ঢাকা ১০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মহেশখালীতে কোস্টগার্ডের অভিযানে দেশীয় অস্ত্র গুলিসহ দুই ডাকাত আটক  Logo সুন্দরবনে কোস্টগার্ড দেখে পালিয়ে গেল দস্যুরা, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার Logo গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে নরসিংদীতে বিক্ষোভ মিছিল Logo নরসিংদীতে ৯৬ কেজি গাঁজা বিক্রির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে ওসিসহ ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে Logo জয়পুরহাটে সরকারের সঙ্গে চুক্তি না করায় ৬১ চালকলে নিবন্ধন বাতিল Logo তিতাসে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সাফল্য কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল Logo ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে নাটোরে সর্বদলীয় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল Logo ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে পাথরঘাটায় বিক্ষোভ মিছিল Logo সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীর জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে প্রেরন Logo ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে উত্তাল মুক্তাগাছা: সর্বস্তরের জনতার বিক্ষোভ

যৌথ সংবাদ সম্মেলন : প্রথম ধাপে ১৮ হাজার কর্মী নেওয়ার আশ্বাস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:২৯:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৮০ বার পড়া হয়েছে

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে ড. ইউনূস

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশ থেকে শিগগিরই নতুন করে ১৮ হাজার কর্মীকে মালয়েশিয়া গমনের ভিসা দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। তিনি বলেন, আমরা পুরো ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আমরা অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চলছি। আমাদের শ্রমিক দরকার, কিন্তু তাদের আধুনিক দাস হিসেবে গণ্য করা যাবে না। সেটা বাংলাদেশ বা অন্য কোনও দেশের শ্রমিকই হোক না কেন।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ঢাকায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

পাশাপাশি বাংলাদেশকে মালয়েশিয়ার বা মালয়েশিয়ায় বিদেশি যে কারও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সতর্ক থাকার কথা স্মরণ করিয়ে দেন আনোয়ার ইব্রাহিম।

ড. ইউনূস শ্রমিক ইস্যুতে এই ঘোষণা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বৈঠকে তারা রাজনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের তিনটি মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এতে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, জনশক্তি রপ্তানি, উচ্চশিক্ষা সহযোগিতা, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।

এছাড়া আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আসিয়ানে ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হওয়ার বিষয়টি বিশেষভাবে উত্থাপিত হয়। মালয়েশিয়া ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আসিয়ানের পরবর্তী চেয়ার হতে যাচ্ছে।

ড. ইউনূস বলেন, তাদের বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ‘ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারত্ব’ এবং বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলোর সমস্যা দ্রুততার সঙ্গে সমাধানের ওপর জোর দেন।

আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, তারা দুর্নীতি, শাসনব্যবস্থা ও মৌলিক অর্থনৈতিক বিষয়গুলোর ব্যাপারে আপস করেন না। যত দ্রুত সম্ভব যৌথ কমিশনের বৈঠক হতে পারে বলেও জানান তিনি। খবর বাসস।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

যৌথ সংবাদ সম্মেলন : প্রথম ধাপে ১৮ হাজার কর্মী নেওয়ার আশ্বাস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় : ১০:২৯:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪

 

বাংলাদেশ থেকে শিগগিরই নতুন করে ১৮ হাজার কর্মীকে মালয়েশিয়া গমনের ভিসা দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। তিনি বলেন, আমরা পুরো ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আমরা অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চলছি। আমাদের শ্রমিক দরকার, কিন্তু তাদের আধুনিক দাস হিসেবে গণ্য করা যাবে না। সেটা বাংলাদেশ বা অন্য কোনও দেশের শ্রমিকই হোক না কেন।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ঢাকায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

পাশাপাশি বাংলাদেশকে মালয়েশিয়ার বা মালয়েশিয়ায় বিদেশি যে কারও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সতর্ক থাকার কথা স্মরণ করিয়ে দেন আনোয়ার ইব্রাহিম।

ড. ইউনূস শ্রমিক ইস্যুতে এই ঘোষণা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বৈঠকে তারা রাজনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের তিনটি মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এতে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, জনশক্তি রপ্তানি, উচ্চশিক্ষা সহযোগিতা, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।

এছাড়া আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আসিয়ানে ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হওয়ার বিষয়টি বিশেষভাবে উত্থাপিত হয়। মালয়েশিয়া ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আসিয়ানের পরবর্তী চেয়ার হতে যাচ্ছে।

ড. ইউনূস বলেন, তাদের বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ‘ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারত্ব’ এবং বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলোর সমস্যা দ্রুততার সঙ্গে সমাধানের ওপর জোর দেন।

আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, তারা দুর্নীতি, শাসনব্যবস্থা ও মৌলিক অর্থনৈতিক বিষয়গুলোর ব্যাপারে আপস করেন না। যত দ্রুত সম্ভব যৌথ কমিশনের বৈঠক হতে পারে বলেও জানান তিনি। খবর বাসস।