ঢাকা ১০:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

ফাঁকা ঢাকা নিরাপদ রেখেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী

হালিম মোহাম্মদ
  • আপডেট সময় : ১১:৩৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫ ৭৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঈদের আগের দিন থেকে ঢাকা শহর অনেকটা ফাঁকা হয়ে গেছে। ফাঁকা শহরকে নিরাপদে রেখেছে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব এবং সেনাবাহিনীসহ যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। যৌথবাহিনী র‌্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এবারের ঈদে নিরাপত্তার স্বার্থে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য রাজধানীজুড়ে কাজ করছে। বিভিন্ন মোড়ে মোতায়েন আছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য।
এদিকে ফাঁকা ঢাকাকে নিরাপদে রাখতে তৎপর রয়েছে আইন শৃংখলা বাহিনী। নিরাপত্তায় ‘শতভাগ’ আত্মবিশ্বাসী স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ঈদকেন্দ্রিক নিরাপত্তায় ‘শতভাগ’ আত্মবিশ্বাসের কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ঈদের আগেরদিন শুক্রবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, “নিরাপত্তা নিয়ে আমি পুরাভাবেই কনফিডেন্ট, আল্লায় দিলে শতভাগ কনফিডেন্ট, যেন কোনো ধরনের কোথাও কিছু না হয়। আল্লায় দিলে’ প্রস্তুতি সব ভালো আছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো ধরনের কোনো অসুবিধা নাই এবং নিরাপত্তার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক বাহিনী রয়ে গেছে। তারা ছুটিতে যায় নাই, যেন সবার নিরাপত্তা থাকে। জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তায় নিয়েও কোনো ধরনের কোনো অসুবিধা নেই বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা হয়ে যাওয়া ঢাকার বিষয়ে করা এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের এখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হইছে। প্রায় ৫০০ পেট্রল রাখা হচ্ছে, অলি গলি সব জায়গা কাভার করা হচ্ছে। কোথাও কোনো তথ্য পেলে নিকটবর্তী থানায় জানানোর অনুরোধও করেন উপদেষ্টা। বলেন, “ছোটখাট দুই একটা ঘটনা অনেক সময় ঘটে যায়, এটাও যেন না ঘটে এজন্য আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেব।
অপরদিকে ফাঁকা রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশ পথসহ নগরীর অভিজাত এলাকগুলোতে চেকপোস্ট ও তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। এছাড়া ইউনিফর্ম টিমের মোবাইল ডিউটি, মোটরসাইকেল টহল, সিসি ক্যামেরায় অপরাধী চিহ্নিতকরণ, সিভিল টিমের টহল জোরদার করা হয়েছে। ব্যাংক-বীমাসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেটে এমনকি পাড়া-মহল্লা, আবাসিক এলাকাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
জানা গেছে, ডিএমপির ৫০টি থানার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্পও স্থাপন করা হয়েছে। ফাঁকা রাজধানীতে তালা ভেঙ্গে চুরি, ডাকাতি ছিনতাই ঠেকাতে সতর্ক রয়েছে পুলিশ। বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সিসিটিভি চালু রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদে শহর ছেড়ে যাওয়া মানুষের বাসা/বাড়ির নিরাপত্তা বাড়াতে টহল জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়াও কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে গুজব ছড়িয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেদিকে সজাগ ও সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব নিদের্শনা অনুযায়ী পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ কমিশনার বলেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বাস, ট্রেন, লঞ্চ টার্মিনালের পাশাপাশি ছুটির সময়ে আবাসিক এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে ঈদ পরবর্তী ফাঁকা রাজধানীতে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে র‌্যাব। কোরবানির ঈদ ও পওে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে যে কোনো উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় র‍্যাব ‘সর্বোচ্চ সতর্ক’ রয়েছে বলে জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক। গত শুক্রবার দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গণে ঈদে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঈদুল আজহা এবং পরবর্তী সময়ে রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও র‌্যাব ফোর্সেস বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাব দেশ ব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।
