বছরের সাত মাস পানি বন্ধী বিদ্যালয় তিন যুগ ধরে নৌকায় যাতায়াত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর

- আপডেট সময় : ১৬ বার পড়া হয়েছে
বর্ষা মৌসুমে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ১৫৫ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারদিকে থাকে শুধু পানি আর পানি। থৈই থৈই পানি পেরিয়ে কোমলমতি এই ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে হয়।আর স্কুলে যেতে তাদের একমাত্র ভরসা নৌকা বাহন। বিদ্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সিংগা ইউনিয়নের ১৫৫নং সিংগা একনারকেলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নৌকায় যাওয়া-আসা করতে হয়।কিছু শিক্ষার্থীকে অভিভাবক নিজস্ব নৌকায় বিদ্যালয়ে আনা-নেওয়া করে।আবার অনেক শিক্ষার্থী নিজেরাই ছোট্ট নৌকা চালিয়ে যাওয়া-আসা করে।বিদ্যালয়ের শিশুদের যাতায়াতের এমন করুণ অবস্থা কয়েক যুগ ধরে।প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়ে তারা বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে।সরকারি উদ্যোগে রাস্তার ব্যবস্থা করা হলে শিক্ষার্থীদের যাওয়া-আসার অনেক সুবিধা রয়েছে অনেক ঝুঁকিও।১৫৫নংসিংগা একনারকেলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সহসা সরকার,ছেরিয়ান বিশ্বাস ও সূর্য মজুমদার জানায়,জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভয়ে ভয়ে নৌকায় চলাচল করতে হয়।মাঝেমধ্যে পা ফসকে পানিতে পড়ে বই-খাতা নষ্ট হয়। এমনকি নৌকা ডুবির ঘটনাও ঘটেছে।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমীর সরকার প্রতিবেদককে জানান,মে-নভেম্বর প্রায় সাঁত মাস বিলে পানি থাকায় নৌকায় বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়।দুর্ঘটনার আশঙ্কায় অনেক সময় অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠায় না।চারিদিকে থৈ থৈ পানি ক্ষুদে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে আতংকে থাকতে হয়।বিদ্যালয় ভবনের চারিদিকেই পানি। বিদ্যালয় থেকে রাস্তায় উঠতে প্রায় দুই কিঃ মিঃ পানি পথ পাড়ি দিতে হয়।গভীরতা ও প্রায় পাঁচ-সাত ফুট। এভাবেই বাচ্চাদের নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে প্রায় তিনযুগ ধরে।উপজেলা প্রা:শিক্ষা অফিসার উত্তম কুমার সরকার প্রতিবেদক কেজানান,বিদ্যালয়টি প্রত্যন্ত বিল অঞ্চলে হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খুদে শিক্ষার্থীদের নৌকায় যাতায়াত করতে হয়।আমি উর্ব্ধতনদের সাথে কথা বলে সরকারি ভাবে রাস্তা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে আমার একান্ত চেষ্টা থাকবে।যেহেতু রাস্তার কাজ করে স্হানীয় সরকার।