কেশবপুরে গাছে গাছে আমের মুকুলের সুবাসিত ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে

- আপডেট সময় : ০২:০১:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১২৭ বার পড়া হয়েছে
যশোরের কেশবপুরে গাছে গাছে ফুটেছে আমের মুকুল ছড়াচ্ছে পাগল করা সুবাসিত ঘ্রাণ। পল্লীকবি উদ্দিনের ভাষায় আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা ফুল তুলিতে যাই ফুলের মালা গলায় দিয়ে মামার বাড়ি যাই’ কবিতার পঙূক্তিগুলো বাস্তব রুপ পেতে বাকি রয়েছে আর মাত্র কয়েক মাস। তবে সুখের ঘ্রাণ বইতে শুরু করেছে। গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে মুকুলের পাগল করা ঘ্রান। দেখা গেছে আমের মুকুলে তাই এখন মৌমাছির গুজ্ঞন। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুর মত কাছে টানছে তাদের। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় তাই চলছে তাই চলছে ভ্রমের সুর ব্যজ্ঞনা। শীতের স্নিগ্ধতার মধ্যে ছড়াচ্ছে সোনালী মুকুল। বছর ঘুরে আবারও তাই ব্যাকুল হয়ে উঠছে আম প্রেমীদের মন। এবার সময় এর আগে সোনালী মুকুলে ভরে গেছে কেশবপুর অঞ্চলের আম বাগান। মুকুলের ভারে নুইয়ে পড়েছে আমের শাখা। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে সোনালী স্বপ্নে ভাসছেন আম চাষিরা। বাগানের সারি সারি গাছে ঝুলছে আমের মুকুল ।
সুরভিত মুকুলের গন্ধ পাল্টিয়ে দিয়েছে এ অঞ্চলের বাতাস। তাই দক্ষিণা বাতাসে দোল খাচ্ছে আম চাষির স্বপ্ন। আশার আলো জ্বালিয়েছে আম বাগানের মালিক ও ব্যবসায়ীদের মন। সরজমিনে কেশবপুর উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি আমবাগান ঘুরে দেখা গেছে, গাছে গাছে নানা ফুলের সঙ্গে আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ আকাশে বাতাসে মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারার করে তুলেছে।
থোকায় থোকায় হলুদ রংঙের মুকুল ও গুটি আম দেখে ইতিমধ্যে ব্যবসায়ীরা বাগানে দরদাম হাঁকাচ্ছে। আর বাগানের মালিকরা আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাক নাশক প্রয়োগ সহ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ততার সময় পার করছেন। এদিকে আম চাষিরা খুশি হলেও কৃষি কর্মকর্তা বলেন শীত বিদাই নেওয়ার আগেই আমের মুকুল আশা ভালো নয়। কেশবপুরে প্রধান প্রধান আমের আবাদ হচ্ছে আমরুপালি ,ফজলি, মল্লিকা, ল্যাংড়া, হিমসাগর হাড়িভাঙ্গা, গোপালভোগ, বারি ১০, বেনারসি, সিতাভোগ, ও রসে ভরা বোম্বাই। এরমধ্যে হিমসাগর ফজলি ল্যাংড়া আম্রপালির চাহিদা বেশি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে আরও জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলায় চলতি বছরে আম চাষ হয়েছে প্রায় ৭৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে মজিদপুর, সাগরদাঁড়ি, পাঁজিয়া, মঙ্গলকটে, সুফলাকাটি, ত্রিমাহিনী ও কেশবপুর সদর ইউনিয়নে বেশি আমের বাগান রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আম গাছে মুকুল আসার আগে পোকা দমনের জন্য চাষীদের ছত্রাক নাশক স্প্রে করতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ উপজেলার অধিকাংশ আম গাছে মুকুল ভালভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে। এছাড়া কানে প্রাকৃতিক দুর্যগে না হলে গত বছরের তুলনায় এবার আমের উৎপাদন বেশি হবে।
কেশবপুর উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামের আম চাষি আব্দুল বারী গাজী বলেন, এবছর আমার আম বাগানে পচুর পরিমাণে আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত মুকুলে কোন রোগ আক্রমণ করিনি। যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসে তাহলে আশা করছি প্রতিটি আম গাছেই পর্যাপ্ত পরিমাণে আম ধরবে। উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের আম বাগানের মালিক আব্দুর জলিল সরদার বলেন, বাগানের অধিকাংশ গাছে এরই মধ্যে মুকুলে ছেয়ে গেছে।