ঢাকা ০৩:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শ্রীবরদীতে ছাত্রদল নেতার আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে যোগদান   Logo গৌরীপুরে ১৮’শ পিস ইয়াবাসহ জামাই-শ্বশুড় গ্রেফতার Logo ফরিদপুর বিভাগীয় প্রেসক্লাবের ঈদ পুনর্মিলনী ও বর্ষবরণ Logo চিরিরবন্দর মাজারে দোয়া মাহফিল ও শুকরানা বিতরন অনুষ্ঠিত Logo গোলাপগঞ্জে ইমামকে রাজকীয় বিদায় Logo নওগাঁয় “ঐক্যবদ্ধ মানবিক বাংলাদেশ” শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo কুড়িগ্রামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি দুর্জয় গ্রেফতার Logo কুড়িগ্রামে দাবি আদায়ে কাফনের কাপড় পড়ে কারিগরি শিক্ষার্থীদের মিছিল  Logo কেশবপুরে পৌর সুপার মার্কেটের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করলেন পৌর প্রশাসক রেকসোনা খাতুন Logo সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতীতে বিদেশী মদ সহ অটোরিক্সা জব্দ

সুন্দরবনে জলদস্যু বাহিনীর কবল থেকে ৩৩ জেলেকে উদ্ধার করলো কোস্টগার্ড 

মনির হোসেন, মোংলা
  • আপডেট সময় : ০১:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ ২২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সুন্দরবনের কুখ্যাত জলদস্যু করিম শরীফ বাহিনীর অপহরণকৃত ৬ নারীসহ ৩৩ জন জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন। উদ্ধার হওয়া সব জেলেরা সুন্দরবনে মাছ ও কাকঁড়া ধরতে গিয়ে জলদস্যু বাহিনীর কবলে পড়ে। ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ১০  সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ দস্যুদল করিম শরীফ বাহিনী তাদের গোপন আস্তানায় ১৬ টি নৌকা সহ ৩৩ জন জেলেকে জিম্মি করে রেখেছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার ৯ এপ্রিল সকাল ১১ টা হতে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বেইস মোংলা ও আউটপোস্ট নলিয়ান কর্তৃক সুন্দরবনের করকরি নদীর মাল্লাখালী এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান চলাকালীন কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে অতি দ্রুত বনে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত এলাকা হতে অপহরণকৃত ৬ জন নারী সদস্য সহ ৩৩ জন জেলেকে ১৬টি বোটসহ উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভুক্তভোগীরা গত ৯ এপ্রিল  সকালে মাছ ও কাঁকড়া ধরার উদ্দেশ্যে কয়রা হতে সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে গমন করে। পরবর্তীতে ডাকাত করিম শরীফ বাহিনী তাদের জিম্মি করে প্রতিজনের নিকট হতে ১০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে।

উদ্ধারকৃতদের কোস্টগার্ড স্টেশন কয়রাতে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় খাবার প্রদান করা হয়। তারা সকলেই খুলনা জেলার কয়রা থানার বাসিন্দা। বোটসহ তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড আওতাধীন এলাকাসমূহে মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা বিধান, জলদস্যু ও বনদস্যু দমন এবং নিরাপদ সুন্দরবন গঠনে ২৪ ঘন্টা ব্যাপী টহল অব্যাহত রেখেছে। যার মাধ্যমে আওতাধীন এলাকা সমূহের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। এরূপ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সুন্দরবনে জলদস্যু বাহিনীর কবল থেকে ৩৩ জেলেকে উদ্ধার করলো কোস্টগার্ড 

আপডেট সময় : ০১:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

সুন্দরবনের কুখ্যাত জলদস্যু করিম শরীফ বাহিনীর অপহরণকৃত ৬ নারীসহ ৩৩ জন জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন। উদ্ধার হওয়া সব জেলেরা সুন্দরবনে মাছ ও কাকঁড়া ধরতে গিয়ে জলদস্যু বাহিনীর কবলে পড়ে। ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ১০  সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ দস্যুদল করিম শরীফ বাহিনী তাদের গোপন আস্তানায় ১৬ টি নৌকা সহ ৩৩ জন জেলেকে জিম্মি করে রেখেছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার ৯ এপ্রিল সকাল ১১ টা হতে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বেইস মোংলা ও আউটপোস্ট নলিয়ান কর্তৃক সুন্দরবনের করকরি নদীর মাল্লাখালী এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান চলাকালীন কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে অতি দ্রুত বনে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত এলাকা হতে অপহরণকৃত ৬ জন নারী সদস্য সহ ৩৩ জন জেলেকে ১৬টি বোটসহ উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভুক্তভোগীরা গত ৯ এপ্রিল  সকালে মাছ ও কাঁকড়া ধরার উদ্দেশ্যে কয়রা হতে সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে গমন করে। পরবর্তীতে ডাকাত করিম শরীফ বাহিনী তাদের জিম্মি করে প্রতিজনের নিকট হতে ১০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে।

উদ্ধারকৃতদের কোস্টগার্ড স্টেশন কয়রাতে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় খাবার প্রদান করা হয়। তারা সকলেই খুলনা জেলার কয়রা থানার বাসিন্দা। বোটসহ তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড আওতাধীন এলাকাসমূহে মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা বিধান, জলদস্যু ও বনদস্যু দমন এবং নিরাপদ সুন্দরবন গঠনে ২৪ ঘন্টা ব্যাপী টহল অব্যাহত রেখেছে। যার মাধ্যমে আওতাধীন এলাকা সমূহের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। এরূপ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।