সারাদেশে তালিকাভুক্ত ঈদ জামাতের স্থানগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় ঈদগাহ ময়দান, বায়তুল মোকারম মসজিদ, শোলাকিয়া ঈদগাহ, দিনাজপুর বড় ঈদগাহ ও দেশের অন্যান্য ঈদগাহে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা সুইপিং করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন, স্ট্রাইকিং ফোর্স, মোবাইল পেট্রোল, বজারভেশন পোস্ট, চেক পোস্ট এবং সিসিটিভি মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়াও যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় র‌্যাব বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এবং ডগ স্কোয়াড টিমকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
নিরাপদে বাড়ি যাওয়া এবং পরে কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে তিনি বলেন, মানুষের নিরাপদে বাড়ী ফেরা এবং ঢাকায় আসা নিশ্চিত করার জন্য সকল বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল, ফেরিঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, টিকিট কালোবাজারি, অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও হয়রানি, মলম পার্টি, চাঁদাবাজি এবং ছিনতাই রোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নজরদারি ও টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশে ঈদের ছুটিতে যাওয়া মানুষের বাসস্থান, কর্মস্থল, শপিংমলসহ অন্যান্য স্থানে চুরি ও ডাকাতি প্রতিরোধে র‌্যাবের নজরদারী ও টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশের সকলের ঈদ-উল-আজহা নির্বিঘেœ উদযাপন ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ যে কোন উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে র‌্যাব।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে জিডি এবং মামলা দুইটাই যেন অনলাইনে নিতে পারে আসার ব্যবস্থা করতেছি। থানায় গিয়ে যেন কারও কোনো ভোগান্তি না হয়, এ জন্য আমরা চেষ্টা করতেছি। বাট আমরা পুরাটা এখনও কাভার করতে পারি নাই। আমরা পাইলট প্রজেক্টটা সিলেট ডিভিশন দিয়ে শুরু করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ফাঁকা ঢাকা নিরাপদ রেখেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী

আপডেট সময় : ১১:৩৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫

ঈদের আগের দিন থেকে ঢাকা শহর অনেকটা ফাঁকা হয়ে গেছে। ফাঁকা শহরকে নিরাপদে রেখেছে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব এবং সেনাবাহিনীসহ যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। যৌথবাহিনী র‌্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এবারের ঈদে নিরাপত্তার স্বার্থে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য রাজধানীজুড়ে কাজ করছে। বিভিন্ন মোড়ে মোতায়েন আছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য।
এদিকে ফাঁকা ঢাকাকে নিরাপদে রাখতে তৎপর রয়েছে আইন শৃংখলা বাহিনী। নিরাপত্তায় ‘শতভাগ’ আত্মবিশ্বাসী স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ঈদকেন্দ্রিক নিরাপত্তায় ‘শতভাগ’ আত্মবিশ্বাসের কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ঈদের আগেরদিন শুক্রবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, “নিরাপত্তা নিয়ে আমি পুরাভাবেই কনফিডেন্ট, আল্লায় দিলে শতভাগ কনফিডেন্ট, যেন কোনো ধরনের কোথাও কিছু না হয়। আল্লায় দিলে’ প্রস্তুতি সব ভালো আছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো ধরনের কোনো অসুবিধা নাই এবং নিরাপত্তার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক বাহিনী রয়ে গেছে। তারা ছুটিতে যায় নাই, যেন সবার নিরাপত্তা থাকে। জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তায় নিয়েও কোনো ধরনের কোনো অসুবিধা নেই বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা হয়ে যাওয়া ঢাকার বিষয়ে করা এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের এখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হইছে। প্রায় ৫০০ পেট্রল রাখা হচ্ছে, অলি গলি সব জায়গা কাভার করা হচ্ছে। কোথাও কোনো তথ্য পেলে নিকটবর্তী থানায় জানানোর অনুরোধও করেন উপদেষ্টা। বলেন, “ছোটখাট দুই একটা ঘটনা অনেক সময় ঘটে যায়, এটাও যেন না ঘটে এজন্য আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেব।
