ঢাকা ১০:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গৌরীপুরে ভিজিএফ’র ৩ হাজার ২শ কেজি চাল জব্ধ করল সেনাবাহিনী Logo ডামুড্যায় দরিদ্র জেলেদের মাঝে ছাগল ও উপকরণ বিতরণ Logo তারাকান্দায় বিকল্প সড়ক ভেঙ্গে  যান চলাচল বন্ধ. হাজারো মানুষের দূর্ভোগ Logo সেরা তরুণ অভিনেতা হিসেবে ‘লাবণ্য অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ সম্মাননায় ভূষিত শেখ ফরিদ পলক Logo সরিষাবাড়ী পিংনা ইউনিয়নে ঈদুল আযহা উপলক্ষে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ Logo গোলাপগঞ্জে টানা বৃষ্টিতে মাটি ধস যেন রাক্ষসী রুপ ধারণ Logo মঠবাড়িয়ায় আর্থিক সংকটে ব্রীজের কাজ বন্ধ Logo জেলা প্রানি সম্পদ দপ্তরের উদ্দ্যোগে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালী ও আলোচনাসভা Logo শেখ হাসিনার দেশে আসার আর কোন সুযোগ নেই : মোস্তফা জামান  Logo হাল্কা রোদ ছপিয়ে বৃষ্টির দাপট

পটুয়াখালীতে লগি-বৈঠা নিয়ে মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌপুলিশকে জেলেদের ধাওয়া

মো. মোশারফ হোসেন, দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:০৫:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪ ২০৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌ-পুলিশকে জেলেরা লগি-বৈঠা দিয়ে ধাওয়া ও ইটাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। ভর প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্য অধিদপ্তর, নৌপুলিশ, কোস্টা গার্ড এবং নৌবাহিনী নদ-নদী ও সাগরে নিয়মিত টহল দিচ্ছে।

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌপুলিশ ফাঁড়ি নিয়মিত যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।

শনিবার বিকেল ৫টার দিকে জানা যায়, তেঁতুলিয়া নদীর তীরবর্তী ঢনঢনিয়া কেদির হাঠৎ খালে কয়েকজন জেলে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। খবর পেয়ে মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌপুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা খালে নৌকা আটক করতে গেলে এলাকার এক থেকে দেড়শত জেলেরা লগি-বৈঠা নিয়ে ধাওয়া দেয়। এসময় তাদের স্পিডবোট লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

উপজেলা সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান, ঢনঢনিয়া খালে অভিযান পরিচালনার সময় ঐ এলাকার মৎস্যব্যবসায়ী রমিজ ও আল-আমিন মুন্সি এক থেক দেড় শতাদিক লোক নিয়ে আমাদের কাজে বাঁধা দেয়। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমান জনবল না থাকায় ফিরে আসতে হয়।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, ঢনঢনিয়া কানাই খালে কয়েকজন জেলে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংবাদ পেয়ে ঢনঢনিয়া খালে অভিযান পরিচালনা করতে গেলে গিয়ে দেখি ৭-৮টি নৌকায় জাল।

নৌকার কাছে গেলে ঐ এলাকার জেলেরা লগি-বৈঠা নিয়ে আমাদের ধাওয়া করে এবং ইটের টুকরা নিক্ষেপ করে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন, ঘটনার বিষয় আমাকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অবহিত করেন। অবরোধ সময় কালীন কাউকে ছাড়া দেয়া হবে না।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মাদ কামরুল ইসলাম জানান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমাকে ঘটনার বিষয় জানিয়েছেন। আমি বিষয়টি দেখছি।

১৩ অক্টোবর থেকে ৩রা নভেম্বর ইলিশ প্রজনন সময় কালে মৎস্য স্বীকার, আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পটুয়াখালীতে লগি-বৈঠা নিয়ে মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌপুলিশকে জেলেদের ধাওয়া

আপডেট সময় : ০৯:০৫:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

 

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌ-পুলিশকে জেলেরা লগি-বৈঠা দিয়ে ধাওয়া ও ইটাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। ভর প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্য অধিদপ্তর, নৌপুলিশ, কোস্টা গার্ড এবং নৌবাহিনী নদ-নদী ও সাগরে নিয়মিত টহল দিচ্ছে।

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌপুলিশ ফাঁড়ি নিয়মিত যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।

শনিবার বিকেল ৫টার দিকে জানা যায়, তেঁতুলিয়া নদীর তীরবর্তী ঢনঢনিয়া কেদির হাঠৎ খালে কয়েকজন জেলে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। খবর পেয়ে মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌপুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা খালে নৌকা আটক করতে গেলে এলাকার এক থেকে দেড়শত জেলেরা লগি-বৈঠা নিয়ে ধাওয়া দেয়। এসময় তাদের স্পিডবোট লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

উপজেলা সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান, ঢনঢনিয়া খালে অভিযান পরিচালনার সময় ঐ এলাকার মৎস্যব্যবসায়ী রমিজ ও আল-আমিন মুন্সি এক থেক দেড় শতাদিক লোক নিয়ে আমাদের কাজে বাঁধা দেয়। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমান জনবল না থাকায় ফিরে আসতে হয়।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, ঢনঢনিয়া কানাই খালে কয়েকজন জেলে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংবাদ পেয়ে ঢনঢনিয়া খালে অভিযান পরিচালনা করতে গেলে গিয়ে দেখি ৭-৮টি নৌকায় জাল।

নৌকার কাছে গেলে ঐ এলাকার জেলেরা লগি-বৈঠা নিয়ে আমাদের ধাওয়া করে এবং ইটের টুকরা নিক্ষেপ করে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন, ঘটনার বিষয় আমাকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অবহিত করেন। অবরোধ সময় কালীন কাউকে ছাড়া দেয়া হবে না।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মাদ কামরুল ইসলাম জানান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমাকে ঘটনার বিষয় জানিয়েছেন। আমি বিষয়টি দেখছি।

১৩ অক্টোবর থেকে ৩রা নভেম্বর ইলিশ প্রজনন সময় কালে মৎস্য স্বীকার, আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা।