ঢাকা ০৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫

পাকিস্তান থেকে প্রথমবার মোংলা বন্দরে ভিড়েছে বাণিজ্যিক জাহাজ

মনির হোসেন, মোংলা
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১২৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে প্রথমবারের মতো ৫৫০০ মেট্রিকটন চিটাগুড় নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে পানামার পতাকাবাহী জাহাজ এমটি ডলফিন-১৯। ১৪৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৭ মিটার গভীরতার এ জাহাজটি গত ২২ জানুয়ারি পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পণ্য বোঝাই করে বাংলাদেশের মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে জাহাজটি মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙর করার পর পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু করে। এ বন্দর দিয়ে ৫৫০০ মেট্রিকটন চিটাগুড় খালাস করে কিছু অংশ মোংলার ইউনাইটেড রিফাইনারী অ্যান্ড বাল্ক স্টোরেজ লিমিটেড এর মাধ্যমে পরিশোধন করা হবে বাকি অংশ রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলার বাঘাবাড়িতে সড়ক ও নৌপথের মাধ্যমে নেয়া হবে এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন ফিড কোম্পানীতে সরবরাহ করা হবে।

বৃহস্পতিবার সকালে বিদেশি এ জাহাজ থেকে পণ্য খালাস কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমোডর শফিকুল ইসলাম সরকার। এসময় বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. কামাল হোসেন, প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা এস এম আফজালুল ইসলাম উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান, চিটাগুড় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রধান মো. আনোয়ারুল হকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও বন্দরের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য ২০২২ সালের ২৮ জুলাই সর্বপ্রথম এ বন্দর দিয়ে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি এবং ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর হিমায়িত ফল আমদানি করা হয়। বন্দরের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান বলেন, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে প্রথম ৭ মাসে মোংলা বন্দরে ৪৯৬টি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমণ করে। এতে আমদানি-রপ্তানি হয় ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ৩শ’ মেট্রিকটন পণ্য। গত ৭ মাসে এ বন্দরে ২৩ টি কন্টেইনারবাহী আগমনের কারনে ১২ হাজার ৮৩ টিইউজ লোডিং- আনলোডিং এবং ১২টি গাড়ির জাহাজ আসায় মোট ৬ হাজার ৭৫১টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি খালাস করা হয়। এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ২০২৫ সালের শুরুতেই বন্দরে জাহাজ আগমন বেড়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ৭৬টি জাহাজ আগমন করলেও এবছর জানুয়ারিতে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৮৩ টিতে উন্নিত হয়েছে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রাণপ্রবাহ এ বন্দরটি লাখো মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি বর্তমানে খাদ্যশস্য, সিমেন্ট ক্লিংকার, সার, মোটরগাড়ি, মেশিনারিজ, চাল, গম, কয়লা, তেল, পাথর ভুট্টা, তেলবীজ, এলপিজি গ্যাস আমদানি এবং সাদামাছ, চিংড়ি, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, হিমায়িত খাদ্য, কাঁকড়া, ক্লে টাইরস, রেশমি কাপড় ও জেনারেল কার্গো রপ্তানির মাধ্যমে দেশের চলমান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পাকিস্তান থেকে প্রথমবার মোংলা বন্দরে ভিড়েছে বাণিজ্যিক জাহাজ

আপডেট সময় : ০৩:৫৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে প্রথমবারের মতো ৫৫০০ মেট্রিকটন চিটাগুড় নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে পানামার পতাকাবাহী জাহাজ এমটি ডলফিন-১৯। ১৪৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৭ মিটার গভীরতার এ জাহাজটি গত ২২ জানুয়ারি পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পণ্য বোঝাই করে বাংলাদেশের মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে জাহাজটি মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙর করার পর পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু করে। এ বন্দর দিয়ে ৫৫০০ মেট্রিকটন চিটাগুড় খালাস করে কিছু অংশ মোংলার ইউনাইটেড রিফাইনারী অ্যান্ড বাল্ক স্টোরেজ লিমিটেড এর মাধ্যমে পরিশোধন করা হবে বাকি অংশ রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলার বাঘাবাড়িতে সড়ক ও নৌপথের মাধ্যমে নেয়া হবে এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন ফিড কোম্পানীতে সরবরাহ করা হবে।

বৃহস্পতিবার সকালে বিদেশি এ জাহাজ থেকে পণ্য খালাস কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমোডর শফিকুল ইসলাম সরকার। এসময় বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. কামাল হোসেন, প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা এস এম আফজালুল ইসলাম উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান, চিটাগুড় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রধান মো. আনোয়ারুল হকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও বন্দরের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য ২০২২ সালের ২৮ জুলাই সর্বপ্রথম এ বন্দর দিয়ে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি এবং ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর হিমায়িত ফল আমদানি করা হয়। বন্দরের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান বলেন, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে প্রথম ৭ মাসে মোংলা বন্দরে ৪৯৬টি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমণ করে। এতে আমদানি-রপ্তানি হয় ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ৩শ’ মেট্রিকটন পণ্য। গত ৭ মাসে এ বন্দরে ২৩ টি কন্টেইনারবাহী আগমনের কারনে ১২ হাজার ৮৩ টিইউজ লোডিং- আনলোডিং এবং ১২টি গাড়ির জাহাজ আসায় মোট ৬ হাজার ৭৫১টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি খালাস করা হয়। এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ২০২৫ সালের শুরুতেই বন্দরে জাহাজ আগমন বেড়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ৭৬টি জাহাজ আগমন করলেও এবছর জানুয়ারিতে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৮৩ টিতে উন্নিত হয়েছে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রাণপ্রবাহ এ বন্দরটি লাখো মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি বর্তমানে খাদ্যশস্য, সিমেন্ট ক্লিংকার, সার, মোটরগাড়ি, মেশিনারিজ, চাল, গম, কয়লা, তেল, পাথর ভুট্টা, তেলবীজ, এলপিজি গ্যাস আমদানি এবং সাদামাছ, চিংড়ি, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, হিমায়িত খাদ্য, কাঁকড়া, ক্লে টাইরস, রেশমি কাপড় ও জেনারেল কার্গো রপ্তানির মাধ্যমে দেশের চলমান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।