ঢাকা ০৬:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo `জুলাই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজের অঙ্গীকার’ Logo ডামুড্যায় গরীব ও অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ Logo বিশ্বনাথে আলোকিত সুর সাংস্কৃতিক ফোরাম অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা Logo বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে মামলা Logo সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগের দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন Logo ঝিনাইদহে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo ভালো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল ভূমিকা রাখছে Logo বন্ধু একাদশ হাকিমপুরকে হারিয়ে মুন্সিপাড়া ওয়ারিয়ার্স দিনাজপুর চ্যাম্পিয়ান Logo জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর Logo ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা

অভিযানের খবরেই ৯৫ টাকার পেঁয়াজ ৬৭ টাকা

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ৩৮৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সাধারণ মানুষকে বড় থেকে ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে কতটা অসহায় তার প্রমাণ দিলো চাঁদপুর। জানা গিয়েছে, সদর উপজেলার মহামায়া বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকি অভিযানের খবরে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৯৫ টাকার পরিবর্তে ৬৭ টাকায় বিক্রি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। অথচ এই পেঁয়াজই আগে ৯৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল।

এসময় অধিকাংশ মুদি ও পাইকারী দোকানী তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়।

অভিযান কালে মূল্য তালিকা না থাকায় দুটি মুদি দোকানকে এক হাজার টাকা করে দুই হাজার টাকা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়ায় একটি ফার্মেসিকে ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বুধবার (১৩ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নুর হোসেনের নেতৃত্বে বাজার তদারকিতে নামেন। তাদের অভিযানের খবরে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অতিরিক্ত দামে বিক্রি পেঁয়াজ ও অন্যান্য পণ্যে দাম মুহূর্তে কেচি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমিয়ে বিক্রি করেন। এ সময় অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে তালা দিয়ে গা ডাকা দেন।

জানা যায়, মহামায়া পশ্চিম বাজারে সবচেয়ে বড় পাইকারি মুদি দোকান সালাউদ্দিন স্টোর। এ দোকানে অভিযানের খবর পেয়ে মূল্য তালিকা সরিয়ে রাখা হয়। তালিকায় পেঁয়াজের মূল্য প্রতিকেজি ৯৫ টাকা। কিন্তু দোকানে তাৎক্ষণিক ২৮ টাকা কমিয়ে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয় ৬৭ টাকায়।

এ সুযোগে অনেক ক্রেতা দোকান থেকে ২-৩ কেজি করে পেঁয়াজ কিনে নেন। এ সময় পাশের মোহাম্মদ স্টোরে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৭০ টাকায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় বুধবার শহরের পুরান বাজারের আড়তগুলোতে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৬৭ থেকে ৬৮টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এ বিষয়ে নুর হোসেন জানান, পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই অভিযান। এসময় অনেক ব্যবসায়ীকে সতর্ক করা হয়েছে। আবার অনেক পাইকারি ও মুদি ব্যবাসয়ী অভিযানের খবর পেয়ে দোকান রেখে পালিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অভিযানের খবরেই ৯৫ টাকার পেঁয়াজ ৬৭ টাকা

আপডেট সময় :

 

সাধারণ মানুষকে বড় থেকে ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে কতটা অসহায় তার প্রমাণ দিলো চাঁদপুর। জানা গিয়েছে, সদর উপজেলার মহামায়া বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকি অভিযানের খবরে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৯৫ টাকার পরিবর্তে ৬৭ টাকায় বিক্রি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। অথচ এই পেঁয়াজই আগে ৯৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল।

এসময় অধিকাংশ মুদি ও পাইকারী দোকানী তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়।

অভিযান কালে মূল্য তালিকা না থাকায় দুটি মুদি দোকানকে এক হাজার টাকা করে দুই হাজার টাকা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়ায় একটি ফার্মেসিকে ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বুধবার (১৩ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নুর হোসেনের নেতৃত্বে বাজার তদারকিতে নামেন। তাদের অভিযানের খবরে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অতিরিক্ত দামে বিক্রি পেঁয়াজ ও অন্যান্য পণ্যে দাম মুহূর্তে কেচি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমিয়ে বিক্রি করেন। এ সময় অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে তালা দিয়ে গা ডাকা দেন।

জানা যায়, মহামায়া পশ্চিম বাজারে সবচেয়ে বড় পাইকারি মুদি দোকান সালাউদ্দিন স্টোর। এ দোকানে অভিযানের খবর পেয়ে মূল্য তালিকা সরিয়ে রাখা হয়। তালিকায় পেঁয়াজের মূল্য প্রতিকেজি ৯৫ টাকা। কিন্তু দোকানে তাৎক্ষণিক ২৮ টাকা কমিয়ে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয় ৬৭ টাকায়।

এ সুযোগে অনেক ক্রেতা দোকান থেকে ২-৩ কেজি করে পেঁয়াজ কিনে নেন। এ সময় পাশের মোহাম্মদ স্টোরে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৭০ টাকায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় বুধবার শহরের পুরান বাজারের আড়তগুলোতে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৬৭ থেকে ৬৮টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এ বিষয়ে নুর হোসেন জানান, পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই অভিযান। এসময় অনেক ব্যবসায়ীকে সতর্ক করা হয়েছে। আবার অনেক পাইকারি ও মুদি ব্যবাসয়ী অভিযানের খবর পেয়ে দোকান রেখে পালিয়েছে।