প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আবাসন সুবিধা বাড়াতে কাজ করছে ডিএনসিসি – মোহাম্মদ এজাজ

- আপডেট সময় : ৩০২ বার পড়া হয়েছে
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, আর সে লক্ষ্যেই ডিএনসিসি নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গতকাল বুধবার ডিএনসিসি কনফারেন্স রুমে “ঈড়সসঁহরঃু-খবফ ঐড়ঁংরহম ভড়ৎ ঈষবধহবৎ ঈড়সসঁহরঃরবং” শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এ কথা বলেন। সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে ডিএনসিসি, কো-হ্যাবিট বাংলাদেশ এবং প্ল্যাটফর্ম অফ কমিউনিটি একশন অ্যান্ড আর্কিটেকচার।
অনুষ্ঠানে গাবতলী ও মিরপুরের পরিচ্ছন্নতাকর্মী কমিউনিটির সদস্যরা অংশ নেন। এছাড়া দেশের শীর্ষস্থানীয় নগর পরিকল্পনাবিদ, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, ওয়াটার এইড, হ্যাবিটেট ফর হিউম্যানিটি, ব্লাস্ট, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি, ভূমিজ, নগর আবাদসহ বিভিন্ন এনজিও ও আবাসন অধিকার আন্দোলনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেঃ জেনাঃ মোঃ মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম সামসুল আলমসহ ডিএনসিসির সকল বিভাগীয় প্রধানও সেমিনারে যোগ দেন।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নগরজীবনের অপরিহার্য অংশ এবং নিরাপদ আবাসন তাদের মৌলিক অধিকার। কমিউনিটি-নেতৃত্বাধীন আবাসন কেবল নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করে না, বরং নগরের আর্থিক, সামাজিক ও স্বাস্থ্যগত উন্নয়নেও ভূমিকা রাখে। সেমিনারে মিরপুরের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নিজস্ব বসতির ম্যাপিং ও উন্নয়ন পরিকল্পনা উপস্থাপন করে সম্মিলিতভাবে আবাসন সমস্যার টেকসই সমাধানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, ন্যায্যতা ও মানবাধিকারের প্রশ্নে প্রচলিত আইন ও নীতিমালার পুনর্বিবেচনা জরুরি। ডিএনসিসি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং তাদের নিজস্ব প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে বদ্ধপরিকর। কমিউনিটি-নেতৃত্বাধীন কার্যক্রমকে অনুমোদন, উৎসাহ ও সহসৃজনের মাধ্যমে সফল মডেল গড়ে তোলা গেলে তা সারা দেশে বিস্তার লাভ করতে পারে।