির কথা উল্লেখ ছিল। বিধি উপেক্ষা করে এক খাতের টাকা অন্য খাতে ব্যয় করায় লাখ লাখ টাকা আর্থিক অনিয়ম হয়েছে।

কক্ষ তল্লাশির সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাকাডেমির কর্মকর্তা ইন্সট্রাকটর (নাটক, প্রশিক্ষণ বিভাগ) এহসানুর রহমান। অভিযুক্তরা টাকার ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাওর উৎসব ২০২২ সালের একটি ভুয়া অনুষ্ঠান। যেটি আদতে হয়নি। তাহলে ২০২২ সালের অগ্রিম উত্তোলিত টাকা ২০২৪ সালেও কর্মকর্তাদের জিম্মায় রয়ে গেলো? আসলে ৫ আগস্টের প্রেক্ষাপটে তারা টাকাটা সরানোর সুযোগ পায়নি। এরকম আগাম অর্থ উত্তোলন, অবহিত না করে অন্য কর্মকতার নামে চেক ইস্যুর মতো অনিয়মকে শিল্পকলায় নিয়মে রূপান্তরিত করা হয়েছিল।’