অপরদিকে ফাঁকা রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশ পথসহ নগরীর অভিজাত এলাকগুলোতে চেকপোস্ট ও তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। এছাড়া ইউনিফর্ম টিমের মোবাইল ডিউটি, মোটরসাইকেল টহল, সিসি ক্যামেরায় অপরাধী চিহ্নিতকরণ, সিভিল টিমের টহল জোরদার করা হয়েছে। ব্যাংক-বীমাসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেটে এমনকি পাড়া-মহল্লা, আবাসিক এলাকাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
জানা গেছে, ডিএমপির ৫০টি থানার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্পও স্থাপন করা হয়েছে। ফাঁকা রাজধানীতে তালা ভেঙ্গে চুরি, ডাকাতি ছিনতাই ঠেকাতে সতর্ক রয়েছে পুলিশ। বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সিসিটিভি চালু রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদে শহর ছেড়ে যাওয়া মানুষের বাসা/বাড়ির নিরাপত্তা বাড়াতে টহল জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়াও কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে গুজব ছড়িয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেদিকে সজাগ ও সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব নিদের্শনা অনুযায়ী পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ কমিশনার বলেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বাস, ট্রেন, লঞ্চ টার্মিনালের পাশাপাশি ছুটির সময়ে আবাসিক এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে ঈদ পরবর্তী ফাঁকা রাজধানীতে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে র‌্যাব। কোরবানির ঈদ ও পওে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে যে কোনো উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় র‍্যাব ‘সর্বোচ্চ সতর্ক’ রয়েছে বলে জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক। গত শুক্রবার দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গণে ঈদে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঈদুল আজহা এবং পরবর্তী সময়ে রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও র‌্যাব ফোর্সেস বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাব দেশ ব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।
সারাদেশে তালিকাভুক্ত ঈদ জামাতের স্থানগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় ঈদগাহ ময়দান, বায়তুল মোকারম মসজিদ, শোলাকিয়া ঈদগাহ, দিনাজপুর বড় ঈদগাহ ও দেশের অন্যান্য ঈদগাহে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা সুইপিং করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন, স্ট্রাইকিং ফোর্স, মোবাইল পেট্রোল, বজারভেশন পোস্ট, চেক পোস্ট এবং সিসিটিভি মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়াও যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় র‌্যাব বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এবং ডগ স্কোয়াড টিমকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
নিরাপদে বাড়ি যাওয়া এবং পরে কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে তিনি বলেন, মানুষের নিরাপদে বাড়ী ফেরা এবং ঢাকায় আসা নিশ্চিত করার জন্য সকল বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল, ফেরিঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, টিকিট কালোবাজারি, অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও হয়রানি, মলম পার্টি, চাঁদাবাজি এবং ছিনতাই রোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নজরদারি ও টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশে ঈদের ছুটিতে যাওয়া মানুষের বাসস্থান, কর্মস্থল, শপিংমলসহ অন্যান্য স্থানে চুরি ও ডাকাতি প্রতিরোধে র‌্যাবের নজরদারী ও টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশের সকলের ঈদ-উল-আজহা নির্বিঘেœ উদযাপন ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ যে কোন উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে র‌্যাব।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে জিডি এবং মামলা দুইটাই যেন অনলাইনে নিতে পারে আসার ব্যবস্থা করতেছি। থানায় গিয়ে যেন কারও কোনো ভোগান্তি না হয়, এ জন্য আমরা চেষ্টা করতেছি। বাট আমরা পুরাটা এখনও কাভার করতে পারি নাই। আমরা পাইলট প্রজেক্টটা সিলেট ডিভিশন দিয়ে শুরু করছি।