ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo `জুলাই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজের অঙ্গীকার’ Logo ডামুড্যায় গরীব ও অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ Logo বিশ্বনাথে আলোকিত সুর সাংস্কৃতিক ফোরাম অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা Logo বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে মামলা Logo সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগের দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন Logo ঝিনাইদহে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo ভালো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল ভূমিকা রাখছে Logo বন্ধু একাদশ হাকিমপুরকে হারিয়ে মুন্সিপাড়া ওয়ারিয়ার্স দিনাজপুর চ্যাম্পিয়ান Logo জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর Logo ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা

ফের বাড়ছে রেল ভাড়া, দায় সাধারণ মানুষের!

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ৪১০ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বিদ্যুতের মূল্য ভাড়ানো, গ্যাস মিটার প্রতি ২০০ টাকা, তেলের দাম সমন্বয়, নিত্যপণ্যের দামে পিষ্ট সেই সাধারণ মানুষকেই ফের রেলের বাড়তি ভাড়ায় পিষ্ট হতে হবে। দায় যেন সব সাধারণ মানুষের। অথচ রেলের সেবা তলানীতে।

ট্রেনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা নিজেদের ইচ্ছেয় বিনা টিকিটে যাত্রী পরিবহন করে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সেই রেলের বাড়তি ভাড়া এবারে চাপানো হচ্ছে সাধারণ মানুষের ওপরে। বলা হয়ে থাকে সড়ক ও নৌপথের তুলনায় ভাড়া কম হওয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোয় রেলের যাত্রী বাড়লেও রাজস্ব আয় সেভাবে বাড়েনি।

বিভিন্ন ট্রেনে ভ্রমনের সময় দেখা গেছে, টিকিট না কেটে ট্রেনে চড়ার পর এ্যাটেনডেন্টের সঙ্গে কথা বলে সব মেনেজ করে নেন। প্রথম শ্রেণীতে ভ্রমণ করাও তখন আর কোন সমস্যা হয় না।

তাছাড়া খাবার বগীতো বিনা টিকিটে ভ্রমণের অন্যতম ঠিকানা। কোন ট্রেন ছাড়ার আগেই খাবার বগির সব কটি আসন পূর্ণ হয়ে যায়। তখন বালতি, মোড়ায় বসিয়েও যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যায়।

ভিড়ে ঠাসা খাবার বগি দিয়েই টিকিট চেকারদের শরীর বাঁকিয়ে চলাচল করতে দেখা গেলেও যাত্রী টিকিট রয়েছে কিনা তা তারা চেক করেন না। এমনিভাবে রেলের লাভের গুড় পিঁপড়ে খেয়ে নিচ্ছে। আর বাড়তি ভাড়ার গুণতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

তাছাড়া আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে টিকিট চেকারদের মোটামুটি রাজত্ব রয়েছে। বিনা টিকিটে ভ্রমণকারী যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে নিজেদের কোষাগারে জমাচ্ছেন। ফলে উৎসাহীত হচ্ছে বিনা টিকিটে ভ্রমণকারী অসংখ্যও। আর রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

আয়ের বিপরীতে লোকসান কমিয়ে আনতে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়ায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৭-৯ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়।

২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপ করে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় রেলভবন। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ উদ্যোগ ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে যাত্রীদের ভাড়া কর্তন। পাশাপাশি বিভিন্ন ট্রেনে সংযোজিত অতিরিক্ত কোচে শ্রেণীভেদে বাড়তি ভাড়া (রিজার্ভেশন চার্জ) যুক্ত করা হচ্ছে।

রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার ও রিজার্ভেশন চার্জ আরোপের মাধ্যমে ভাড়া বাড়ানো হলে রেলের বার্ষিক রাজস্ব আয় বাড়বে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা, এমনটিই প্রত্যাশা রেলভবনের।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ফের বাড়ছে রেল ভাড়া, দায় সাধারণ মানুষের!

আপডেট সময় :

 

বিদ্যুতের মূল্য ভাড়ানো, গ্যাস মিটার প্রতি ২০০ টাকা, তেলের দাম সমন্বয়, নিত্যপণ্যের দামে পিষ্ট সেই সাধারণ মানুষকেই ফের রেলের বাড়তি ভাড়ায় পিষ্ট হতে হবে। দায় যেন সব সাধারণ মানুষের। অথচ রেলের সেবা তলানীতে।

ট্রেনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা নিজেদের ইচ্ছেয় বিনা টিকিটে যাত্রী পরিবহন করে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সেই রেলের বাড়তি ভাড়া এবারে চাপানো হচ্ছে সাধারণ মানুষের ওপরে। বলা হয়ে থাকে সড়ক ও নৌপথের তুলনায় ভাড়া কম হওয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোয় রেলের যাত্রী বাড়লেও রাজস্ব আয় সেভাবে বাড়েনি।

বিভিন্ন ট্রেনে ভ্রমনের সময় দেখা গেছে, টিকিট না কেটে ট্রেনে চড়ার পর এ্যাটেনডেন্টের সঙ্গে কথা বলে সব মেনেজ করে নেন। প্রথম শ্রেণীতে ভ্রমণ করাও তখন আর কোন সমস্যা হয় না।

তাছাড়া খাবার বগীতো বিনা টিকিটে ভ্রমণের অন্যতম ঠিকানা। কোন ট্রেন ছাড়ার আগেই খাবার বগির সব কটি আসন পূর্ণ হয়ে যায়। তখন বালতি, মোড়ায় বসিয়েও যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যায়।

ভিড়ে ঠাসা খাবার বগি দিয়েই টিকিট চেকারদের শরীর বাঁকিয়ে চলাচল করতে দেখা গেলেও যাত্রী টিকিট রয়েছে কিনা তা তারা চেক করেন না। এমনিভাবে রেলের লাভের গুড় পিঁপড়ে খেয়ে নিচ্ছে। আর বাড়তি ভাড়ার গুণতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

তাছাড়া আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে টিকিট চেকারদের মোটামুটি রাজত্ব রয়েছে। বিনা টিকিটে ভ্রমণকারী যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে নিজেদের কোষাগারে জমাচ্ছেন। ফলে উৎসাহীত হচ্ছে বিনা টিকিটে ভ্রমণকারী অসংখ্যও। আর রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

আয়ের বিপরীতে লোকসান কমিয়ে আনতে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়ায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৭-৯ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়।

২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপ করে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় রেলভবন। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ উদ্যোগ ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে যাত্রীদের ভাড়া কর্তন। পাশাপাশি বিভিন্ন ট্রেনে সংযোজিত অতিরিক্ত কোচে শ্রেণীভেদে বাড়তি ভাড়া (রিজার্ভেশন চার্জ) যুক্ত করা হচ্ছে।

রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার ও রিজার্ভেশন চার্জ আরোপের মাধ্যমে ভাড়া বাড়ানো হলে রেলের বার্ষিক রাজস্ব আয় বাড়বে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা, এমনটিই প্রত্যাশা রেলভবনের।