ঢাকা ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

মেঘনায় জাহাজে ৭ খুন, একজনকে গ্রেফতার

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫২:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে সার বহনকারী কার্গো জাহাজে সাত জন খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফান নামে একজন ব্যক্তিকে বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১১।

র‌্যাব জানিয়েছে, এ বিষয়ে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিস্তারিত ব্রিফ করা হবে।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে হাইমচর থানায় মামলা অজ্ঞাত ডাকাত দলকে আসামি করে মামলা করেন জাহাজের মালিক মাহাবুব মোর্শেদ। এই মামলার এজাহারে জাহাজ মালিক নবম ব্যক্তি হিসেবে ঠিকানাবিহীন জনৈক ইরফান নামের ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেন।

এজাহারে জাহাজ মালিক উল্লেখ করেন, আহত জুয়েল তার সঙ্গে থাকা ৯ জনের মধ্যে ইরফান ছিল বলে হাতে লিখে জানান। সে সুস্থ হলে ডাকাতদের দেখলে চিনবে বলে ইশারায় জানিয়েছেন।

মামলার বাদী এজাহারে জাহাজে থাকা সাত জন খুন ও এক আহতের কথা উল্লেখ করেন। খুন হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, গ্রিজার সজিবুল ইসলাম, লস্কর মাজেদুল ইসলাম, শেখ সবুজ, আমিনুর মুন্সী, ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিন ও বাবুর্চি রানা কাজী।

এ ছাড়া আহত ব্যক্তি হলেন, সুকানি জুয়েল (২৮)। তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের সেকান্দর প্রকাশ সেকেন্ড খালাসীর ছেলে।

ঘটনার পর পুলিশ জাহাজ পরিদর্শনকালে একটি রক্তাক্ত চাইনিজ কুড়াল, একটি ফোল্ডিং চাকু, দুটি স্মার্টফোন, দুটি বাটন ফোন, একটি মানিব্যাগ, নগদ ৮ হাজার টাকা, একটি বাংলা খাতা, একটি সিল, একটি হেডফোন, এক মুঠো জব্দ করার কতা এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

নৌপুলিশ জানিয়েছে, আহত জুয়েল বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মেঘনায় জাহাজে ৭ খুন, একজনকে গ্রেফতার

আপডেট সময় : ১২:৫২:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

 

চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে সার বহনকারী কার্গো জাহাজে সাত জন খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফান নামে একজন ব্যক্তিকে বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১১।

র‌্যাব জানিয়েছে, এ বিষয়ে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিস্তারিত ব্রিফ করা হবে।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে হাইমচর থানায় মামলা অজ্ঞাত ডাকাত দলকে আসামি করে মামলা করেন জাহাজের মালিক মাহাবুব মোর্শেদ। এই মামলার এজাহারে জাহাজ মালিক নবম ব্যক্তি হিসেবে ঠিকানাবিহীন জনৈক ইরফান নামের ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেন।

এজাহারে জাহাজ মালিক উল্লেখ করেন, আহত জুয়েল তার সঙ্গে থাকা ৯ জনের মধ্যে ইরফান ছিল বলে হাতে লিখে জানান। সে সুস্থ হলে ডাকাতদের দেখলে চিনবে বলে ইশারায় জানিয়েছেন।

মামলার বাদী এজাহারে জাহাজে থাকা সাত জন খুন ও এক আহতের কথা উল্লেখ করেন। খুন হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, গ্রিজার সজিবুল ইসলাম, লস্কর মাজেদুল ইসলাম, শেখ সবুজ, আমিনুর মুন্সী, ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিন ও বাবুর্চি রানা কাজী।

এ ছাড়া আহত ব্যক্তি হলেন, সুকানি জুয়েল (২৮)। তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের সেকান্দর প্রকাশ সেকেন্ড খালাসীর ছেলে।

ঘটনার পর পুলিশ জাহাজ পরিদর্শনকালে একটি রক্তাক্ত চাইনিজ কুড়াল, একটি ফোল্ডিং চাকু, দুটি স্মার্টফোন, দুটি বাটন ফোন, একটি মানিব্যাগ, নগদ ৮ হাজার টাকা, একটি বাংলা খাতা, একটি সিল, একটি হেডফোন, এক মুঠো জব্দ করার কতা এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

নৌপুলিশ জানিয়েছে, আহত জুয়েল বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।