শাহজাদপুরে প্রতিবন্ধী শিশুদের সক্ষমতা প্রশিক্ষণ শুরু

- আপডেট সময় : ০৪:০৯:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে
নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর প্রতিবন্ধী শিশুদের চিকিৎসা ও সার্বিক উন্নয়নে আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে শুরু হয়েছে পাঁচদিনব্যাপী এক বিশেষ আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা। গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল ৯টায় শাহজাদপুর উপজেলার নুকালী এলাকার সিএসএফ সেন্টারে গ্লোবাল এলএমআইসি সিপি রেজিস্টার, সিএসএফ গ্লোবাল এবং সেরিব্রাল পালসি অ্যালায়েন্স অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সিএসএফ গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট ও প্রয়াত উপ-প্রধানমন্ত্রী ড. এম. এ. মতিনের সুযোগ্য সন্তান, বিশিষ্ট সমাজসেবক, চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিক এবং সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম. এ. মুহিত। এছাড়াও উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন জিএলএম সিপিআর-এর প্রধান গবেষক অধ্যাপক গোলাম খন্দকার। তিনি সংস্থাটির চারটি মূল স্তম্ভ-আঞ্চলিক সহযোগিতা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, তথ্যভিত্তিক সেবা উন্নয়ন এবং গবেষণার কার্যকর অনুবাদ-উপস্থাপন করেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৬টি দেশের ১৩টি সংস্থার প্রায় ৪০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে: বাংলাদেশ (২২), থাইল্যান্ড (৩), শ্রীলঙ্কা (২), অস্ট্রেলিয়া (১), ইন্দোনেশিয়া (১), ও নেপাল (১)।
প্রথম দিনের কর্মসূচির উল্লেখযোগ্য দিক ছিল যা পরিচালনা করেন শিশুর স্নায়ুবিক বিকাশ বিষয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসক ও সহযোগী অধ্যাপক ক্যাথি মরগান। দুপুরে অংশগ্রহণকারীরা সিএসএফ সেন্টার পরিদর্শন করেন এবং বাংলাদেশ সিপি রেজিস্টারের কার্যক্রম ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। এই পরিদর্শনে তারা কমিউনিটি-ভিত্তিক সেবা, প্রারম্ভিক হস্তক্ষেপ এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। আয়োজকরা জানান, এই পাঁচদিনব্যাপী কর্মশালার মূল লক্ষ্য হচ্ছে সেরিব্রাল পালসি বিষয়ক প্রাথমিক সনাক্তকরণ ও হস্তক্ষেপের সক্ষমতা বৃদ্ধি, আঞ্চলিক পর্যায়ে সমন্বিত সহযোগিতা তৈরি এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কৌশলগত রোডম্যাপ প্রণয়ন।
সেশনের শেষভাগে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আঞ্চলিক ঐক্য, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। শিশুদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রভাববিস্তারী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার নিয়ে প্রথম দিনের কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়।